ETV Bharat / city

Baguiati Double Murder: সমন্বয়ের অভাবের মাশুল আগেও দিয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট !

বাগুইআটির দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে (Baguiati Double Murder) ৷ পরিবারের অভিযোগ, বাগুইআটি থানার (Baguiati PS) গাফিলতিতে 10 দিন পর তাঁরা মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছেন ৷ পুলিশের মহলের অভিযোগ, বিধাননগর কমিশনারেটের (Bidhannagar Police Commissionerate) সমন্বয়হীনতাই দায়ী ৷ এই ধরনের সমন্বয়ের অভাব আগেও হয়েছে ৷

This is not the first time the communication problem led Bidhannagar Police Commissionerate down
Baguiati Double Murder: সমন্বয়ের অভাবের মাশুল আগেও দিয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট !
author img

By

Published : Sep 7, 2022, 6:03 PM IST

কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর : বাগুইআটিতে জোড়া খুনের (Baguiati Double Murder) ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য ৷ কাঠগড়ায় বাগুইআটি থানা (Baguiati PS) ৷ ওই থানার পুলিশের গাফিলতির জন্যই প্রায় দশদিন ধরে দুই ছাত্রের মৃতদেহ মর্গে পড়ে ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে কেন এমন হল ? পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সমন্বয়ের অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ বসিরহাট পুলিশের (Basirhat Police) তরফে তথ্য দেওয়া হলেও, তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি বাগুইআটি থানা ৷ আর তার জেরেই ওই দুই ছাত্রের পরিবারকে চরম টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হয়েছে ৷

ইতিমধ্যে এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal CM Mamata Banerjee) ৷ প্রথমে বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করা হয় ৷ পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে (CID) ৷ পুলিশ মহলের একটি অংশের দাবি, এই ঘটনায় বাগুইআটি থানা কাঠগড়ায় উঠলেও সমন্বয়ের অভাবের বিষয়টি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের (Bidhannagar Police Commissionerate) পুরনো রোগ ৷

পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, সমন্বয়ের অভাবের এই বিষয়টি বেড়েছে সুপ্রতিম সরকার বিধাননগরের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ৷ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে চিংড়িঘাটার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বিষয়টি ৷ ওই রাস্তাটি কলকাতা পুলিশ নাকি বিধাননগর পুলিশ কার আওতাধীন, তা নিয়ে বহুদিন ধরে টানাপোড়েন চলে ৷

শেষে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতির বদল হয় ৷ ওই দুর্ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ৷ আর তার জন্য এই সমন্বয়ের অভাবকেই দায়ী করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ তখনও হস্তক্ষেপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তাঁর নির্দেশেই দ্রুত এলাকা বণ্টনের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয় ৷

অভিযোগ, সমন্বয়হীনতার সেই রোগ আগে ঠিক হয়ে গেলে, এখন এই পরিস্থিতি তৈরি হত না ৷ সাধারণ মানুষের এত রোষের মুখে পড়তে হত না বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে ৷ কারণ, বসিরহাট জেলা পুলিশের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বসিরহাট জেলার পুলিশ মর্গে যেদিন দেহ এসেছে, সেই দিনই সকল তথ্য বিধাননগর কমিশনারেট এবং পার্শ্ববর্তী জেলা পুলিশ লাইনে তারা পাঠিয়ে দিয়েছিল । তার পরও পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷

প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে যে শুধু সাধারণ মানুষ নয় এই ঘটনা নিয়ে বিধাননগরের নগরপাল সুপ্রতিম সরকারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল ৷ সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে ৷ প্রশাসনের ওই সূত্র জানাচ্ছে যে মুখ্যমন্ত্রীও এই ঘটনা নিয়ে সমন্বয় কেন করা হয়নি, কেন দায়সারা মনোভাব দেখানো হয়েছে, সেই প্রশ্ন করেছেন সুপ্রতিম সরকারের কাছে ৷

ফলে আগামিদিনে বিধাননগর কমিশনারেটের শীর্ষ আধিকারিকদের ভূমিকা কতটা বদলায় এখন সেটাই দেখার ৷

আরও পড়ুন : বাগুইআটি কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, সাসপেন্ড আইসি

কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর : বাগুইআটিতে জোড়া খুনের (Baguiati Double Murder) ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য ৷ কাঠগড়ায় বাগুইআটি থানা (Baguiati PS) ৷ ওই থানার পুলিশের গাফিলতির জন্যই প্রায় দশদিন ধরে দুই ছাত্রের মৃতদেহ মর্গে পড়ে ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে কেন এমন হল ? পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সমন্বয়ের অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ বসিরহাট পুলিশের (Basirhat Police) তরফে তথ্য দেওয়া হলেও, তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি বাগুইআটি থানা ৷ আর তার জেরেই ওই দুই ছাত্রের পরিবারকে চরম টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হয়েছে ৷

ইতিমধ্যে এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal CM Mamata Banerjee) ৷ প্রথমে বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করা হয় ৷ পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে (CID) ৷ পুলিশ মহলের একটি অংশের দাবি, এই ঘটনায় বাগুইআটি থানা কাঠগড়ায় উঠলেও সমন্বয়ের অভাবের বিষয়টি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের (Bidhannagar Police Commissionerate) পুরনো রোগ ৷

পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, সমন্বয়ের অভাবের এই বিষয়টি বেড়েছে সুপ্রতিম সরকার বিধাননগরের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ৷ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে চিংড়িঘাটার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বিষয়টি ৷ ওই রাস্তাটি কলকাতা পুলিশ নাকি বিধাননগর পুলিশ কার আওতাধীন, তা নিয়ে বহুদিন ধরে টানাপোড়েন চলে ৷

শেষে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতির বদল হয় ৷ ওই দুর্ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ৷ আর তার জন্য এই সমন্বয়ের অভাবকেই দায়ী করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ তখনও হস্তক্ষেপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তাঁর নির্দেশেই দ্রুত এলাকা বণ্টনের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয় ৷

অভিযোগ, সমন্বয়হীনতার সেই রোগ আগে ঠিক হয়ে গেলে, এখন এই পরিস্থিতি তৈরি হত না ৷ সাধারণ মানুষের এত রোষের মুখে পড়তে হত না বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে ৷ কারণ, বসিরহাট জেলা পুলিশের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বসিরহাট জেলার পুলিশ মর্গে যেদিন দেহ এসেছে, সেই দিনই সকল তথ্য বিধাননগর কমিশনারেট এবং পার্শ্ববর্তী জেলা পুলিশ লাইনে তারা পাঠিয়ে দিয়েছিল । তার পরও পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷

প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে যে শুধু সাধারণ মানুষ নয় এই ঘটনা নিয়ে বিধাননগরের নগরপাল সুপ্রতিম সরকারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল ৷ সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে ৷ প্রশাসনের ওই সূত্র জানাচ্ছে যে মুখ্যমন্ত্রীও এই ঘটনা নিয়ে সমন্বয় কেন করা হয়নি, কেন দায়সারা মনোভাব দেখানো হয়েছে, সেই প্রশ্ন করেছেন সুপ্রতিম সরকারের কাছে ৷

ফলে আগামিদিনে বিধাননগর কমিশনারেটের শীর্ষ আধিকারিকদের ভূমিকা কতটা বদলায় এখন সেটাই দেখার ৷

আরও পড়ুন : বাগুইআটি কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, সাসপেন্ড আইসি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.