কলকাতা, 26 নভেম্বর : সংবিধান দিবসে (Constitution Day of India) বিরোধিতার একই ছবি দেখা গেল দিল্লি ও কলকাতায় ৷ নয়াদিল্লিতে আয়োজিত সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন বিরোধীরা ৷ যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ৷ বিরোধীদের সাংবিধানিক দায়-দায়িত্ব ও গণতন্ত্রের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি ৷ লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী বিধায়করা ৷ যাঁরা আদতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরই (Prime Minister Narendra Modi) দলীয় সহকর্মী !
প্রথা মাফিক এদিন বিধানসভায় সংবিধান দিবস (Constitution Day Program at Assembly) পালন করা হয় ৷ কিন্তু, সেই অনুষ্ঠানে সামিল হননি বিজেপি বিধায়করা ৷ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রকাশ্যেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Speaker Biman Banerjee on Opposition Absence) ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘তাঁরা কেন আসেননি, সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন ৷ তাঁদেরই এই প্রশ্ন করুন ৷’’ স্বাভাবিকভাবেই সংসদেও বিরোধীদের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ ওঠে ৷ কেন তাঁরা অনুষ্ঠানে যোগ দেননি, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় বিধানসভার অধ্যক্ষকে ৷ যদিও তা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিমান ৷
এদিকে, বিধানসভা তথা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আবারও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সংঘাত শুরু হয়েছে ৷ বালি পৌরসভার বিভাজন সংক্রান্ত বিলে এখনও স্বাক্ষর করেননি ধনকড় ৷ রাজ্যপালের এই ভূমিকায় তিনি যে অত্যন্ত বিরক্ত, তা প্রকাশ করতে কোনও রাখঢাক করেননি বিমান ৷ তাঁর বক্তব্য, বিধানসভা এবং রাজ্যপাল দু’টি আলাদা প্রতিষ্ঠান হলেও তাঁদের মধ্যে সমন্বয় একান্ত জরুরি ৷ তা না হলে রাজ্যের প্রশাসনিক কাজকর্ম থমকে যায় ৷ তাই এই ধরনের পরিস্থিতি কাম্য নয় বলেই মনে করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ ৷
আরও পড়ুন : Howrah Bally : হাওড়া থেকে আলাদা বালি পৌরসভা, বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাস প্রস্তাব
এই প্রসঙ্গে, বিতর্কিত তিন কৃষি বিলের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন বিমান ৷ তিনি বলেন, কৃষি বিল যেহেতু কেন্দ্রের এজেন্ডা ছিল, তাই বিরোধীদের কোনও আপত্তিকেই পাত্তা দেয়নি তারা ৷ এমনকী, দেশজুড়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলেও তাকে আমল দেওয়া হয়নি ৷ ধ্বনি ভোটে তড়িঘড়ি তিনটি কৃষি বিল পাস করে দেওয়া হয়েছে ৷ অথচ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিলের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এই তৎপরতা দেখা যায় না ৷