কলকাতা, 22 অগস্ট : জেরা যত এগোচ্ছে, ততই নতুন তথ্য উঠে আসছে আল কায়দা (Al Qaeda) জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনায় ৷ যে দু’জন ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে আব্দুর রাকিব বাংলার দু’টি মসজিদে ইমাম (Imam) হিসেবে কাজ করত ৷ জেরায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফের (STF) সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
কিন্তু কেন সে এই কাজ করত ? এসটিএফ সূত্রে খবর, বাংলায় আল কায়দার জঙ্গি মডিউলকে (Terrorist Module) আরও শক্তিশালী করতেই সে এই দায়িত্ব নিয়েছিল ৷ তবে এর সঙ্গে সে আরও একাধিক কাজ করেছে ৷ কখনও গাড়ির ব্যবসা করেছে ৷ আবার কখনও শিক্ষকতা করেছে ৷ কিন্তু প্রতিক্ষেত্রেই তার উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গি কার্যকলাপকে আরও শক্তিশালী করা ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, সম্প্রতি রাকিব ও কাজি এহসান নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ ৷ দু’জনেই আল কায়দা জঙ্গি বলে অভিযোগ ৷ আপাতত তারা এসটিএফের হেফাজতেই রয়েছে ৷ একদিকে তাঁদের জেরা পর্ব যেমন চলছে, তেমনই চলছে তাদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান ৷
সূত্রের খবর, জেরায় প্রতিদিনই নানা তথ্য উঠে আসছে ৷ এখনও পর্যন্ত এসটিএফ জানতে পেরেছে যে প্রাথমিকভাবে এলাকা চিহ্নিত করার কাজ করত রাকিব ৷ তাছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেকার যুবক-যুবতীদেরও চিহ্নিত করার কাজও করত সে ৷ তার পর ওই যুবক-যুবতীদের মগজ ধোলাইয়ের কাজ করত ৷ তাদের মনে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বীজ বপন করতে সে ৷
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় গোয়েন্দাদের ধৃত আব্দুর রাকিব জানিয়েছেন যে তিনি বাংলাদেশ থেকে একাধিক জঙ্গিকে এই বাংলায় ঢুকিয়েছেন । কিন্তু তারা এই রাজ্যের কোন কোন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বা আত্মগোপন করে রয়েছে, তার সঠিক তথ্য এখনও পাননি গোয়েন্দারা ।
ফলে এখন ওই জঙ্গিদের খোঁজার কাজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা ৷ তাছাড়া ইমাম হিসেবে আব্দুর রাকিব মূলত কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, এই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা ৷
আরও পড়ুন : বাংলার যুবকদের জেহাদি ভাবধারায় প্রভাবিত করাই প্রধান কাজ ছিল ধৃত আল কায়দা জঙ্গি রাকিবের