ETV Bharat / city

শেক্সপিয়র সরণি দুর্ঘটনার চার্জশিট পেশ একমাসেই, রয়েছে রাঘিব-সহ আরসালানের নাম - পুলিশের চার্জশিটে নাম রাঘিব ও আরসালানেৈর

শেক্সপিয়র সরণি দুর্ঘটনার যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে আছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ৷ আছে CCTV ফুটেজ, গাড়িটির CDR, সঙ্গে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের তথ্য ৷ সাক্ষী হিসেবে পুলিশ ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে রাঘিবের সল্টলেকের বন্ধুকে ৷ সে ওই দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৷

আরসালান পারভেজ়
author img

By

Published : Sep 18, 2019, 5:10 PM IST

কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর : একমাসের মধ্যেই শেক্সপিয়র সরণি দুর্ঘটনার চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে রাঘিব পারভেজ়ের নাম পেশ করা হয়েছে ৷ তার বিরুদ্ধে 304, 308, 427 ও 279 ধারা, 3 PDPP ACT, 119 ও 177 MV অ্যাক্টে চার্জ এনেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা ৷ চার্জশিটে রাঘিবের ভাই আরসালান পারভেজ় ও তাদের মামা মহম্মদ হামজ়ার নাম রয়েছে ৷ রাঘিবকে পালাতে সাহায্য করার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে 201 ধারায় চার্জ এনেছে পুলিশ ৷ হামজ়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত 212 ধারাতেও চার্জ এনেছে পুলিশ ৷ কারণ, তিনি রাঘিবকে দুবাই পালাতে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ৷

17 অগাস্ট রাতে বেপরোয়া জাগুয়ার প্রথমে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজ়কে ৷ তারপর ধাক্কা মারে তিন পথচারীকে ৷ তাঁদের মধ্যে দু'জন বাংলাদেশের নাগরিক ৷ তাঁদের SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ রাতেই ঘাতক গাড়িটিকে আটক করে পুলিশ ৷ সেই সূত্রে জানা যায়, গাড়িটি আরসালান পারভেজ়ের । এরপরে অবশ্য বছর বাইশের পারভেজ় শেক্সপিয়র সরণি থানায় এসে ধরা দেয় ৷ প্রাথমিকভাবে, তার বিরুদ্ধে 304এ ধারায় মামলা করা হলেও, পরে বদলানো হয় সেই ধারা ৷ জামিন অযোগ্য 304-র 2 নম্বর ধারায় মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে ৷ এই কেসের তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা ৷ আরসালানকে দেখে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের ৷ কারণ, তার চেহারায় এয়ারব্যাগ খোলার কোনও চিহ্ন ছিল না ৷ পুলিশ সমস্ত CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে গাড়ি আরসানাল নয়, চালাচ্ছিল তার দাদ রাঘিব পারভেজ় ৷

আরও পড়ুন : শেক্সপিয়ার সরণি দুর্ঘটনায় তদন্তভার গেল গোয়েন্দা বিভাগের হাতে

ঘটনার পাঁচ দিন পর রাঘিবকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ ৷ জানা যায়, মামা হামজ়ার সাহায্যে ঘটনার পরদিন অর্থাৎ 18 অগাস্ট সে দুবাই পালিয়ে যায় । পরে দেশে ফিরেলেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ তখন থেকেই পুলিশ ও জেল হেপাজতে রয়েছে রাঘিব ৷ এই ঘটনায় যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে আছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ৷ আছে CCTV ফুটেজ, গাড়িটির CDR, সঙ্গে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের তথ্য ৷ সাক্ষী হিসেবে পুলিশ ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে রাঘিবের সল্টলেকের বন্ধুকে ৷ সে ওই দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৷ দুর্ঘটনার সময় রাঘিবের সঙ্গে ওই গাড়িতে সে ছিল ৷

কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর : একমাসের মধ্যেই শেক্সপিয়র সরণি দুর্ঘটনার চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে রাঘিব পারভেজ়ের নাম পেশ করা হয়েছে ৷ তার বিরুদ্ধে 304, 308, 427 ও 279 ধারা, 3 PDPP ACT, 119 ও 177 MV অ্যাক্টে চার্জ এনেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা ৷ চার্জশিটে রাঘিবের ভাই আরসালান পারভেজ় ও তাদের মামা মহম্মদ হামজ়ার নাম রয়েছে ৷ রাঘিবকে পালাতে সাহায্য করার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে 201 ধারায় চার্জ এনেছে পুলিশ ৷ হামজ়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত 212 ধারাতেও চার্জ এনেছে পুলিশ ৷ কারণ, তিনি রাঘিবকে দুবাই পালাতে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ৷

17 অগাস্ট রাতে বেপরোয়া জাগুয়ার প্রথমে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজ়কে ৷ তারপর ধাক্কা মারে তিন পথচারীকে ৷ তাঁদের মধ্যে দু'জন বাংলাদেশের নাগরিক ৷ তাঁদের SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ রাতেই ঘাতক গাড়িটিকে আটক করে পুলিশ ৷ সেই সূত্রে জানা যায়, গাড়িটি আরসালান পারভেজ়ের । এরপরে অবশ্য বছর বাইশের পারভেজ় শেক্সপিয়র সরণি থানায় এসে ধরা দেয় ৷ প্রাথমিকভাবে, তার বিরুদ্ধে 304এ ধারায় মামলা করা হলেও, পরে বদলানো হয় সেই ধারা ৷ জামিন অযোগ্য 304-র 2 নম্বর ধারায় মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে ৷ এই কেসের তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা ৷ আরসালানকে দেখে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের ৷ কারণ, তার চেহারায় এয়ারব্যাগ খোলার কোনও চিহ্ন ছিল না ৷ পুলিশ সমস্ত CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে গাড়ি আরসানাল নয়, চালাচ্ছিল তার দাদ রাঘিব পারভেজ় ৷

আরও পড়ুন : শেক্সপিয়ার সরণি দুর্ঘটনায় তদন্তভার গেল গোয়েন্দা বিভাগের হাতে

ঘটনার পাঁচ দিন পর রাঘিবকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ ৷ জানা যায়, মামা হামজ়ার সাহায্যে ঘটনার পরদিন অর্থাৎ 18 অগাস্ট সে দুবাই পালিয়ে যায় । পরে দেশে ফিরেলেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ তখন থেকেই পুলিশ ও জেল হেপাজতে রয়েছে রাঘিব ৷ এই ঘটনায় যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে আছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ৷ আছে CCTV ফুটেজ, গাড়িটির CDR, সঙ্গে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের তথ্য ৷ সাক্ষী হিসেবে পুলিশ ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে রাঘিবের সল্টলেকের বন্ধুকে ৷ সে ওই দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৷ দুর্ঘটনার সময় রাঘিবের সঙ্গে ওই গাড়িতে সে ছিল ৷

Intro:কলকাতা, ১৮ সেপ্টেম্বর: ৩১ দিন আগে ঘটেছিল দুর্ঘটনা। ঠিক একমাসের মাথায় শেক্সপীয়ার সরণী দুর্ঘটনার চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে নাকি রাঘিব পারভেজকে। তার বিরুদ্ধে 304/308/427/279 IPC,3 PDPP ACT, 119/177 MV ACT এ চার্জ এনেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগ। চার্জশিটে অপরাধীকে আড়াল করার জন্য রাগিবের ভাই আরসানাল পারভেজ এবং তাদের মামা মহ: হামজাকে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই ২০১ ধারায় চার্জ এনেছে পুলিশ। হামজার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত 212 ধারাতেও চার্জ আনা হয়েছে। কারণ তিনি রাঘিবকে পালাতে সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযোগ। গতি প্রকৃতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে এই কেসের কাস্টোডি ট্রায়াল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।Body:গত 17 অগাস্ট রাতে লওডন স্ট্রিটে একটি বেপরোয়া জাগুয়ার গাড়ি প্রথমে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজ গাড়িকে। তারপর ধাক্কা মারে 3 পথচারীকে। তাদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার জেরে গ্রেপ্তার করা হয় আর্সেনাল রেস্টুরেন্ট চেনের মালিকের ছেলে আরসানালকে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত দুজনের নাম মইনুল আলম এবং ফারহানা ইসলাম তানিয়া। মইনুলের বয়স 36। তিনি বাংলাদেশের ঝিনাইদহর বাসিন্দা ছিলেন।আর তানিয়ার বয়স তিরিশ। তিনি ঢাকাবাসী। তারা টুরিস্ট ভিসায় এদেশে এসেছিলেন। তৃতীয় ব্যক্তির অবশ্য তেমন বড় চোট লাগেনি। তাকে এসএসকেএম-এ প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনিও বাংলাদেশের নাগরিক। নাম কাজী মহম্মদ সফি রহমতউল্লাহ। বয়স ৩৬। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ গাড়িতে থাকা ড্রাইভার প্যাসেঞ্জাররাও আহত হয়েছেন। তাদের নাম অমিত কাজারিয়া এবং কণিকা কাজারিয়া। তাদের অবশ্য পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে তাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়।

রাতেই ঘাতক গাড়িটিকে আটক করে পুলিশ। সেই সূত্রে জানা যায়, গাড়িটি আর্সেনাল পারভেজের। এরপরেই বছর বাইশের পারভেজ শেকসপিয়র থানায় এসে ধরা দেয়। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে ৩০৪ A ধারায় মামলা করা হলেও, পরে বদলানো হয় সেই ধারা। জামিন অযোগ্য ৩০৪ এর ২ নম্বর ধারায় মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এই কেসের তদন্ত ভার নেয় হোমিসাইড শাখা। গোয়েন্দাদের আর্সেনালকে দেখে সন্দেহ হয়। কারণ তার চেহারায় এয়ার ব্যাগ খোলার কোনও চিহ্ন ছিল না। পুলিশ সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে গাড়ি আরসানাল চালাচ্ছিলেন না। চালাচ্ছিলেন তার দাদ রাঘিব।
Conclusion:ঘটনার পাঁচ দিন পর রাঘিবকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। জানা যায়, মামা হামজাদ সহায়তায় ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ 18 অগাস্ট তিনি দুবাই পালিয়েছিলেন। পরে দেশে ফেরত এলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন থেকেই পুলিশ এবং জেল হেফাজতে রয়েছে রাঘিব। ঘটনায় যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ হাতে আছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের। আছে সিসিটিভি ফুটেজ, গাড়িটির সিডিআর, সঙ্গে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ডিটেইলস। সাক্ষী হিসেবে পুলিশ ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে রাঘিবের সল্টলেকের বন্ধুকে। তিনি সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। কারণ রাঘিবের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন তিনিও।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.