কলকাতা, 6 নভেম্বর : কোরোনা আবহের মধ্য়েই স্বাভবিক হয়েছে জনজীবন ৷ শুরু হয়েছে যান চলাচল ৷ কিন্তু, পড়ুয়াদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ ৷ এই পরিস্থিতিতে এবার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্কুল বাস ও পুলকার মালিকেরা ৷ দীর্ঘদিন গাড়িগুলি গ্য়ারেজে পড়ে থাকায় ব্য়াটারি, টায়ার-টিউব ও অন্য়ান্য় যন্ত্রাংশে গোলযোগ দেখা দিতে পারে ৷ এমনই আশঙ্কা করছেন তাঁরা ৷ প্রায় ন’মাস গ্য়ারেজে পড়ে থেকে গাড়ির ব্য়াটারি ও ইঞ্জিন বিকল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ৷ ফলে স্কুল খুললে রাস্তায় গাড়ি নামালে তা খারাপ হয়ে যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন বাস ও পুলকার মালিকরা ৷ পাশাপাশি, নেই কোনও আয় ৷ ফলে, গাড়িগুলিকে মেরামত করে রাস্তায় নামানোর মতো অর্থও তাঁদের হাতে নেই ৷ সব মিলিয়ে এবার চিন্তার পাহাড় স্কুল বাস ও পুলকার মালিকদের মাথায় ৷
শুধু তাই নয়, এই লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন স্কুল বাস ও পুলকারের চালকরা ৷ তাঁদের আর্থিক অবস্থাও খুব একটা ভালো নয় ৷ ফলে আয় না থাকায় স্কুল বাস ও পুলকারের চালক এবং কর্মীদের সেভাবে সাহায্য়ও করতে পারছেন না মালিকরা ৷ এ নিয়ে পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্য়াসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সুদীপ দত্ত বলেন, বাসগুলি অনেকদিন না চলায় অধিকাংশের ব্য়াটারির সেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে ৷ ফলে অকেজো হয়ে যায় ব্য়াটারি ৷ ফলে স্কুল খুললে গাড়ি বা বাসগুলিকে পথে নামাতে হলে, আগে সেগুলির ব্য়াটারি বদল করতে হবে ৷ এমনকী টায়ারের ক্ষতিও হয়েছে ৷ পড়ে থেকে থেকে টায়ারের হাওয়া কমে ক্ষতি হয়েছে টিউবের ৷ এমনকী প্রচুর রবারের জিনিস থাকে বাস বা গাড়িতে ৷ সেগুলিকে ব্য়বহার না হয়ে শক্ত হয়ে গিয়েছে ৷ ক্ষতি হয়েছে বাস ও গাড়ির বডিতেও ৷ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, স্কুল খুললে প্রথম পাঁচ থেকে ছ’দিন গাড়িগুলি স্বাভাবিকভাবেই বিকল হয়ে পড়বে ৷ তাই তার জন্য় গাড়িগুলির মেরামতি করাতে হবে ৷ যার অনেক খরচ ৷ এতদিন কোনো উপার্জন না থাকায়, সেই অর্থ কোথা থেকে জোগাড় হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছেন বলে জানান পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্য়াসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ৷