কলকাতা, 15 জুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে (Presidential Election 2022) কেন্দ্র করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী ঐক্য শান দেওয়ার কাজ করছেন, ঠিক তখন কলকাতায় এর বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Bengal Opposition Leader Suvendu Adhikari) । রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী এই রাজ্য থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যার থেকে বেশি ভোট পাবেন । গোয়া, ত্রিপুরার মতো এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Bengal CM Mamata Banerjee) উদ্যোগ ব্যর্থ হবে ।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । খুব স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী ঐক্যের যে সলতে পাকানোর কাজ, তা শুরু করেছেন তিনি । যদিও এই বৈঠকে বিরোধী 22টি রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য ডাকলেও আলোচনার টেবিলে যোগ দেননি সকলে ।
এই অবস্থায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রবল কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক । তিনি বলেন, ‘‘ওই বৈঠকের কোনও গুরুত্ব নেই বলেই, জগন্মোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাও এবং নবীন পট্টনায়েকের মতো নেতারা বৈঠকে যাচ্ছেন না । কাজেই এই বৈঠক সফল হবে না ।’’
শুভেন্দু অধিকারী এদিন দাবি করেছেন, এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এই রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন । তিনি বলেন, ‘‘গতবার বিজেপির 3 বিধায়ক থাকলেও এই রাজ্য থেকে রামনাথ কোবিন্দ 13 জনের ভোট পেয়েছিলেন । এবার বিজেপির বিধায়ক 70 জন । তার থেকেও বেশি জনের ভোট এনডিএ প্রার্থী পাবেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী । গতবার 2 সাংসদ রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন, এবার অন্তত 18 জনের ভোট ঝুলিতে আসবে । সংখ্যাটা 18-র বেশিও হতে পারে ।’’
যদিও এই মুহূর্তে সেই হিসেবে রাজ্য থেকে লোকসভায় বিজেপির (BJP) আসন সংখ্যা 16 । শুভেন্দু এদিন দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের গণনার দিন তিনি সবাইকে লাড্ডু খাওয়াবেন । কারণ, তৃণমূল সুপ্রিমো যাই করুন না কেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থীর জয় নিশ্চিত ।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আজ কারা এই কথা বলছেন, রাজীব গান্ধির অন্ধ বিরোধিতা করতে গিয়ে এক সময় যারা বামেদের হাত ধরেছিল, তাদের মুখে এসব মানায় না । মনে রাখতে হবে রাজ্যের প্রেক্ষিত আর জাতীয় ক্ষেত্র এক নয় । বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে অনেক কিছুই উপেক্ষা করতে হয় । আজকে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবেশ বজায় রাখতে, ভারতবর্ষকে অটুট রাখতে, জাতীয় সংহতি বজায় রাখতে একটা বৃহত্তর মঞ্চ দরকার । সেই কাজটি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।’’
আরও পড়ুন : Presidential Election 2022 : নারাজ পাওয়ার, রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থীর খোঁজে বিরোধীরা