কলকাতা, 24 অগস্ট: সিঙ্গুর থেকে প্রস্তাবিত ন্য়ানো কারখানাকে হঠিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ সেই কারখানা আর হয়নি ৷ কিন্তু, সেই জমিও আর আগের অবস্থায় ফিরে যায়নি ৷ এ নিয়ে জনমানসে ক্ষোভ রয়েছে এবং তা ক্রমশ বাড়ছে ৷ এদিকে, রাজ্যে ভারী শিল্পের আকাল দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের প্রসারে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার ৷
বস্তুত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্য কর্মসংস্থান ৷ সেই লক্ষ্য পূরণ করতেই ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্পের (MSME) পরিসর আরও বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন ৷ নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলা ৷ সেই কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়াতে রাজ্য সরকারের তরফে 13টি জেলায় 32টি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ সব মিলিয়ে সেই জমির পরিমাণ প্রায় 456 একর ৷ এবার সেই জমিতেই শিল্পপতিদের বিনিয়োগ পেতে চাইছে নবান্ন (Land for MSME) ৷
আরও পড়ুন: উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকার বাঁধের অবস্থা ভালো নয়, উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছে নবান্ন
সূত্রের খবর, শিল্প স্থাপনের এই লক্ষ্য পূরণ করতে বৃহস্পতিবারই বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক করবেন ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্রবয়ন দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডে (Rajesh Pandey) ৷ স্থির হয়েছে, ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য চিহ্নিত জমিগুলি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শিল্পপতি ও বণিক মহলের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৷ যে 13টি জেলায় এই 32টি জমি রয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কোচবিহার, পুরুলিয়া, দার্জিলিং এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান ৷
রাজ্য সরকার চাইছে, এই জমিগুলিতে আঞ্চলিক শিল্প গড়ে তুলতে ৷ যেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই কর্মসংস্থান সম্ভব হবে ৷ এক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ারে বা দার্জিলিঙের ক্ষেত্রে চা শিল্পের অনুসারী শিল্পগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে ৷ তেমনই অন্যান্য জেলায় সেখানকার উপযোগী শিল্প গড়ে তোলা যেতে পারে ৷ এই বিষয়টিই শিল্পপতি বা উদ্যোগপতিদের বোঝানোর চেষ্টা করছে রাজ্য প্রশাসন ৷ বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের আরও সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন শিল্প সচিব ৷ নবান্ন সূত্রে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে ৷