কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর : একমাসের মধ্যেই শেক্সপিয়র সরণি দুর্ঘটনার চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে রাঘিব পারভেজ়ের নাম পেশ করা হয়েছে ৷ তার বিরুদ্ধে 304, 308, 427 ও 279 ধারা, 3 PDPP ACT, 119 ও 177 MV অ্যাক্টে চার্জ এনেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা ৷ চার্জশিটে রাঘিবের ভাই আরসালান পারভেজ় ও তাদের মামা মহম্মদ হামজ়ার নাম রয়েছে ৷ রাঘিবকে পালাতে সাহায্য করার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে 201 ধারায় চার্জ এনেছে পুলিশ ৷ হামজ়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত 212 ধারাতেও চার্জ এনেছে পুলিশ ৷ কারণ, তিনি রাঘিবকে দুবাই পালাতে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ৷
17 অগাস্ট রাতে বেপরোয়া জাগুয়ার প্রথমে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজ়কে ৷ তারপর ধাক্কা মারে তিন পথচারীকে ৷ তাঁদের মধ্যে দু'জন বাংলাদেশের নাগরিক ৷ তাঁদের SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ রাতেই ঘাতক গাড়িটিকে আটক করে পুলিশ ৷ সেই সূত্রে জানা যায়, গাড়িটি আরসালান পারভেজ়ের । এরপরে অবশ্য বছর বাইশের পারভেজ় শেক্সপিয়র সরণি থানায় এসে ধরা দেয় ৷ প্রাথমিকভাবে, তার বিরুদ্ধে 304এ ধারায় মামলা করা হলেও, পরে বদলানো হয় সেই ধারা ৷ জামিন অযোগ্য 304-র 2 নম্বর ধারায় মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে ৷ এই কেসের তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা ৷ আরসালানকে দেখে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের ৷ কারণ, তার চেহারায় এয়ারব্যাগ খোলার কোনও চিহ্ন ছিল না ৷ পুলিশ সমস্ত CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে গাড়ি আরসানাল নয়, চালাচ্ছিল তার দাদ রাঘিব পারভেজ় ৷
আরও পড়ুন : শেক্সপিয়ার সরণি দুর্ঘটনায় তদন্তভার গেল গোয়েন্দা বিভাগের হাতে
ঘটনার পাঁচ দিন পর রাঘিবকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ ৷ জানা যায়, মামা হামজ়ার সাহায্যে ঘটনার পরদিন অর্থাৎ 18 অগাস্ট সে দুবাই পালিয়ে যায় । পরে দেশে ফিরেলেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ তখন থেকেই পুলিশ ও জেল হেপাজতে রয়েছে রাঘিব ৷ এই ঘটনায় যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে আছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ৷ আছে CCTV ফুটেজ, গাড়িটির CDR, সঙ্গে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের তথ্য ৷ সাক্ষী হিসেবে পুলিশ ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে রাঘিবের সল্টলেকের বন্ধুকে ৷ সে ওই দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৷ দুর্ঘটনার সময় রাঘিবের সঙ্গে ওই গাড়িতে সে ছিল ৷