ETV Bharat / city

সওয়ারির গয়না ফিরিয়ে সততার নজির ট্যাক্সিচালকের - কলকাতা পুলিশ

মহম্মদ শাহিদ নামে এক ট্যাক্সিচালকের ট্যাক্সিতে ব্যাকপ্যাক ফেলে এসেছিলেন মসিউর রহমানে এক ব্যক্তি । পরে সেই ব্যাকপ্যাক ফিরিয়ে দেন শাহিদ । ট্যাক্সিচালক শাহিদের সততা মন কেড়েছে সবার ।

ট্যাক্সি
author img

By

Published : Jul 22, 2019, 2:49 AM IST

Updated : Jul 22, 2019, 3:22 AM IST

কলকাতা, 22 জুলাই : কে বলে, এ শহরে প্রাণ নেই ? কে বলে, কেউ কারোর পাশে দাঁড়ায় না ? পাশে দাঁড়ায় বইকি । দরকারে বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত । কারণ, আজও যে তিলোত্তমার বুকে বেঁচে আছেন মহম্মদ শাহিদের মতো মানুষ ।

মহম্মদ শাহিদ । পেশায় ট্যাক্সিচালক । গতকাল বিকেলে তাঁর ট্যাক্সিতে ওঠেন মসিউর রহমান । যাদবপুরের অরবিন্দ নগরে বাড়ি মসিউরের । গতকাল মুকুন্দপুর এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে তিনি ট্যাক্সিতে চড়েছিলেন । নেমেছিলেন সাউথ সিটির উলটোদিকে । ভুল করে ফেলে এসেছিলেন একটি ব্যাকপ্যাক । তাতে ছিল চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি কাগজপত্র ও কিছু সোনার গয়না । শুরু হয় খোঁজ । পরে অভিযোগ লেখাতে লেক থানায় যান মসিউর ।

taxi
সোনার গয়না ফিরিয়েছেন ট্যাক্সিচালক শাহিদ

এদিকে, ট্যাক্সিতে ব্যাকপ্যাকের অস্তিত্ব বুঝেই তা নিয়ে এন্টালি থানায় হাজির হন শাহিদ । খুলে বলেন গোটা ঘটনা । এন্টালি থানা থেকে অন্যান্য থানায় ফোন যায় । লেক থানার পুলিশ জানায়, মসিউর নামে এক ব্যক্তি ওই ব্যাকপ্যাক ভুলে ফেলে এসেছেন । মসিউরকে পাঠানো হয় এন্টালি থানায় । নিজের জিনিস ফিরে পান তিনি । খুশি হয়ে, শাহিদকে মিষ্টি খাওয়ার টাকা দিতে যান ।

আলো-আঁধারি পথে ততক্ষণে ট্যাক্সিতে স্টার্ট দিয়েছেন শাহিদ । মিষ্টির টাকা না নিয়েই বেরিয়ে যান পরের সওয়ারির সন্ধানে । পরিবারের মুখে "নাস্তা" তুলে দিতে হবে যে !

কলকাতা, 22 জুলাই : কে বলে, এ শহরে প্রাণ নেই ? কে বলে, কেউ কারোর পাশে দাঁড়ায় না ? পাশে দাঁড়ায় বইকি । দরকারে বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত । কারণ, আজও যে তিলোত্তমার বুকে বেঁচে আছেন মহম্মদ শাহিদের মতো মানুষ ।

মহম্মদ শাহিদ । পেশায় ট্যাক্সিচালক । গতকাল বিকেলে তাঁর ট্যাক্সিতে ওঠেন মসিউর রহমান । যাদবপুরের অরবিন্দ নগরে বাড়ি মসিউরের । গতকাল মুকুন্দপুর এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে তিনি ট্যাক্সিতে চড়েছিলেন । নেমেছিলেন সাউথ সিটির উলটোদিকে । ভুল করে ফেলে এসেছিলেন একটি ব্যাকপ্যাক । তাতে ছিল চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি কাগজপত্র ও কিছু সোনার গয়না । শুরু হয় খোঁজ । পরে অভিযোগ লেখাতে লেক থানায় যান মসিউর ।

taxi
সোনার গয়না ফিরিয়েছেন ট্যাক্সিচালক শাহিদ

এদিকে, ট্যাক্সিতে ব্যাকপ্যাকের অস্তিত্ব বুঝেই তা নিয়ে এন্টালি থানায় হাজির হন শাহিদ । খুলে বলেন গোটা ঘটনা । এন্টালি থানা থেকে অন্যান্য থানায় ফোন যায় । লেক থানার পুলিশ জানায়, মসিউর নামে এক ব্যক্তি ওই ব্যাকপ্যাক ভুলে ফেলে এসেছেন । মসিউরকে পাঠানো হয় এন্টালি থানায় । নিজের জিনিস ফিরে পান তিনি । খুশি হয়ে, শাহিদকে মিষ্টি খাওয়ার টাকা দিতে যান ।

আলো-আঁধারি পথে ততক্ষণে ট্যাক্সিতে স্টার্ট দিয়েছেন শাহিদ । মিষ্টির টাকা না নিয়েই বেরিয়ে যান পরের সওয়ারির সন্ধানে । পরিবারের মুখে "নাস্তা" তুলে দিতে হবে যে !

Intro:কলকাতা, ২২ জুলাই: কে বলে এ শহর উন্নাসিক! কে বলে এ শহরের প্রাণ নেই? কে বলে, পথ পাশে শব দেখেও নাকে রুমাল চাপা দিয়ে সভ্যতা দিব্যি পার হয়ে যায় রাজপথ? আজও তিলোত্তমার বুকে বেঁচে আছেন মহম্মদ শহিদরা। পেশায় ট্যাক্সি চালক। সততাকে পাথেয় করে যারা দাপিয়ে বেড়ান কলকাতার রাজপথ। দেখান মানবিকতা। পরিচয় দেন সততার। আর তাই আজও কলকাতা আছে কলকাতাতেই।Body:যাদবপুরের অরবিন্দ নগরের মসিউর রহমান। সন্ধ্যায় লেক থানায় আসেন। জানান, ট্যাক্সিতে চড়ে তিনি সাউথ সিটির উল্টোদিকে নেমেছিলেন। ট্যাক্সিটি নিয়েছিলেন মুকুন্দপুর এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে। কিন্তু ট্যাক্সি পেয়েছিলে আসেন একটি ব্যাকপ্যাক। যাকে চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরী কাগজপত্র ছিল। আর ছিল বেশ কিছু সোনার গয়না। শুরু হয় খোঁজ। জানা যায়, শহিদ পৌঁছে গিয়েছেন এন্টালি থানায়। জানিয়েছেন ব্যাকপ্যাকের কথা। পুলিশ মসিউরকে পাঠিয়ে দেয় এন্টালি থানায়। সেখানেই গয়না কাগজপত্রসহ ব্যাকপ্যাক হাত বদল হয়। খুশি হয়ে মশিউর শহিদকে ‌ মিষ্টি খাওয়ার টাকা দিতে চান। আলো-আঁধারি পথে ততক্ষণে ট্যাক্সিতে স্টার্ট দিয়েছেন শহিদ।Conclusion:আসলে এ শহরে এখনো বেঁচে আছে শহিদরা। তাঁদের জন্যই তিলোত্তমার আজও বেঁচে আছে হৃদয়খানা। যাদের নিজেদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। শহরের এক চিলতে মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ে চলে কোন রকমের সংসার। মিষ্টির টাকা থাকে না নিয়েই বেরিয়ে যান পরের সওয়ারির লক্ষ্যে। পরিবারের মুখে “নাস্তা" তুলে দিতে হবে যে...।






Last Updated : Jul 22, 2019, 3:22 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.