ETV Bharat / city

চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন পার্থ-ববির - পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম

চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম ।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম
author img

By

Published : Jun 14, 2019, 3:39 PM IST

কলকাতা, 14 জুন: চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন দুই মন্ত্রীর । একজন শিক্ষামন্ত্রী, আর অন্যজন পুরমন্ত্রী ।

তিন দিন ধরে রাজ্যে চলা স্বাস্থ্য-আচলাবস্থার বিরুদ্ধে সরব খোদ মুখ্যমন্ত্রী । কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মানবিকতার খাতিরে ডাক্তারদের এগিয়ে অনুরোধও করেছেন । এবার মুখ্যমন্ত্রীর দুই সহযোগীও সেই আবেদন জানালেন । পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন তাদের আবেদন ।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, 'যতই ভুল বোঝাবুঝি হোক, মানুষের উপর বিশ্বাস রাখো ।' জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভের বিষয়টি উল্লেখ করে পার্থবাবুর আহ্বান, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সূত্র বেরোবে । পাশাপাশি রোগগ্রস্ত মানুষের সেবা থেকে যাতে চিকিৎসকরা সরে না আসেন, সেই আবেদনও রেখেছেন তিনি ।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই ডাক্তারদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমও । কলকাতার মহানাগরিকের অনুরোধ বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে । এটাকে মানবিকতার সঙ্গে দেখুন । আপনাদের দাবিদাোয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করুন । কিন্তু পরিষেবা অব্যাহত রাখুন । একইসঙ্গে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ । মুখ্যমন্ত্রী যে তাদের সুরক্ষার বিষয়টি নিজে হাতে দেখছেন, তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী । ডাক্তারদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, 'সাধারণ মানুষের কাছে আপনারা ভগবান । সেই দায়িত্ব পালন করুন ।'

কলকাতা, 14 জুন: চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন দুই মন্ত্রীর । একজন শিক্ষামন্ত্রী, আর অন্যজন পুরমন্ত্রী ।

তিন দিন ধরে রাজ্যে চলা স্বাস্থ্য-আচলাবস্থার বিরুদ্ধে সরব খোদ মুখ্যমন্ত্রী । কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মানবিকতার খাতিরে ডাক্তারদের এগিয়ে অনুরোধও করেছেন । এবার মুখ্যমন্ত্রীর দুই সহযোগীও সেই আবেদন জানালেন । পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন তাদের আবেদন ।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, 'যতই ভুল বোঝাবুঝি হোক, মানুষের উপর বিশ্বাস রাখো ।' জুনিয়র ডাক্তারদের ক্ষোভের বিষয়টি উল্লেখ করে পার্থবাবুর আহ্বান, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সূত্র বেরোবে । পাশাপাশি রোগগ্রস্ত মানুষের সেবা থেকে যাতে চিকিৎসকরা সরে না আসেন, সেই আবেদনও রেখেছেন তিনি ।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই ডাক্তারদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমও । কলকাতার মহানাগরিকের অনুরোধ বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে । এটাকে মানবিকতার সঙ্গে দেখুন । আপনাদের দাবিদাোয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করুন । কিন্তু পরিষেবা অব্যাহত রাখুন । একইসঙ্গে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ । মুখ্যমন্ত্রী যে তাদের সুরক্ষার বিষয়টি নিজে হাতে দেখছেন, তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী । ডাক্তারদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, 'সাধারণ মানুষের কাছে আপনারা ভগবান । সেই দায়িত্ব পালন করুন ।'

Intro:মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারীর পরেও শুক্রবারেও স্বাভাবিক হলোনা বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কাজ কর্ম। এদিন সকালে সিনিয়র চিকিৎসকরা 'আউটডোর পরিষেবা' চালু করার পরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় কিছুক্ষণের মধ্যে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। Body: এখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল সুপারের গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে কর্ত্তৃপক্ষের তরফে সমস্ত সিনিয়র ডাক্তারদের 'ছুটি বাতিল' করে আউটডোর পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা করা হয়। এদিন সকালে চিকিৎসকদের দিয়ে 'আউটডোর পরিষেবা' চালুর পরেও কিছুক্ষণের মধ্যে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন ফের রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালের সামনে রাস্তায় অবরোধ কর্মসূচী শুরু করেন। ফলে জেলা শহরে এক মাত্র বাসস্ট্যাণ্ড গোবিন্দনগরে ঢোকার মুখে আটকে পড়ে সমস্ত যাত্রীবাহি বাস ও অন্যান্য যানবাহন।

দুর্গাপুর থেকে শিশু সন্তানকে নিয়ে এখানে চিকিৎসা করাতে আসা কল্যাণী দত্ত বলেন, প্রচণ্ড গরমে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এভাবে আর কতোদিন চলবে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তাহলে কি দরজায় লাগানো শার্টার ভেঙ্গে আমাদের ভীতরে ঢুকে ডাক্তার বাবুদের সাথে কথা বলতে হবে। প্রশাসনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের 'মাথা গরম' হয়ে গেছে। প্রয়োজনে ভাঙ্গচুরের রাস্তায় যেতে হবে বলে তিনি দাবী করেন। কুকুরে কামড়ানো ছেলেকে ইঞ্জেকশান দেওয়াতে আসা অনিকেত গরাই বলেন, আউটডোরেও প্রচণ্ড ভীড়। পরিষেবা মিলছেনা। ছেলেকে কুকুরে কামড়ে ছিল, আজ শেষ দফার ইঞ্জেকশানের দিন ছিল। এখন কোথায় কিভাবে এই ইঞ্জেকশান দেওয়ার সুযোগ মিলবে ভেবে পাচ্ছেননা জানিয়ে তিনি বলেন, কোন জায়গা থেকেই কোন রকমের সহায়তা পাচ্ছিনা। একই অভিজ্ঞতা রাজগ্রামের তপন মণ্ডলের। তিনি বলেন, দিন মজুরি করে কোন রকমে সংসার চালাই। আজ কাজ বন্ধ করে হাসপাতালে এসেছিলাম। এসে যা দেখছি কোন ধরণের চিকিৎসা পরিষেবাই মিলছেনা।Conclusion:যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাসপাতাল জুড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাসপাতাল কর্ত্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.