কলকাতা, 26 জুলাই : ক’দিন আগেই বলেছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী না থাকলে বিধানসভা চালাতে অসুবিধা হবে । বয়ান বদল করে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal Assembly Speaker Biman Banerjee) জানিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন । কাজেই পরিষদীয় মন্ত্রী না থাকলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয় ।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Bengal Minister Partha Chatterjee) নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি দাবি করেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তদন্ত শেষ হোক । কোনও তদন্ত অনন্তকাল চলতে পারে না । তাই দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ হোক । কে দোষী, কে দোষী নয়-তা প্রকাশ্যে আসুক । এদিন ঠিক কি বলেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তিনি বলেন, ‘‘কার কবে কিভাবে বিপদ আসবে কেউ জানে না । কাজেই আজকে যাঁরা মুচকি হাসছেন, তাঁদের এই হাসি কবে লোপাট হয়ে যাবে, তা কেউ জানে না । কিভাবে কি হচ্ছে, না হচ্ছে তা নিয়ে আমাদেরও সন্দেহ রয়েছে । যেহেতু তদন্ত চলছে তাই আমি এই নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন টাইম বাউন্ড তদন্ত হোক । তদন্তের নামে বছরের পর বছর এগুলো ফেলে রাখা হবে, তা মেনে নেওয়া যেতে পারে না । কোড অফ ক্রিমিনাল প্রোসিডিওরেও বলা আছে একটা তদন্ত শেষ করতে কতদিন নেওয়া উচিত । লিমিটলেস টাইম নিয়ে একটা তদন্ত চলতে পারে না । কোনও দেশে এমনটা হয় না, যেমন এখানে চলছে ।’’
পরিষদীয় মন্ত্রী গ্রেফতার হাওয়ায় বিধানসভা চালাতে অসুবিধা মুখে পড়তে পারেন অধ্যক্ষ । এর কতটা বাস্তবতা আছে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘এটা কোনও কথার কথা হল না । আমি বিশ্বাস করি না বিধানসভা চালাতে অসুবিধা হবে । একজন প্রতিমন্ত্রী আছেন । এবং সরকারও রয়েছে । আমার মনে হয় রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘কেউ অসুস্থ হতে পারেন । কেউ কোনও কারণে অনুপস্থিত থাকতে পারেন । তার জন্য বিধানসভার কাজ থেমে থাকতে পারে না । রাজ্য মন্ত্রিসভার কোনও মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে নিশ্চয়ই মন্ত্রিসভার কাজ আটকে থাকে না । এখানেও তার কোনও প্রভাব পড়বে না ।’’
প্রসঙ্গত, গতকাল নজরুল মঞ্চে বঙ্গভূষণ এবং বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bengal CM Mamata Banerjee) দাবি তুলেছিলেন, সিবিআই (CBI) বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা দিনের পর দিন চলতে পারে না । যেভাবে অতীতে রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি বা তাপসী মালিক হত্যারহস্য দিনের পর দিন তদন্তের নামে সময় নষ্ট হয়েছে । তা যেন এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় না হয় । বরং এক্ষেত্রে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের কায়দায় তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ হোক । মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যের পর মঙ্গলবার বিধানসভার স্পিকারের গলাতেও এক সুরই শোনা গেল ।
আরও পড়ুন : Partha Chatterjee Interrogation: কী জানতে চাওয়া হবে পার্থর থেকে ? দিল্লি থেকে পাঠানো প্রশ্নমালায় চলবে জেরা