কলকাতা ও জলপাইগুড়ি, 11 অগস্ট: বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বৃহস্পতিবার সকালেই গ্রেফতার হয়েছেন । দশবার হাজিরা এড়ানোর পর বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার (Arrest) করেছেন । অনুব্রতর গ্রেফতারের ঘটনায় উচ্ছ্বসিত এসএফআই কর্মীরা (SFI)। রাস্তায় নেমে ডাক-ঢোল পিটিয়ে মানুষকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন তাঁরা (Sweets Distribution) ।
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হবার পরেই জলপাইগুড়িতে এসএফআই-এর পক্ষ থেকে ঢাক বাজিয়ে গুড়-বাতাসা বিলি করা হল । এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক প্রভাকর সরকার বলেন, "যিনি চড়াম চড়াম ঢাক বাজিয়ে গুড় বাতাসা খাওয়ানোর কথা বলতেন, তিনি আজ গ্রেফতার হলেন । তাই আমরা আজ ডিবিসি রোড থেকে প্রতিকি অনুব্রতকে সাজিয়ে মিছিল করে গুড় বাতাসা খাওয়ালাম ।"
এসএফআই রাজ্য অফিস থেকে ইতিমধ্যে প্রতিটি জেলা কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেলিব্রেশনের জন্য । কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় কেষ্ট গ্রেফতারিতে ঢাকঢোল পিটিয়ে, গুড়-বাতাসে-মিষ্টি নিয়ে পথে নেমেছে এসএফআই (SFI celebrates Anubrata Mondal arrest distributing sweets all over Bengal)। বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান ফেসবুক পোস্ট করেন । সেখান তিনি লেখেন, "আজ এসএফআই রাজ্য জুড়ে চড়াম চড়াম ঢাক বাজাবে ৷ সঙ্গে গুড়, বাতাসা ও নকুলদানা বিলি করবে।"
এ প্রসঙ্গে ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "ভোটের আগে অনুব্রত বলেছিল চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে এবং গুড়-বাতাসা ও নকুলদানা বিলি করা হবে । তাই তাঁর গ্রেফতারিতে আমরা চড়াম চড়াম ঢাক বাজিয়ে রাজ্যের মানুষকে গুড়-বাতাসা-নকুলদানা খাইয়ে মিষ্টিমুখ করালাম। রাজ্যের মানুষ জানুক, আবারও একটা উইকেট পড়েছে । কিন্তু এখানেই শেষ নয়, আরও বড় বড় উইকেট পড়বে । সবে 1, 2 করে শুরু হয়েছে । বড় গাছকে ফেলতে হলে শিকড় একটা একটা করে কাটতে হয় । সেই শিকড় একটা একটা করে কাটা শুরু হয়েছে । শিকর কেটে গেলে গাছ এমনি পড়ে যাবে ৷ পিসি-ভাইপো কেউ রক্ষা করতে পারবে না । তাই আজকে রাজ্যজুড়ে এসএফআই ঢাক বাজিয়ে গুড়-বাতাসা খাইয়ে রাজ্যের মানুষকে অভিনন্দন জানাবে।"
আরও পড়ুন: 'বাংলা অনেক কেষ্টলীলা দেখেছে, আর দরকার নেই !' অনুব্রতর গ্রেফতারিতে মত বিরোধীদের
অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গ্রেফতারিতে দেরি হওয়ার প্রসঙ্গে প্রতিকুর রহমানের বলেন, "দেরিতে হলেও গ্রেফতার তো হয়েছে । দিদি-মোদি ভাই বোন । দিল্লিতে গিয়ে সেটিং করেছে । গোটা ঘটনার ক্রেডিট দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে । বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে বামপন্থী আইনজীবীরা তো মামলা শুরু করেছিল । তার পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্ট নজরদারিতে মামলা একের পর এগোচ্ছ আর অনুব্রত মণ্ডলের মতো আরও বড় বড় চোর, দুর্নীতিবাজ তৃণমূল নেতারা গ্রেফতার হচ্ছে।"