ETV Bharat / city

জামিয়া-শাহিনবাগে গুলি চালানোর পর নিরাপত্তা বাড়ছে পার্কসার্কাসের - পার্ক সার্কাস

শাহিনবাগের মতো কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য পার্ক সার্কাসের নিরাপত্তা আরও জোরদার করল লালবাজার ৷ একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকে সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷

Park Circus security increases
পার্ক সার্কাসে আন্দোলনরত মহিলারা
author img

By

Published : Feb 3, 2020, 11:57 PM IST

কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি : শাহিনবাগে গুলি চালনার পর পার্ক সার্কাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হল ৷ যে কোনওরকম বিপত্তি এড়াতে লালবাজারের পক্ষ থেকে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকে সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহিনবাগে গুলি চলার পর তৎপর লালবাজার ৷ শাহিনবাগের মতোই পার্ক সার্কাসে NRC, CAA, NPR-এর বিরোধিতায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন মহিলারা ৷ এবার শাহিনবাগের মতো কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য পার্ক সার্কাসের নিরাপত্তা আরও জোরদার করল লালবাজার ৷ একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকে সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ প্রায় একমাস হতে চলল পার্ক সার্কাসের আন্দোলন ৷ জানুয়ারির শীতও তাদের কাবু করতে পারেনি ৷ ‘আজাদি’ স্লোগান বার বার উঠে এসেছে আন্দোলনকারীদের গলায় ৷ সবার একই বক্তব্য, ধর্ম নির্বিশেষে আন্দোলন চলছে এবং চলবে ৷ রক্ত ঝরলেও মাথা না নোয়ানোর সংকল্প প্রত্যেকের গলায় ৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার ডিগ্রি পড়ুয়া আলিশা জামিল বলেন, “ আমরা রক্তাক্ত হতে পারি । কিন্তু ভয় পাই না । আমরা আজাদি চাইছি অবিশ্বাসের থেকে । আজাদি চাইছি দেশের সৌভ্রাতৃত্ব বিরোধী হুমকি থেকে । এই আজাদির ডাক নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে ৷ NRC, NPR, CAA-এর বিরুদ্ধেও।’’

পার্ক সার্কাসের নিরাপত্তা বাড়াল লালবাজার

প্রসঙ্গত, সামিদা খাতুন (57) নামে পার্ক সার্কাসের এক আন্দোলনকারীর শনিবার মৃত্যু হয়েছে ৷ টানা 26 দিন আন্দোলনের পর ওই দিন তিনি মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ বুকে ব্যাথা নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন সামিদা ৷ সেখানেই তার মৃত্যু হয় ৷ সামিদার শওহর জানান, আন্দোলন জারি থাকবে ৷ 7 জানুয়ারি 60 জন মহিলাকে নিয়ে পার্ক সার্কাস ময়দানে CAA ও NRC বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন ইসমত জামিল ৷ সেই আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের অন্যত্রও ৷ দুর্গাপুরের বাসিন্দা আবির সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ যেসব জায়গায় চলছে সেইসব জায়গায় হাজির হচ্ছেন । তিনিও চারদিন ধরে ঠায় বসে রয়েছেন পার্ক সার্কাসে । আবির বলেন, “প্রতিবাদ হল গণতন্ত্রের উৎসব । যতদিন পর্যন্ত না নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের রাজনৈতিক এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত রাত জাগবে কলকাতার এই শাহিনবাগ । সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে শক্ত করে সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষ রাত জাগতেই থাকবেন।’’

এদিকে সংসারের কাজে মন মেই গৃহবধূ আসমা, রাবেয়াদের । ইকবাল, রাজ্জাকরা অফিস যাচ্ছেন ঠিকই । মন বসছে না । মনটা পার্কসার্কাসের অবস্থান মঞ্চে পড়ে রয়েছে । মঞ্চ বলা ভুল হবে । খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল পেতে বসে থাকা । প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও । আন্দোলনকারী দীপান্বিতা বলেন, “একটা ছাউনি তৈরির অনুমতি নেই । মনের জোরেই আন্দোলন চলছে । কিন্তু খোলা আকাশের নিচে মহিলাদের অসুবিধে তো হচ্ছেই । জানি না কত দিন চালানো যাবে । কিন্তু যতদিন পর্যন্ত না সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকব ৷’’ তাদের প্রত্যেকের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত না “কালাকানুন’’ বাতিল করা হবে ততক্ষণ চালিয়ে যাওয়া হবে এই আন্দোলন । কিন্তু তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই চিন্তিত লালবাজার । যদি দিল্লির সংক্রমণ কলকাতায় ছড়ায় ?

কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি : শাহিনবাগে গুলি চালনার পর পার্ক সার্কাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হল ৷ যে কোনওরকম বিপত্তি এড়াতে লালবাজারের পক্ষ থেকে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকে সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহিনবাগে গুলি চলার পর তৎপর লালবাজার ৷ শাহিনবাগের মতোই পার্ক সার্কাসে NRC, CAA, NPR-এর বিরোধিতায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন মহিলারা ৷ এবার শাহিনবাগের মতো কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য পার্ক সার্কাসের নিরাপত্তা আরও জোরদার করল লালবাজার ৷ একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকে সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ প্রায় একমাস হতে চলল পার্ক সার্কাসের আন্দোলন ৷ জানুয়ারির শীতও তাদের কাবু করতে পারেনি ৷ ‘আজাদি’ স্লোগান বার বার উঠে এসেছে আন্দোলনকারীদের গলায় ৷ সবার একই বক্তব্য, ধর্ম নির্বিশেষে আন্দোলন চলছে এবং চলবে ৷ রক্ত ঝরলেও মাথা না নোয়ানোর সংকল্প প্রত্যেকের গলায় ৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার ডিগ্রি পড়ুয়া আলিশা জামিল বলেন, “ আমরা রক্তাক্ত হতে পারি । কিন্তু ভয় পাই না । আমরা আজাদি চাইছি অবিশ্বাসের থেকে । আজাদি চাইছি দেশের সৌভ্রাতৃত্ব বিরোধী হুমকি থেকে । এই আজাদির ডাক নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে ৷ NRC, NPR, CAA-এর বিরুদ্ধেও।’’

পার্ক সার্কাসের নিরাপত্তা বাড়াল লালবাজার

প্রসঙ্গত, সামিদা খাতুন (57) নামে পার্ক সার্কাসের এক আন্দোলনকারীর শনিবার মৃত্যু হয়েছে ৷ টানা 26 দিন আন্দোলনের পর ওই দিন তিনি মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ বুকে ব্যাথা নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন সামিদা ৷ সেখানেই তার মৃত্যু হয় ৷ সামিদার শওহর জানান, আন্দোলন জারি থাকবে ৷ 7 জানুয়ারি 60 জন মহিলাকে নিয়ে পার্ক সার্কাস ময়দানে CAA ও NRC বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন ইসমত জামিল ৷ সেই আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের অন্যত্রও ৷ দুর্গাপুরের বাসিন্দা আবির সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ যেসব জায়গায় চলছে সেইসব জায়গায় হাজির হচ্ছেন । তিনিও চারদিন ধরে ঠায় বসে রয়েছেন পার্ক সার্কাসে । আবির বলেন, “প্রতিবাদ হল গণতন্ত্রের উৎসব । যতদিন পর্যন্ত না নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের রাজনৈতিক এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত রাত জাগবে কলকাতার এই শাহিনবাগ । সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে শক্ত করে সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষ রাত জাগতেই থাকবেন।’’

এদিকে সংসারের কাজে মন মেই গৃহবধূ আসমা, রাবেয়াদের । ইকবাল, রাজ্জাকরা অফিস যাচ্ছেন ঠিকই । মন বসছে না । মনটা পার্কসার্কাসের অবস্থান মঞ্চে পড়ে রয়েছে । মঞ্চ বলা ভুল হবে । খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল পেতে বসে থাকা । প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও । আন্দোলনকারী দীপান্বিতা বলেন, “একটা ছাউনি তৈরির অনুমতি নেই । মনের জোরেই আন্দোলন চলছে । কিন্তু খোলা আকাশের নিচে মহিলাদের অসুবিধে তো হচ্ছেই । জানি না কত দিন চালানো যাবে । কিন্তু যতদিন পর্যন্ত না সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকব ৷’’ তাদের প্রত্যেকের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত না “কালাকানুন’’ বাতিল করা হবে ততক্ষণ চালিয়ে যাওয়া হবে এই আন্দোলন । কিন্তু তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই চিন্তিত লালবাজার । যদি দিল্লির সংক্রমণ কলকাতায় ছড়ায় ?

Intro:কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: সূত্রপাত গত সপ্তাহে। তারপর থেকে গত চার দিনে এই নিয়ে তৃতীয়বার গুলি চলল দিল্লিতে। গতরাতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে 5 নম্বর গেটের কাছে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। রাত সাড়ে 11 টা নাগাদ শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। অভিযোগ দুষ্কৃতীদের পরনে ছিল লাল রঙের জ্যাকেট। তার আগে জামিয়া মিলিয়া পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আবার শাহিনবাগেও ঘটে গুলিচালনার ঘটনা। আর তার জেরেই পার্ক সার্কাসে আন্দোলন চালানো মানুষদের সুরক্ষা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত লালবাজার। অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে সেখানে বাড়ানো হলো নিরাপত্তা। দায়িত্বে রাখা হলো একজন এসিসটেন্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকে।



Body:কখনো যাদবপুর, কখনো প্রেসিডেন্সি, কখনো আবার ধর্মতলা চত্বর। মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়েছে শহর কলকাতা। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল , NRC, NPR এর বিরোধিতায় প্রতিবাদের পথে সামিল হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু সে সবই যেন ছড়ানো-ছিটানো ছিল। পার্ক সার্কাস সে দিক থেকে সঙ্ঘবদ্ধ একটা মঞ্চ। যেখানে গত মাসখানেক ধরে প্রবল শীতের মাঝেও দিনরাত এক করে বসে আছেন জাহানারা- দীপান্বিতারা। তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে দিল্লির শাহিনবাগ। চোয়াল শক্ত করেছে মনের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা জেদ। আর গলা থেকে বের হচ্ছে আজাদির স্লোগান।

কেন আজাদি চাইছেন? আজাদির স্লোগান তুলে কানাইয়া কুমার দেশদ্রোহী তকমা পেয়েছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐশি দাস ।তারপরেও কেন?

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার ডিগ্রি পড়ুয়া আলিশা জামিল বলছিলেন, “ আমরা রক্তাক্ত হতে পারি। কিন্তু ভয় পাই না। আমরা আজাদি চাইছি অবিশ্বাস থেকে। আজাদি চাইছি দেশের সৌভ্রাতৃত্বের বিরোধী হুমকি থেকে। এই আজাদির ডাক নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে,NRC, NPR এর বিরুদ্ধেও।"

দুর্গাপুরের আবির সরকার যেখানেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ চলছে সেখানে হাজির হচ্ছেন। তিনিও চারদিন ধরে ঠায় বসে রয়েছেন পার্ক সার্কাসে। আবির বলছিলেন, “ প্রতিবাদ হলো গণতন্ত্রের উৎসব। যতদিন পর্যন্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের রাজনৈতিক এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত রাত জাগবে কলকাতার এই শাহিনবাগ। সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে শক্ত করে সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষ রাত জাগতেই থাকবেন।"



Conclusion:সংসারের কাজে মন মেই গৃহবধূ আসমা, রাবেয়াদের। ইকবাল, রাজ্জাকরা অফিস যাচ্ছেন ঠিকই। মন বসছে না ফাইলে। মনটা পার্কসার্কাসের অবস্থান মঞ্চে পড়ে রয়েছে যে। মঞ্চ বলা ভুল হবে। খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল পেতে বসে থাকা। প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও। আর তাই আশঙ্কা শোনা যায় দীপান্বিতার গলায়। “ একটা সেড তৈরি করার অনুমতি নেই। মনের জোর আছে ষোলোআনা। কিন্তু খোলা আকাশের নিচে মহিলাদের অসুবিধে তো হচ্ছেই। জানি না কত দিন চালানো যাবে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকবো যতদিন পর্যন্ত সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে আরব সাগরের জলে।" তাদের প্রত্যেকের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত না “কালাকানুন" বাতিল করা হবে ততক্ষণ চালিয়ে যাওয়া হবে এই আন্দোলন। কিন্তু তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই চিন্তিত লালবাজার। যদি দিল্লির সংক্রমণ কলকাতায় ছড়ায়! সেই সূত্রেই পার্ক সার্কাসে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা। চব্বিশ ঘন্টার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হচ্ছে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারদের। তারা দেখভাল করছেন পুরো নিরাপত্তা পরিস্থিতির।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.