ETV Bharat / city

রাজ্যে বেশিরভাগ নির্যাতনের ঘটনায় দোষীরা সাজা পাচ্ছে না : দীপা

author img

By

Published : Dec 9, 2019, 10:01 PM IST

" বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, নির্যাতনের অভিযোগ থানায় দায়ের হচ্ছে না । শাসকদলের পক্ষের লোক হলে তখন অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে । কিন্তু যেই বিরোধী পক্ষের লোকেরা অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছে, তখন অভিযোগ নেওয়ার বদলে তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে ।" বললেন কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি ৷

congress-leader-dipa-dasmunshi
কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি

বারাসত, 9 ডিসেম্বর : রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে । দোষীরা সাজা পাচ্ছে না । তার ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে । সোমবার দুপুরে বারাসত বিশেষ আদালতে পুরানো একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে এসে এভাবেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি । তিনি বলেন, "শুধু রাজ্য নয়, দেশেও মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে । দেশে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে । আমাদের রাজ্যও এর বাইরে নয় ৷"

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে দীপা দাশমুন্সি আক্ষেপ করেন ৷ তিনি অভিযোগ করেন, "বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, নির্যাতনের অভিযোগ থানায় দায়ের হচ্ছে না । শাসকদলের পক্ষের লোক হলে তখন অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে । কিন্তু যেই বিরোধী পক্ষের লোকেরা অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছে, তখন অভিযোগ নেওয়ার বদলে তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে । রাজ্যে এখন এমনই আইনি ব্যবস্থা চলছে ৷"

কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি

মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বাড়ার প্রসঙ্গে দীপা দাশমুন্সি বলেন, "মহিলাদের উপর একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে । সেটা উত্তরপ্রদেশ, হায়দরাবাদ হোক কিংবা দক্ষিণ মালদার ঘটনা । রাজ্যে বেশিরভাগ নির্যাতনের ঘটনায় দোষীরা সাজা পাচ্ছে না । মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ সুপারদের মামলার দ্রুত বিচার করে সাজা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তার প্রতিফলন বাস্তবে ঘটছে না । তাই, নির্যাতনের মামলার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে, কবেই বা দোষীরা সাজা পাবে তা নিয়ে সংশয় প্রবল ।"

মালদার ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে দীপা দাশমুন্সি বলেন," এটা পুলিশের কাজ । মুখ্যমন্ত্রী পুলিশমন্ত্রী হয়ে কেন ওই নির্যাতিতার পরিচয় এখনও জানতে পারলেন না, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন । মুখ্যমন্ত্রীকেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত ৷" উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পুলিশ আগেই এ বিষয়ে তৎপরতা দেখাতে পারত । কেন্দ্রের BJP সরকারের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' স্লোগান বদলে এখন হয়েছে 'বেটি বাঁচাও বেটির বাবাকেও বাঁচাও' । কারণ, নির্যাতিতার বাবাও যেভাবে পুলিশ ও ধর্ষকদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন তা ভাবা যায় না ৷"

গোটা দেশেই নির্যাতনের মামলার দ্রুত বিচার করে সাজা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন দীপা দাশমুন্সি । এছাড়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন," লোকসভায় আমাদের সেই সংখ্যা নেই যে তা আটকাতে পারব । ফলে, BJP সরকার সহজেই লোকসভায় সেই বিল পাশ করিয়ে নিতে পারবে । তবে, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হলে তা আগামী দিনে BJP-র পক্ষে অশনিসংকেত হবে বলেও দাবি করেছেন দীপা দাশমুন্সি ।

উপনির্বাচনে জোটের খারাপ ফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা যে রয়েছে এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই । তৃণমূল স্তরে সংগঠন বৃদ্ধি করে যতক্ষণ না পর্যন্ত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো যাবে, ততক্ষণ এই দুর্বলতা কাটানো যাবে না । দলের তরফে সেই দুর্বলতা কাটানোর চেষ্টা চলছে । আশা করি আমরা এই কাজে সফল হব ৷" সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই উপনির্বাচনে জোটের ভালো ফল হয়নি বলে স্বীকার করে নেন কংগ্রেস এই নেত্রী ।

বারাসত, 9 ডিসেম্বর : রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে । দোষীরা সাজা পাচ্ছে না । তার ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে । সোমবার দুপুরে বারাসত বিশেষ আদালতে পুরানো একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে এসে এভাবেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি । তিনি বলেন, "শুধু রাজ্য নয়, দেশেও মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে । দেশে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে । আমাদের রাজ্যও এর বাইরে নয় ৷"

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে দীপা দাশমুন্সি আক্ষেপ করেন ৷ তিনি অভিযোগ করেন, "বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, নির্যাতনের অভিযোগ থানায় দায়ের হচ্ছে না । শাসকদলের পক্ষের লোক হলে তখন অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে । কিন্তু যেই বিরোধী পক্ষের লোকেরা অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছে, তখন অভিযোগ নেওয়ার বদলে তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে । রাজ্যে এখন এমনই আইনি ব্যবস্থা চলছে ৷"

কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি

মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বাড়ার প্রসঙ্গে দীপা দাশমুন্সি বলেন, "মহিলাদের উপর একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে । সেটা উত্তরপ্রদেশ, হায়দরাবাদ হোক কিংবা দক্ষিণ মালদার ঘটনা । রাজ্যে বেশিরভাগ নির্যাতনের ঘটনায় দোষীরা সাজা পাচ্ছে না । মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ সুপারদের মামলার দ্রুত বিচার করে সাজা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তার প্রতিফলন বাস্তবে ঘটছে না । তাই, নির্যাতনের মামলার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে, কবেই বা দোষীরা সাজা পাবে তা নিয়ে সংশয় প্রবল ।"

মালদার ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে দীপা দাশমুন্সি বলেন," এটা পুলিশের কাজ । মুখ্যমন্ত্রী পুলিশমন্ত্রী হয়ে কেন ওই নির্যাতিতার পরিচয় এখনও জানতে পারলেন না, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন । মুখ্যমন্ত্রীকেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত ৷" উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পুলিশ আগেই এ বিষয়ে তৎপরতা দেখাতে পারত । কেন্দ্রের BJP সরকারের 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' স্লোগান বদলে এখন হয়েছে 'বেটি বাঁচাও বেটির বাবাকেও বাঁচাও' । কারণ, নির্যাতিতার বাবাও যেভাবে পুলিশ ও ধর্ষকদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন তা ভাবা যায় না ৷"

গোটা দেশেই নির্যাতনের মামলার দ্রুত বিচার করে সাজা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন দীপা দাশমুন্সি । এছাড়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন," লোকসভায় আমাদের সেই সংখ্যা নেই যে তা আটকাতে পারব । ফলে, BJP সরকার সহজেই লোকসভায় সেই বিল পাশ করিয়ে নিতে পারবে । তবে, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হলে তা আগামী দিনে BJP-র পক্ষে অশনিসংকেত হবে বলেও দাবি করেছেন দীপা দাশমুন্সি ।

উপনির্বাচনে জোটের খারাপ ফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা যে রয়েছে এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই । তৃণমূল স্তরে সংগঠন বৃদ্ধি করে যতক্ষণ না পর্যন্ত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো যাবে, ততক্ষণ এই দুর্বলতা কাটানো যাবে না । দলের তরফে সেই দুর্বলতা কাটানোর চেষ্টা চলছে । আশা করি আমরা এই কাজে সফল হব ৷" সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই উপনির্বাচনে জোটের ভালো ফল হয়নি বলে স্বীকার করে নেন কংগ্রেস এই নেত্রী ।

Intro:রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। দোষীরা সাজা পাচ্ছে না। তার ফলে আইন-শৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে। আজ দুপুরে বারাসত বিশেষ আদালতে পুরনো একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে এসে এভাবেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন সাংসদ ও কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসতঃ- রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে।দোষীরা সাজা পাচ্ছে না।তার ফলে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আজ দুপুরে বারাসত বিশেষ আদালতে পুরনো একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে এসে এভাবেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন সাংসদ ও কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি।তিনি বলেন,"শুধু রাজ্য নয়, দেশেও মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে।দেশে এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমাদের রাজ্যও এর বাইরে নয়"। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে দীপা দাশমুন্সি বলেন," রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।এই কথা আমরা আগেও বলেছি। কিন্তু শাসক দল কিংবা রাজ্য প্রশাসন তা কিছুতেই মানতে রাজি নন"।তার অভিযোগ," বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, নির্যাতনের অভিযোগ থানায় দায়ের হচ্ছে না। শাসকদলের পক্ষের লোক হলে তখন অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যেই বিরোধী পক্ষের লোকেরা অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছে, তখন অভিযোগ নেওয়ার বদলে তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।রাজ্যে এখন এমনই আইনি ব্যবস্থা চলছে"। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বাড়ার প্রসঙ্গে দীপা দাশমুন্সি বলেন," মহিলাদের ওপর একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। সেটা উত্তর প্রদেশ,হায়দ্রাবাদ হোক কিংবা দক্ষিণ মালদার ঘটনা।রাজ্যে বেশিরভাগ নির্যাতনের ঘটনায় দোষীরা সাজা পাচ্ছে না।মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ সুপারদের মামলার দ্রুত বিচার করে সাজা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তার প্রতিফলন বাস্তবে ঘটছে না।তাই, নির্যাতনের মামলার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে, কবেই বা দোষীরা সাজা পাবে,তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মালদার নির্যাতিতার পরিচয় নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ।এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে দীপা দাশমুন্সি বলেন," এটা পুলিশের কাজ। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রী হয়ে কেন ওই নির্যাতিতার পরিচয় এখনো জানতে পারল না,তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রীকেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত"। উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন,"পুলিশ আগেই এ বিষয়ে তৎপরতা দেখাতে পারত। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের"বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও" স্লোগান বদলে এখন হয়েছে বেটি বাঁচাও বেটির বাবাকেও বাঁচাও"।কারন, নির্যাতিতার বাবাও যেভাবে পুলিশ ও ধর্ষকদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন তা ভাবা যায় না"।গোটা দেশেই নির্যাতনের মামলার দ্রুত বিচার করে সাজা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন দীপা দাশমুন্সি।নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন," লোকসভায় আমাদের সেই সংখ্যা নেই যে তা আটকাতে পারব।ফলে, বিজেপি সরকার সহজেই লোকসভায় সেই বিল পাশ করিয়ে নিতে পারবে।তবে, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হলে তা আগামী দিনে বিজেপির পক্ষে অশনি সংকেত হবে বলেও দাবি করেছেন দীপা দাশমুন্সি।উপনির্বাচনে জোটের খারাপ ফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন," কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা যে রয়েছে এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তৃণমূল স্তরে সংগঠন বৃদ্ধি করে যতক্ষণ না পর্যন্ত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো যাবে, ততক্ষণ এই দুর্বলতা কাটানো যাবে না। দলের তরফে সেই দুর্বলতা কাটানোর চেষ্টা চলছে। আশা করি আমরা এই কাজে সফল হব"।Conclusion:সাংগঠনিক দুর্বলতার কারনেই উপনির্বাচনে জোটের ভালো ফল হয়নি বলে স্বীকার করে নেন কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.