ETV Bharat / city

15 দিনেই সম্পর্কে ফাটল, BJP ছাড়ছেন শোভন-বৈশাখি ? - bjp

মাত্র 15 দিনেই ভোলবদল কেন ? রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে কি মানিয়ে নিতে পারছেন না একদা মমতার প্রিয়পাত্র শোভন চট্টোপাধ্যায় ? শোনা যাচ্ছে, 'বিপদের বন্ধু' বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেউ কিছু বললেই তিনি রেগে যাচ্ছেন । আগে তৃণমূল নেতা, নেত্রীদের 'টিপ্পনি' সহ্য করতে পারেননি । ক্ষুব্ধ শোভন দলই ছেড়ে দেন । আশা করেছিলেন, BJP-তে এসে সময় ফিরবে ।

শোভন
author img

By

Published : Aug 31, 2019, 6:25 PM IST

কলকাতা, 31 অগাস্ট : 14 অগাস্ট 2019 । হাসতে হাসতে BJP-তে গেলেন তিনি । সঙ্গে 'বিপদের বন্ধু' । সাংবাদিক বৈঠকে সর্বসমক্ষে বললেন, "যা কাজ দেবে তাই করব । শর্ত নিয়ে যোগদান করছি না । পদও চাই না । শুধু মন দিয়ে রাজনীতিটা করতে চাই ।"

কাট টু । 31 অগাস্ট 2019 । ঘনিষ্ঠ মহলে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলছেন, "BJP থেকে নিষ্কৃতি চাই ।"

মাত্র 15 দিনেই ভোলবদল কেন ? রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে কি মানিয়ে নিতে পারছেন না একদা মমতার প্রিয়পাত্র শোভন চট্টোপাধ্যায় ? শোনা যাচ্ছে, 'বিপদের বন্ধু' বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেউ কিছু বললেই তিনি রেগে যাচ্ছেন । আগে তৃণমূল নেতা, নেত্রীদের 'টিপ্পনি' সহ্য করতে পারেননি । ক্ষুব্ধ শোভন দলই ছেড়ে দেন । আশা করেছিলেন, BJP-তে এসে সময় ফিরবে ।

কোথায় কী ? শোভন এলেন । এলেন বৈশাখিও । মাঝে হঠাৎই চলে এলেন দেবশ্রী রায় । রায়দিঘির বিধায়ক তথা শোভনের 'অনেক পুরোনো বন্ধু' । বর্তমানে অবশ্য তাঁদের বন্ধুত্ব নেই বললেই চলে । দিল্লির সদর দপ্তরে দেবশ্রীকে দেখেই বেঁকে বসলেন দু'জন । বলে দিলেন, "দেবশ্রী এলে আমরা যোগ দেব না ।" বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেবশ্রীকে দলে জায়গা না দিয়েই ফেরত পাঠায় । শোনা যাচ্ছিল, দেবশ্রীকে BJP-তে যোগদান করাতে উদগ্রীব ছিলেন রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার । যদিও তিনি এবিষয়টি অস্বীকার করেন ।

এর মাঝেই দিন কাটছিল । কলকাতা ফিরলেন শোভন-বৈশাখি । রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকও করলেন । কিন্তু, ভাষায় ভাষায় শুনছিলেন, দেবশ্রী আসছে দলে । তারপর থেকে মুখ দিয়ে রা কাটেননি । রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য চেষ্টা চালাচ্ছিল 'রাগ' কমানোর ।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র আবাসনে একটি বৈঠক হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন (সহকারী পর্যবেক্ষক) ও জয়প্রকাশ মজুমদার । বৈঠকে দু-এক কথাও শোনান কৈলাস । সূত্রের খবর, তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যে ছিলেন বৈশাখি । কৈলাস মনে করেন, দেবশ্রীকে দলে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন বৈশাখি । সেই বাধা আর মানা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ।

কৈলাসের বাক্য বিনিময় পছন্দ হয়নি শোভনের । ঘনিষ্ঠরা বলছেন, "বন্ধুর অপমান সহ্য করতে পারেন না শোভন । দিদিকেও ছেড়েছেন । কৈলাসদার কাছ থেকেও নিষ্কৃতি চেয়ে এসেছেন । বলেছেন, অমর্যাদা নিয়ে থাকতে চাই না ।" কার অমর্যাদা ? ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, বৈশাখির অমর্যাদাই শোভনের অমর্যাদা ।

শোভন-বৈশাখি দল ছেড়ে দেবেন ? এবিষয়ে ভাবতেই রাজি নন রাজ্য BJP-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু । তিনি বলেন, "আমরা কাউকে ধরে-বেঁধে আনিনি । তাড়িয়েও দিতে চাইনি । প্রত্যেককে সম্মান দিই । পার্টির কাছে উনি এবিষয়ে কিছু বলেননি । পার্টিতে কেউ চাকরি করতে আসেনি । প্রত্যেককে স্বাগত । শোভনদা ও বৈশাখিদিকে পার্টি থেকে বের করতে রাজি নই । কেউ যদি দল ছাড়তে চায় ছাড়তে পারে । পার্টি কারোর থেকে ছোটো নয় । আমাদের পার্টির কাছে সবার আগে দেশ, তারপর পার্টি, শেষে ব্যক্তি ।"

দেবশ্রী রায় কি BJP-তে যোগ দিচ্ছেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে সায়ন্তন বলেন, "উনি যদি BJP-তে যোগ দেন, তা হলে কেন নেব না ? আমাদের সঙ্গে তো ওঁর শত্রুতা নেই । বন্ধুত্বও নেই ।"

কলকাতা, 31 অগাস্ট : 14 অগাস্ট 2019 । হাসতে হাসতে BJP-তে গেলেন তিনি । সঙ্গে 'বিপদের বন্ধু' । সাংবাদিক বৈঠকে সর্বসমক্ষে বললেন, "যা কাজ দেবে তাই করব । শর্ত নিয়ে যোগদান করছি না । পদও চাই না । শুধু মন দিয়ে রাজনীতিটা করতে চাই ।"

কাট টু । 31 অগাস্ট 2019 । ঘনিষ্ঠ মহলে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলছেন, "BJP থেকে নিষ্কৃতি চাই ।"

মাত্র 15 দিনেই ভোলবদল কেন ? রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে কি মানিয়ে নিতে পারছেন না একদা মমতার প্রিয়পাত্র শোভন চট্টোপাধ্যায় ? শোনা যাচ্ছে, 'বিপদের বন্ধু' বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেউ কিছু বললেই তিনি রেগে যাচ্ছেন । আগে তৃণমূল নেতা, নেত্রীদের 'টিপ্পনি' সহ্য করতে পারেননি । ক্ষুব্ধ শোভন দলই ছেড়ে দেন । আশা করেছিলেন, BJP-তে এসে সময় ফিরবে ।

কোথায় কী ? শোভন এলেন । এলেন বৈশাখিও । মাঝে হঠাৎই চলে এলেন দেবশ্রী রায় । রায়দিঘির বিধায়ক তথা শোভনের 'অনেক পুরোনো বন্ধু' । বর্তমানে অবশ্য তাঁদের বন্ধুত্ব নেই বললেই চলে । দিল্লির সদর দপ্তরে দেবশ্রীকে দেখেই বেঁকে বসলেন দু'জন । বলে দিলেন, "দেবশ্রী এলে আমরা যোগ দেব না ।" বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেবশ্রীকে দলে জায়গা না দিয়েই ফেরত পাঠায় । শোনা যাচ্ছিল, দেবশ্রীকে BJP-তে যোগদান করাতে উদগ্রীব ছিলেন রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার । যদিও তিনি এবিষয়টি অস্বীকার করেন ।

এর মাঝেই দিন কাটছিল । কলকাতা ফিরলেন শোভন-বৈশাখি । রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকও করলেন । কিন্তু, ভাষায় ভাষায় শুনছিলেন, দেবশ্রী আসছে দলে । তারপর থেকে মুখ দিয়ে রা কাটেননি । রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য চেষ্টা চালাচ্ছিল 'রাগ' কমানোর ।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র আবাসনে একটি বৈঠক হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন (সহকারী পর্যবেক্ষক) ও জয়প্রকাশ মজুমদার । বৈঠকে দু-এক কথাও শোনান কৈলাস । সূত্রের খবর, তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যে ছিলেন বৈশাখি । কৈলাস মনে করেন, দেবশ্রীকে দলে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন বৈশাখি । সেই বাধা আর মানা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ।

কৈলাসের বাক্য বিনিময় পছন্দ হয়নি শোভনের । ঘনিষ্ঠরা বলছেন, "বন্ধুর অপমান সহ্য করতে পারেন না শোভন । দিদিকেও ছেড়েছেন । কৈলাসদার কাছ থেকেও নিষ্কৃতি চেয়ে এসেছেন । বলেছেন, অমর্যাদা নিয়ে থাকতে চাই না ।" কার অমর্যাদা ? ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, বৈশাখির অমর্যাদাই শোভনের অমর্যাদা ।

শোভন-বৈশাখি দল ছেড়ে দেবেন ? এবিষয়ে ভাবতেই রাজি নন রাজ্য BJP-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু । তিনি বলেন, "আমরা কাউকে ধরে-বেঁধে আনিনি । তাড়িয়েও দিতে চাইনি । প্রত্যেককে সম্মান দিই । পার্টির কাছে উনি এবিষয়ে কিছু বলেননি । পার্টিতে কেউ চাকরি করতে আসেনি । প্রত্যেককে স্বাগত । শোভনদা ও বৈশাখিদিকে পার্টি থেকে বের করতে রাজি নই । কেউ যদি দল ছাড়তে চায় ছাড়তে পারে । পার্টি কারোর থেকে ছোটো নয় । আমাদের পার্টির কাছে সবার আগে দেশ, তারপর পার্টি, শেষে ব্যক্তি ।"

দেবশ্রী রায় কি BJP-তে যোগ দিচ্ছেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে সায়ন্তন বলেন, "উনি যদি BJP-তে যোগ দেন, তা হলে কেন নেব না ? আমাদের সঙ্গে তো ওঁর শত্রুতা নেই । বন্ধুত্বও নেই ।"

Intro:


শোভ- বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে ছাড়তে চায়। এই ইশুতে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন

" আমরা কাউকে ধোরে বেধে আনি নি। ধোরে বেধে রাখি নি। কাউকে তাড়িয়েও দিতে চাই নি। প্রত্যাকের যা যা সম্মান। তা দিয়েই পাটি তাকে ব্যাবহার করতে চায়। যেহেতু আমার কাছে বা পাটির কাছে এই বিষয়ে তিনি কিছু বলেন নি। তাই বিষয় টা কিছু বলা সম্ভব নয়। যেহুতু উনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন। তাই আপনার মাধ্যমে বলতে চাই পাটি কাউকে ধরে বেধে রাখে না। কেউ পাটিতে চাকরি করতে আসে নি। প্রত্যাকে স্বাগত আছে। যখন চাইবেন আসবেন। যখন চাইবেন যাবেন। প্রত্যকে পাটিতে স্বাগত আছেন। পাটির দায়িত্ব কাকে কোন জায়গায় বসিয়ে। কী দায়িত্ব দিয়ে সম্মান জানাবে। প্রত্যাকের সম্মান আমরা দিতে চাই। আগামী দিনেও দেব। এটা বলতে চাই। আমরা শোভন ও বৈশাখী দেবীকে পাটি থেকে বের করতে রাজি নই। তবে ICCR।মিটিং এ শোভন চট্টোপাধ্যায় আমন্ত্রিত ছিলো। তবে এটা মিস কমিনিকেশন হতে পারে। তাকে আমন্ত্রন না করার জন্য। তাকে জানাতে কেউ ভুল করেছে। বৈশাখী দেবী আমন্ত্রন ছিলেন না। কারণ এটা সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠক।

আমার কাছে তো কেউ কিছু বলে নি। কেউ যদি দল ছাড়তে চায় ছাড়তে পারে। কেউ যদি ধরতে চায় ধরতে পারে। কে ধরতে না করেছে। কে ছাড়তে না করেছে। পাটি কারোর থেকে ছোট নয়, পাটি সবার উপরে। আমাদের পাটিতে সবার আগে দেশ। তার পর পাটি। তার পর ব্যক্তি।

তবে কী দেবশ্রী রায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে বলেই শোভন-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কী বিজেপি ছাড়াছে? এই প্রশ্নের উত্তরে সায়ন্তন বসু বলেন,
"দেবশ্রী রায় যদি বিজেপিতে যোগ দেয়। তা হলে তাকে আমরা নেবো না। সেটা তো বলতে পারি না। আমাদের সঙ্গে তার কোনও শত্রুতা নেইও কোনও বন্ধুত্বও নেই"
Body:কপিConclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.