কলকাতা, 18 জানুয়ারি : লাস্যময়ী মহিলাদের মুখ এবং শরীরের বিশেষ অংশ দেখিয়ে প্রথমে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। পরে মিষ্টি কথায় মন ভুলিয়ে ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চেয়ে অনলাইনে ভিডিও চ্যাটের প্রস্তাব যায়। ভিডিয়ো চ্যাট থেকে ভিডিয়ো সেক্স ৷ সাইবার দস্যুদের সেই ভার্চুয়াল অন্তরঙ্গতার ফাঁদে পা দিলেই শুরু হয়ে যায় গোটা খেলা।
সেক্স চ্যাটের ভিডিয়ো রেকর্ড করে শুরু হয়ে যায় সাইবার জালিয়াতি। ক্যামেরার ওপারে থাকা বিবস্ত্র মহিলা কিংবা পুরুষের গোপনাঙ্গের ছবি তুলে শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। কারও থেকে 10 লক্ষ, কারও থেকে দাবি করা হয় 50 লক্ষ টাকা। গোয়েন্দারা বলছেন, আগেভাগেই সাইবার দস্যুরা অনলাইনের সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের প্রোফাইল জেনে নেয় ৷ ফোনের ওপারে থাকা মানুষটি যদি ব্যবসায়ী হয়, তাহলে তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে সাইবার জালিয়াতরা।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাইবার দস্যুদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা মিটিয়ে চুপ থেকে যান হেনস্থার শিকার হওয়া সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের উপ-নগরপাল (সাইবের সেল) বিদিশা কলিতা ইটিভি ভারত-কে বলেন, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ভরতপুরের কুখ্যাত গ্যাং (Bharatpur Gang are mastermind behind Honeytrap racket) ৷ গোটা বিষয়টি পরিচালিত হয় নাইজেরিয়া থেকে। ঘটনার অভিযোগে ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে 10 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞ তথা এথিক্যাল হ্যাকার মহম্মদ রেজা আহমেদ বলেন, হানি ট্র্যাপ নতুন কোনও ঘটনা নয়। এই প্রকার সেক্স চ্যাটের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। নিজেদের যৌন লালসা মেটানোর জন্য এই ফাঁদে একবার পা দিলেই নিমিষের মধ্যে টাকা গায়েব হতে শুরু করে। তবে এই ফাঁদে পা দিয়ে লজ্জায় চুপ না থেকে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি ৷