কলকাতা, 22 নভেম্বর : এবারে পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সংসদের অধিবেশন কক্ষ উত্তাল করলেন BJP সাংসদরা । আজ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের জিরো আওয়ারে পার্শ্বশিক্ষকদের প্রসঙ্গ তোলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় । তখন তৃণমূল সাংসদের হই-হট্টগোল এবং চিৎকারে বিষয়টি নিয়ে সে ভাবে বলার সুযোগ পাননি বাবুল । এমনকি, বাবুলের বলা নিয়ে আপত্তি জানান লোকসভার অধ্যক্ষও । এর পর নিজে বলতে উঠে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন আর এক BJP সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ।
তৃণমূল এবং BJP সাংসদদের চিৎকার-চেঁচামেচি, হই-হট্টগোলে বেশ কিছুক্ষণের জন্য উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা । মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''আমরণ অনশনকারীদের দিকে ফিরে তাকাচ্ছে না রাজ্য সরকার । আট দিন ধরে তাঁরা কলকাতায় রাস্তার উপর বসে রয়েছেন, আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একটা শব্দও উচ্চারণ করছেন না ।'' লকেটের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন তৃণমূল লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি দাবি করেন, ''পার্শ্বশিক্ষকদের তিন হাজার টাকা বেতন বাড়ানো হয়েছে মাত্র কয়েকমাস আগেই । রাজ্যের সীমাবদ্ধ আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বেতন বাড়িয়েছেন । এই বিষয়গুলোকে নিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে BJP ৷''
পরে লোকসভার বাইরে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ''একজন শিক্ষক অনশনরত অবস্থায় মারা গেলেন সরকারের কোনও হেলদোল নেই ।'' যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র সাংসদ সৌগত রায় বলেন, BJP-র সাংসদদেরা পার্শ্ব শিক্ষকদের বিষয় নিয়ে সংসদে হৈ চৈ করেছে । আমরা তার প্রতিবাদ করেছি ।
আজ পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন অষ্টম দিনে পড়ল । অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক । অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । গতকাল অনশন মঞ্চে তাপস বর নামে এক শিক্ষকের ব্রেন স্ট্রোক হয় । অনশনে বসা এক শিক্ষিকার (রেবতি রাউত, যিনি দিন কয়েক আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ) মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক ৷ যত দিন যাচ্ছে অনশন মঞ্চে বেড়ে চলেছে অসুস্থের সংখ্যা । কলকাতার পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন পর্যন্ত চলে গেল ।