কলকাতা, 4 এপ্রিল: ভাঙড়ে চেক বিলির ঘটনা। শুধুই চেকবিলি নয়, চেক দিয়ে কৃষকদের ভোট দেওয়ার নির্দেশ। তা নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। তারপরই দক্ষিণ 24 পরগনা জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দপ্তর। সেই রিপোর্ট পেয়ে এবার ভোগালীর তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান মোদাসসর হুসেনকে সেন্সর করল কমিশন। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্দেশ না মানলে দেওয়া হবে কড়া শাস্তি।
আরও পড়ুন :"পঞ্চায়েতে পেরেছি, লোকসভা বলে বিরোধী প্রার্থী প্রত্যাহার করাতে পারছি না"
ভাঙড়-২ ব্লকের ভোগালী-২ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কৃষক বন্ধুর চেকের মাধ্যমে ভোট কেনার। প্রধান বলেন, “আমাদের এগারো হাজার ভোটার। প্রত্যেক ভোট যেন আমাদের বাক্সে পড়ে। এই চেক নিয়ে গিয়ে আবার যেন CPI(M)-কে ভোট দিয়ে দেবেন না। আমাদের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকেই ভোট দেবেন।" আর এতেই ওঠে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ।
চেক প্রদানের সময় হুমকিও দেন প্রধান। তিনি বলেন, “বিধানসভার ভোট হলে বিরোধী প্রার্থী প্রত্যাহার করিয়ে নিতাম। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী প্রত্যাহার করিয়ে আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত দখল করেছি। লোকসভা সাতটা বিধানসভা নিয়ে বলে তা করা সম্ভব নয়।" তার এই বক্তব্য কমিশনের আতস কাচের তলায় চলে আসে। রিপোর্ট তলব করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসকের কাছ থেকে। আজ সেই রিপোর্ট মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে জমা পড়ে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েত প্রধানকে সেন্সরের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।