ETV Bharat / city

Kanti Ganguly : বিতর্ক এড়িয়ে কান্তিকে সংযত হওয়ার পরামর্শ আলিমুদ্দিনের - বিতর্ক এড়িয়ে কান্তিকে সংযত হওয়ার পরামর্শ আলিমুদ্দিনের

দলের অন্দরে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে চিঠি দেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ৷ তার পাল্টা তাঁকে আলিমুদ্দিনে ডাকা হয় আলোচনার জন্য ৷ মঙ্গলবার সেই আলোচনাতেই তাঁকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হল দলের তরফে ৷

কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়-আলিমুদ্দিন স্ট্রিট
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়-আলিমুদ্দিন স্ট্রিট
author img

By

Published : Jul 7, 2021, 6:51 AM IST

কলকাতা, 7 জুলাই : আলিমুদ্দিনের তরফে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে (Kanti Ganguly) বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হল । প্রবীণ সিপিএম নেতার দেওয়া চিঠির ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে আলোচনায় ডাকা হয়েছিল । সেখানে কেন নেতৃত্বের সঙ্গে মনোমালিন্য, তার ব্যাখ্যা রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক তুলে ধরেন । তাছাড়া, চিঠিতে নেতৃত্বের সরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন । সর্বস্তরের কমিটি ভাঙার কথাও ছিল । জোট ভাঙার পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেছিলেন ।

বর্ষীয়ান নেতার চিঠিতে তোলপাড় হয় রাজ্য সিপিএমের সদর দফতর । প্রাক্তন মন্ত্রীর মন বুঝতে এবং মান ভাঙাতে তাঁকে তলব করা হয় আলিমুদ্দিনে । দীর্ঘক্ষণের আলোচনায় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তিনি কেন বেসুরো তা বুঝতে চান সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra), বিমান বসুরা (Biman Bose) । বেসুরো কমরেডের ব্যাখ্যায় সদর দফতর খুশি কি না তার উত্তর অপেক্ষার গর্ভে । তবে কান্তিবাবুর দাবি, নেতৃত্বের সঙ্গে জেলার সংগঠন নিয়ে কথা হয়েছে । অন্য কোনও বিষয় সামনে আসেনি ।

বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে শরিকরা বামফ্রন্টের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন‌ । সিপিএমের অন্দরেও ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে । তন্ময় ভট্টাচার্য থেকে একাধিক জেলা নেতৃত্বের উষ্মা এবং কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিতর্কিত চিঠিতে অস্বস্তি বাড়ছে আলিমুদ্দিনের সদর দফতরে । পরিবর্তন যে প্রয়োজন তা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে । তারই রেশ ধরে দলের অভ্যন্তরে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা সরাসরি বলেছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ।

প্রবীণ সিপিএম নেতা বলেছিলেন, শূন্য থেকে শুরু করার সময় এসেছে । প্রয়োজনে দলের সাংগাঠনিক পরিবর্তন জরুরি । তরুণ প্রজন্মকে তুলে নিয়ে আসার কথা ছিল প্রবীণ মানুষটির মুখে । একটি দু'টি আসন পাওয়া বা না পাওয়ার মধ্যে দলের ভিতর মরচে ধরা অংশের পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয় বলে মনে করেন । কান্তির বিশ্লেষণ, পলিটব্যুরো এবং রাজ্য কমিটিতে নেওয়া সিদ্ধান্তের পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন ।

এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ আলিমুদ্দিনকে জানিয়েছিলেন কান্তি । এবার এই প্রেক্ষাপটে তাঁর সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুকে দেওয়া চিঠি অন্য বার্তা দেয় । কংগ্রেসের সঙ্গে জোট, আইএসএফকে সঙ্গে নিয়ে সংযুক্ত মোর্চা গঠনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তাঁর চিঠিতে ছিল । ক্ষোভের কারণ বুঝতে তাঁকে আলিমুদ্দিনে ডাকা হয়েছিল । রাশ ধরে রাখতে মতাদর্শ এবং আভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার মধ্যে দিয়ে বিচার করার কথা বলে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু আগুন যে ধিকিধিকি করে জ্বলছে তা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের চিঠিতে পরিষ্কার । যা মঙ্গলবারের আলোচনায় নিভল বলে মনে করার কারণ নেই ।

আরও পড়ুন : অস্বস্তি এড়াতে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে আলিমুদ্দিনে ডাকা হল

কলকাতা, 7 জুলাই : আলিমুদ্দিনের তরফে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে (Kanti Ganguly) বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হল । প্রবীণ সিপিএম নেতার দেওয়া চিঠির ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে আলোচনায় ডাকা হয়েছিল । সেখানে কেন নেতৃত্বের সঙ্গে মনোমালিন্য, তার ব্যাখ্যা রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক তুলে ধরেন । তাছাড়া, চিঠিতে নেতৃত্বের সরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন । সর্বস্তরের কমিটি ভাঙার কথাও ছিল । জোট ভাঙার পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেছিলেন ।

বর্ষীয়ান নেতার চিঠিতে তোলপাড় হয় রাজ্য সিপিএমের সদর দফতর । প্রাক্তন মন্ত্রীর মন বুঝতে এবং মান ভাঙাতে তাঁকে তলব করা হয় আলিমুদ্দিনে । দীর্ঘক্ষণের আলোচনায় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তিনি কেন বেসুরো তা বুঝতে চান সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra), বিমান বসুরা (Biman Bose) । বেসুরো কমরেডের ব্যাখ্যায় সদর দফতর খুশি কি না তার উত্তর অপেক্ষার গর্ভে । তবে কান্তিবাবুর দাবি, নেতৃত্বের সঙ্গে জেলার সংগঠন নিয়ে কথা হয়েছে । অন্য কোনও বিষয় সামনে আসেনি ।

বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে শরিকরা বামফ্রন্টের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন‌ । সিপিএমের অন্দরেও ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে । তন্ময় ভট্টাচার্য থেকে একাধিক জেলা নেতৃত্বের উষ্মা এবং কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিতর্কিত চিঠিতে অস্বস্তি বাড়ছে আলিমুদ্দিনের সদর দফতরে । পরিবর্তন যে প্রয়োজন তা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে । তারই রেশ ধরে দলের অভ্যন্তরে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা সরাসরি বলেছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ।

প্রবীণ সিপিএম নেতা বলেছিলেন, শূন্য থেকে শুরু করার সময় এসেছে । প্রয়োজনে দলের সাংগাঠনিক পরিবর্তন জরুরি । তরুণ প্রজন্মকে তুলে নিয়ে আসার কথা ছিল প্রবীণ মানুষটির মুখে । একটি দু'টি আসন পাওয়া বা না পাওয়ার মধ্যে দলের ভিতর মরচে ধরা অংশের পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয় বলে মনে করেন । কান্তির বিশ্লেষণ, পলিটব্যুরো এবং রাজ্য কমিটিতে নেওয়া সিদ্ধান্তের পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন ।

এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ আলিমুদ্দিনকে জানিয়েছিলেন কান্তি । এবার এই প্রেক্ষাপটে তাঁর সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুকে দেওয়া চিঠি অন্য বার্তা দেয় । কংগ্রেসের সঙ্গে জোট, আইএসএফকে সঙ্গে নিয়ে সংযুক্ত মোর্চা গঠনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তাঁর চিঠিতে ছিল । ক্ষোভের কারণ বুঝতে তাঁকে আলিমুদ্দিনে ডাকা হয়েছিল । রাশ ধরে রাখতে মতাদর্শ এবং আভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার মধ্যে দিয়ে বিচার করার কথা বলে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু আগুন যে ধিকিধিকি করে জ্বলছে তা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের চিঠিতে পরিষ্কার । যা মঙ্গলবারের আলোচনায় নিভল বলে মনে করার কারণ নেই ।

আরও পড়ুন : অস্বস্তি এড়াতে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে আলিমুদ্দিনে ডাকা হল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.