কলকাতা, 20 এপ্রিল : গোলগাল চেহারা ৷ শান্ত প্রকৃতির স্বভাব। তবে বুদ্ধি প্রখর। আরও প্রখর তাঁর নিশানা, যা হার মানাবে যে কোনও দক্ষ শুটারকেও ৷ কথা হচ্ছে মঙ্গলবার বাঁশদ্রোণী-ব্রহ্মপুর শুট-আউটের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বাচ্চা ওরফে বিশ্বনাথ সিং'য়ের ৷ মঙ্গলবারের শুট-আউটের ঘটনায় আপাতত গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে (Prime accuseed in Bansdroni shoot-out Bishwanath Singh aka Bachha hospitalized) ৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের এক প্রাক্তন কর্তা জানান, বাম আমলে যাদবপুর, গল্ফ গ্রিন, কুঁদঘাট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্রমোটিং বিবাদকে কেন্দ্র করে হামেশাই চলত দুষ্কৃতী চাপানউতোর ৷ সে সময় দুষ্কৃতীদের এলাকাছাড়া করতে পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলি বিনিময়ের মত ঘটনাও ঘটেছে ৷ তৎকালীন বাঁশদ্রোণী এলাকার নাকতলায় এক প্রমোটিং বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ অভিযানে নামে ৷ সে সময় একেবারে ফিল্মি কায়দায় বাইকের সামনে বসেই পকেট থেকে পিস্তল বের করে এক পুলিশ আধিকারিককে গুলি চালিয়েছিল বাচ্চা ওরফে বিশ্বনাথ সিং।
আরও পড়ুন : বাঁশদ্রোণী শুট-আউটের ঘটনায় অস্ত্র-সহ ধৃত 3
বাচ্চা যে একজন শার্প-শুটার, লালবাজারের কাছেও সে খবর রয়েছে ৷ ভবানী ভবন সূত্রে খবর, সে সময় যেহেতু বাঁশদ্রোণী এলাকা রাজ্য পুলিশের আওতাধীন ছিল, ফলে সাউথ সাবার্বান এলাকায় যত দুষ্কৃতীর নাম উঠে এসেছে তাদের প্রায় প্রত্যেকের দলেই কোনও না কোনও সময় কাজ করে সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্যে হাত পাকিয়েছিল বিশ্বনাথ সিং ওরফে বাচ্চা।
এদিকে বাঁশদ্রোণী শুট-আউটের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে 3 (police arrests three anti socials) । মঙ্গলবারই তিনজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা । ধৃতদের নাম শেখ সাহিদ, অরিজিৎ পোদ্দার ও শম্ভু সর্দার । ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷