কলকাতা, 4 ডিসেম্বর : লকডাউনের সময় থেকে বন্ধ স্কুল ৷ আর তখন থেকেই রোজগার বন্ধ স্কুল বাস ও পুরকার মালিক ও চালকদের ৷ আর তাই অবিলম্বে স্কুল খোলার দাবিতে রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালো স্কুলবাস মালিক ও চালক সংগঠন । এরপর সংগঠনের তরফে স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে স্বারকলিপি জমা দেওয়া হয় । স্কুলগুলি খোলার দাবিতে বিভিন্ন স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে স্কুল বাস ও পুলকার সংগঠন ।
দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ স্কুলগুলি । স্বাভাবিকভাবেই তাই বন্ধ স্কুলবাস পরিষেবা । গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে থেকেই বন্ধ হয়ে রয়েছে তাঁদের রোজগার । আর্থিক চাপের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও, কর্মীদের বেতন দেওয়া বন্ধ করেনি মালিকরা । এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুল বাস ও পুলকার মালিক পক্ষকে। তাই শুক্রবার কলকাতা, সল্টলেক ও হাওড়া জেলার বেশ কয়েকটি স্কুল বাস ও স্কুল পুলকার সংগঠনের তরফে মালিকপক্ষ, চালক, হেল্পার এবং মহিলা এটেনডেন্টরা ডিপিএসের সামনে জমায়েত করে ।
ওয়েস্টবেঙ্গল কন্ট্রাক্ট ক্যারেট অনার্স এন্ড অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন যে, ‘‘গত 9 মাস স্কুলগুলি বন্ধ । তাই স্কুলবাসগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে । কোনও রকম উপার্জন নেই ৷ অথচ আমরা কর্মচারীদের বেতন দিয়ে চলেছি । আমাদের দাবি হল প্রয়োজনীয় স্যায়নিটাইজেশনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে স্কুলগুলিকে অবিলম্বে খোলার ব্যবস্থা করতে হবে । স্কুল বাসগুলিকে ভালোভাবে স্যানিটাইজ করার দায়িত্ব আমরা নেবো । রোড ট্যাক্স মকুব করতে হবে । বাসের সংখ্যাও বাড়িয়ে যাতে কম সংখ্যক পড়ুয়া নিয়ে পরিষেবা দেওয়া যায়, তার দায়িত্বও আমাদের ৷’’
আরো পড়ুন : বন্ধ আয়, গাড়ি বিকলের আশঙ্কা স্কুল বাস ও পুলকার মালিকদের
স্কুলগুলি না খুললে, প্রয়োজনে তাঁরা মুখমন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখানোর কথাও জানান তাঁরা। এর আগে গত 19 নভেম্বর সংগঠনের পক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্বারকলিপি জমা দেওয়া হয় । শহর ও শহরতলি মিলিয়ে এই সংগঠনের প্রায় 5000এর মতো বাস চলে । 20 হাজারেরও বেশি কর্মীদের ভবিষৎ যুক্ত রয়েছে এই ব্যবসার সাথে ।