কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: মাত্র সাতদিনেই আইএফএ এবং তার লিগের আর্থিক পৃষ্ঠপোষক -এর মধুচন্দ্রিমা শেষ। আইএফএ থেকে স্পনসর হিসেবে সরে যাচ্ছে এসএনইউ বা সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি (SNU is no longer sponsor of IFA) ৷ মাত্র সাতদিন আগে 21 সেপ্টেম্বর মধ্য কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে আইএফএ-এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পরিকল্পনা করে গাঁটছড়া বেঁধে ছিলেন এসএনইউ -এর কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী (Satyam Roychowdhury )।
মাত্র কয়েক দিন যেতে না যেতেই তাল কাটল বুধবার বিকেলে । এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষ থেকে ই-মেল করে আইএফএকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা আর স্পনসর হিসেবে থাকতে চায় না। এই ব্যাপারে আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত বলেন,"একটা ইমেল এসেছে। তবে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। কথা বলে সমস্যাটা জানার চেষ্টা করব। তারপর মন্তব্য করতে পারব।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপার কাপ থেকে আইএফএ-র স্পনসর হিসেবে চুক্তি করেছিলেন সত্যম রায়চৌধুরী। এমনকী 21 সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সম্মেলনে সত্যম রায়চৌধুরী বলেছিলেন , "আমরা আইএফএ-এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে যেতে চাই। আইএফএ ইচ্ছে করলে যেকোনও সময় দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করতে পারে। আমরা আইএফএ-এর সঙ্গে থাকব।" তাঁর এই উদ্যোগে মুগ্ধ হয়ে আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত সেদিন পৃষ্টপোষক সংস্থার কর্নধারকে আইএফ-র পেট্রন করার প্রস্তাব ভেবে দেখার কথা বলেছিলেন। এইরকম ‘ফিলগুড’ পরিস্থিতির মধ্যে যাত্রা শুরু হওয়ার 7দিনের মধ্যে আইএফএ-এর সঙ্গে বিচ্ছেদের চিঠি এসএনইউএর। কর্ণধার সত্যম রায় চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কারণ তিনি আগরতলা গিয়েছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও প্রেস বার্তা প্রকাশ করা হয়নি। তাই জটটা কোথায় এবং স্পনসর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা বলা যাচ্ছে না। তবে কলকাতা ময়দানে একটা সামগ্রিক অস্থিরতা চলছে তা জলের মত স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: মেসি-রোনাল্ডোর সঙ্গে একাসনে সুনীল, 'ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক' সম্মান ফিফার
সুতারকিন স্ট্রিটে কান পাতলেই কুর্সির লড়াইয়ের উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছে। সচিব অনির্বান দত্তর সঙ্গে দুই সহসভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস এবং সৌরভ পালের মনকষাকষি কার্যত প্রকাশ্যে। সাতদিন আগের স্পনসর ঘোষণার অনুষ্ঠানে এঁদের দেখা যায়নি। দু‘জনেই বলেছিলেন অন্ধকারে রেখে সচিব যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাই না কি ওই দুজন সেদিনের স্পনসর ঘোষণার অনুষ্ঠানে যাননি। মতান্তর মেটাতে আইএফএ-র চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত এবং প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় দুই ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে লিগের স্পনসর সাতদিনের মধ্যে বিচ্ছেদের চিঠি পাঠানোয় সুতারকিন স্ট্রিট অগ্নিগর্ভ। ময়দানের একটি অংশ বলছে আইএফএ-র ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বরূপ বিশ্বাস না কি রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থার চেয়ারে বসতে উদগ্রীব।
চলতি কলকাতা লিগে অবনমন নেই। তা নিয়ে আইএফএর চার সহসচিবের একজন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অথচ আইএফএর পদাধিকারী হয়ে কীভাবে তিনি এই পদক্ষেপ নিতে পারেন তার ব্যাখ্যা নেই। বলা হচ্ছে সুতারকিন স্ট্রীটে এই অস্থিরতা না কি ম্যান মেড এবং সচিবকে উত্যক্ত করতেই। অন্যদিকে কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে বাকি পাচটি দল খেললেও এটিকে মোহনবাগান শেষ মুহূর্তে নাম তুলে নিয়েছে।