কলকাতা, 9 জানুয়ারি : আনন্দপুরে অটোচালক খুনের (Anandapur Auto Driver Murder) ঘটনায় আত্মসমর্পণ করলেন এক অভিযুক্ত ৷ তাঁর নাম মঙ্গল ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় বেআইনিভাবে গাঁজা বিক্রি করেন এই যুবক ৷ যে দু’জনের বিরুদ্ধে অটোচালক বিশ্বজিৎ জানাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে, সেই দুই যুবকও এই মঙ্গলেরই শাগরেদ বলে দাবি এলাকাবাসীর ৷ পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই দু’জনকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ৷ তাঁদের মধ্যে একজনকে প্রাথমিক জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও কালী নামে অন্য যুবককে আটক করে রেখেছে আনন্দপুর থানার (Anandapur Police Station) পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : body found in Anandapur : অটোচালকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য আনন্দপুরে
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকারই একটি ছোট দোকানে গাঁজা বিক্রি করেন মঙ্গল ৷ আর তাঁর দুই শাগরেদ (কালী-সহ) এলাকায় বেআইনি মদের জোগান দেয় ৷ মদ, গাঁজার এইসব বেআইনি ঠেকের জন্যই আনন্দপুরে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়ছে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা ৷ এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমের পিছনের জমি থেকে অটোচালক বিশ্বজিৎ জানার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয় (Auto Driver Murder Body Recover in Anandapur) ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে পাথরের মতো ভারী কোনও সামগ্রী দিয়ে দেহ থেঁতলে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Hanging Body of Engineer Recovered : আবাসন থেকে উদ্ধার সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের ঝুলন্ত দেহ, চাঞ্চল্য সিউড়িতে
বিশ্বজিতের দেহ উদ্ধারের খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা ৷ মদের ঠেকে শুরু হয় ভাঙচুর ৷ পুলিশ জনতাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায় ৷ বাসিন্দাদের দাবি, বিশ্বজিৎকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা ৷ ঘটনায় মঙ্গল ও তাঁর চ্যালা চামুণ্ডারা যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর ৷ তাঁদের দাবি, মঙ্গলের বিরুদ্ধে বারবার থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ পুলিশ তাঁর কারবার বন্ধ করতে কোনও পদক্ষেপই করেনি ৷ স্থানীয় সূত্রের দাবি, জনরোষের মুখে পড়ে কিছুটা বাধ্য হয়েই আত্মসমর্পণ করেছেন মঙ্গল ৷ তিনি সত্যিই খুনের সঙ্গে জড়িতে রয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ ঘটনার তদন্ত চলছে ৷