কলকাতা, 16 ডিসেম্বর : বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারীকে একযোগে বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যা দিলেন দুই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । শুভেন্দু অধিকারীকে যাতে দলে রাখা যায় তার জন্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় । কিন্তু প্রায় 15 দিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব নিশ্চিত হয়েছিল তাঁকে দলে ধরে রাখা আর সম্ভব নয় । তৃণমূল সূত্রে খবর, সেইসময় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন শুভেন্দু ক্লোজ়ড চ্যাপ্টার । আজ বিধানসভায় বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দু ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দু সম্পর্কে ক্ষোভ উগরে দিলেন সৌগত রায় ।
তৃণমূলের বর্ষীয়ান এই সাংসদ বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী যাবে আমরা জানতাম । ওর সঙ্গে 1 ডিসেম্বর পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে আমাদের । 2 ডিসেম্বর বলেছিল আমাদের সঙ্গে কাজ করা মুশকিল । তখনই আমরা ঘোষণা করেছিলাম ওঁর সঙ্গে আলোচনা করব না । ও বিজেপির সঙ্গে আলোচনা করে দেনা পাওনা সব ঠিক করে ফেলেছিল । বিশ্বাসঘাতকতা করলে আমাদের আর কী করার আছে । দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কি না জানা নেই । তবে ও বিজেপিতে চলেই গিয়েছে ।"
সৌগত রায়ের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা দেওয়া নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ।
তিনি বলেন, "ও ইস্তফা দেবে এবং বিজেপিতে জয়েন করবে এটা জানা কথা ছিল । ওভার অ্যাম্বিশাস । ওর মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী পদ-সহ বড় বড় পদ চাই । লোভে যাচ্ছে । নিঃসন্দেহে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে । সমস্ত ক্ষমতা এতদিন ধরে ভোগ করে এসেছে । 2014 সালে সাংসদ হয়েছিল । এরপর ক্ষমতার লোভে 2016 সালে বিধায়ক ও মন্ত্রী হয়ে গেল । বিশ্বাসঘাতকতা । এতদিন বিজেপির বিরুদ্ধে বলেছে । এবারে বিজেপির পক্ষে বলবে । এতে কিছু এসে যায় না । মানুষ সব দেখছে । মানুষ সব বিচার করবে । যে যাওয়ার সে চলে যাবে । যাক না । 2021 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলে তখন যেন ফিরে না আসে ।"