কলকাতা, 22 মে :"ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলাম ৷ ভুল বোঝাবুঝির কারণে দল ছেড়েছিলাম ৷" তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানালেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh Rejoins TMC) ৷ যাবতীয় জল্পনা সত্যি করে রবিবার বিকেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে ফিরেছেন অর্জুন ৷ 'ঘর ওয়াপসি' করেই তাঁর 'পদ্ম বিচ্ছেদের' বিষয়টিও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন এই দাপুটে রাজনীতিবিদ ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় বদলে ফেলেছেন তাঁর প্রোফাইল ছবি ৷ নতুন ছবিতে তাঁর গলায় তৃণমূলের উত্তরীয় ৷ অভিষেক তাঁর ক্যামক স্ট্রিটের অফিসে এদিন অর্জুন সিংকে তৃণমূলের উত্তরীয় পরিয়ে দেন ৷ সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন অর্জুন সিং ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু'জনেই ৷
তৃণমূলে যোগ দিয়েই এদিন বিজেপিকে বিঁধেছেন অর্জুন সিং ৷ ব্যারাকপুরের সাংসদ এদিন বলেন, "ঠান্ডা ঘরে বসে বাংলার রাজনীতি হয় না ৷ শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজনীতি হয় না ৷ মাঠে নেমে রাজনীতি করতে হবে ৷ বাংলায় মাটি হারাচ্ছে বিজেপি ৷" কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল তথা বাংলার পাটশিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও এদিন ফের অভিযোগ করেন অর্জুন ৷ জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখার পরেও খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি ৷ এখনও 75 শতাংশ কাজ বাকি ৷
- — Arjun Singh (@ArjunsinghWB) May 22, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
— Arjun Singh (@ArjunsinghWB) May 22, 2022
">— Arjun Singh (@ArjunsinghWB) May 22, 2022
আরও পড়ুন : পদ্ম ছেড়ে অভিষেকের উপস্থিতিতে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন অর্জুনের
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তিনি কি বিজেপির টিকিটে জেতা ব্যারাকপুরের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, "বিজেপিতে এখনও দুই সাংসদ আছেন যাঁরা তৃণমূলের প্রতীকে জিতেছেন, কিন্তু পদত্যাগ না করেই তাঁরা বিজেপি করছেন ৷ তাঁরা আগে ইস্তফা দিন ৷ তাঁরা পদত্যাগ করলে আমি তখনই দিল্লিতে গিয়ে ইস্তফা দেব ৷ একঘণ্টাও সময় লাগবে না আমার ৷"
তৃণমূলে যোগ দিয়ে এদিন স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যার প্রশংসা শোনা গিয়েছে অর্জুন সিংয়ের মুখে ৷ বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি ৷ মুখ্যমন্ত্রী ডাকলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করব ৷ বাংলার উন্নয়নকে কিছু মানুষ রাজনীতি করে আটকে দিতে চাইছে ৷ সেই জায়গা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয় ৷ আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন সেই লড়াইয়ে যোগ দিতে চাই ৷"