কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: লোকে-লোকারণ্য রাস্তাঘাট, সবাই শেষবারের মত তাঁকে দেখতে হাজির ৷ 6 বছরের ঋষভের যে এমন পরিণতি হবে, তা মানতে পারছেনা কেউই ৷ পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় আহত ঋষভ 8 দিন ধরে লড়াই চালানোর পরও জীবনযুদ্ধে হার মানতে হল তাকে ৷
আজ ভোর 5টায় মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মারা যায় ঋষভ ৷ বেলা 12.30 টায় তার মরদেহ শ্রীরামপুরের ফেরিঘাটের কাছে আবাসনে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কান্নায় ভেঙে পড়ে ঋষভের মা-বাবা ৷ শেষবারের মত ঋষভকে দেখতে হাজির হয় পাড়া-প্রতিবেশী থেকে তার সহপাঠীরাও ৷ সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর শেষকৃত্যের জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কালিবাবুর ঘাটে ৷ কৃষি বিপনন মন্ত্রী তপন দাসগুপ্ত ও চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরও আসেন সেখানে, দেখা করেন ঋষভের বাবার সঙ্গে ৷
চলছে শেষকৃত্য, শশ্মানের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষও ৷ শশ্মানে এসে কাঁদতে দেখা যায় স্কুলের প্রিন্সিপালকেও ৷ তিনি বলেন, ‘‘ঋষভকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারলাম না, এর থেকে বড় দুঃখ আর কিছু নেই ৷ চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন ওকে বাঁচানোর ৷ আমরা মঙ্গলবার 11টায় একটি ট্রাফিক নিয়ম নিয়ে সচেতনতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি ৷ এছাড়া পুলকার চালকদের সঙ্গেও কথা বলা হবে ৷’’ ঋষভের মৃত্যুর পর স্কুলের সময়ে কোনও পরিবর্তন আনা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা বরাবরই স্কুলে ঢোকার সময়ে পাঁচ মিনিট ছাড় দিই যাতে দূর থেকে আসা গাড়িগুলি তাড়াহুড়োয় কোনও দুর্ঘটনা না ঘটিয়ে ফেলে ৷’’
ঋষভের শেষকৃত্যে অংশ নিতে আসা সাধারণ মানুষরাও বলেন, পুলকার নিয়ন্ত্রণের দাবি জানায় ৷ দেরী হয়ে গেলে চালকদের উপর তাড়াতাড়ি পৌছানোর জন্য কোনওরকম চাপ যাতে সৃষ্টি করা না হয়, সেই বিষয়েও অনুরোধ জানান তারা৷