কলকাতা, 21 জুলাই : 28 বছর আগের 21 জুলাই আজও জীবন্ত স্মৃতিতে ৷ চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেইদিন, বললেন অতীন ঘোষ । করোনা পরিস্থিতিতে এ বছরও 21 জুলাই পালিত হলেও সভা হয় ভার্চুয়াল ৷ রীতি মাফিক একুশের ভাষণ দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্য জুড়ে তো বটেই এমনকি ভিন রাজ্যেও জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করে কর্মী-সমর্থকদের দেখানো ও শোনানো হয় নেত্রীর বক্তৃতা ৷ সেভাবেই উত্তর কলকাতার স্টার থিয়েটার সিনেমা হলে দলনেত্রী বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা হয় । যেখানে উপস্থিত ছিলেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবন সাহা, অতীন ঘোষ-সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব ।
এদিন অতীন ঘোষ বলেন, "আজও সেই স্মৃতি মনের ভেতরে জীবন্ত। চোখের সামনে ভেসে ওঠে, সেদিন ধর্মতলায় পুলিশের গুলি চালানো ও রাস্তায় লুটিয়ে পড়া কর্মী-সমর্থকদের ছবি । সেদিনের ঘটনায় উত্তর কলকাতার তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছিল ।"
অতীন জানান, "18 বছরে ভোটাধিকার ও বেকার যুবকদের চাকরির দাবিতে সেদিন আন্দোলন হয়েছিল । উত্তর কলকাতা থেকে আন্দোলনকারীদের নিয়ে ধর্মতলায় পর্যন্ত যাই । সেই সময় হঠাৎই এসএন ব্যানার্জি রোড দিয়ে দলের ছেলেদের ছুটে আসতে দেখি । এর পর একের পর এক গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর আসে । প্রথমে মুরারি চক্রবর্তী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এর পর আমার এলাকার ছেলে বন্ধন দাসের গুলি লাগার খবর পাই । হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শত চেষ্টার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি । অবশেষে খবর আসে, মারা গেছেন বিশ্বনাথ রায় ।"
অতীনের কথায়, "মনে আছে মৃতদেহ মর্গ থেকে নিয়ে মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল । মর্গের সেই গন্ধ নাকে লেগে রয়েছে ৷ মৃতদের পরিবারদের চোখের জল, কান্না এখনও কানে বাজে। সেদিনের আন্দোলনের আমরা যারা ছিলাম, তারা কোনওদিন ভুলতে পারব না সেদিনের ঘটনা ৷"
আরও পড়ুন: নিজেদের স্বার্থ ভুলে এক হতে হবে, বিজেপি বিরোধীদের বৈঠক ডাকার প্রস্তাব মমতার
এদিন স্টার থিয়েটারে করোনা বিধি বজায় রেখে 21 জুলাইয়ের নেত্রীর ভাষণ শোনার ব্যবস্থা হয় । স্টার থিয়েটারে যদিও 458 টি দর্শকাসন রয়েছে। তথাপি প্রেক্ষাগৃতে 229 জনকে প্রবেশ অধিকার দেওয়া হয় । মাস্ক পরা ছিল বাধ্যতামূলক ।