কলকাতা, 13 অক্টোবর: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত তাজপুরের ডিপ সি পোর্ট (Tajpur deep sea port) একেবারে ঢপের চপ । 2024 লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তাজপুরের ডিপ সি পোর্ট নিয়ে মিথ্যা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাইরে এই ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendhu Adhikari slams Mamata Banerjee) ৷
প্রসঙ্গত, বুধবার আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) হাতে বন্দর তৈরির অনুমতি পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে ৷ কিন্তু বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, "এই পোর্ট বানাতে গেলে ওয়ার হাউজ এবং করিডর তৈরি করতে হয়। তার জন্য জমির প্রয়োজন। সেই জমি কোথায়? পোর্ট বানাতে ফ্রেট করিডোরের প্রয়োজন পড়ে অর্থাৎ রেললাইন লাগে। দিঘায় 30 কিমি মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তা তো হরিবোল হয়ে গিয়েছে। মেরিন ড্রাইভের গার্ড ওয়ালের পর থেকে সব জমি বেসরকারি জমি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি হল তিনি কোনওরকম ব্যক্তি মালিকানার জমি অধিগ্রহণ করবেন না।"
সবমিলিয়ে শুভেন্দুর কথায় তাজপুর ডিপ সি পোর্টের বাস্তবায়ন ঘোর সংশয় ছাড়া কিছুই নয় ৷ পাশাপাশি এদিন তৃণমূল বিধায়ক তথা গ্রেফতার হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর চিঠি নিয়ে মমতার সরকারকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, "মানিক ভট্টাচার্যের কেস ডায়েরিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটি চিঠির উলেখ করেছে, যেটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ৷ ওই চিঠিতে যুব তৃণমূলের এক সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে টাকা তোলার কথা জানানো হয়েছে।"
আরও পড়ুন: ক্ষমতাহীন হলে বিজেপিরও কান মুলবে এজেন্সি, হুঁশিয়ারি মমতার
এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্য গিয়াসুদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথাও এদিন উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তিনি জানিয়েছেন, যে প্রমাণ স্বরূপ গিয়াসুদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করার মত সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং কাগজপত্র তাঁর কাছে রয়েছে, যা তিনি সময়মত প্রকাশ করবেন।