ETV Bharat / city

আরএসএস-র রিপোর্ট পেয়েই বিধানসভা নির্বাচনে মুকুলকে নিষ্ক্রিয় ?

বিজেপি সূত্রে খবর, 2019 সালের লোকসভা ভোটের পর থেকেই মুকুল রায় ও তৃণমূলের মধ্যে গোপন আঁতাত তৈরি হয় ৷ তাই বিধানসভা ভোটের সময় তাঁকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয় ৷

bjp sidelined mukul roy before bengal poll after a internal rss report
মমতা-মুকুল গোপন আঁতাতের রিপোর্ট ভোটের আগেই বিজেপিকে দিয়েছিল আরএসএস
author img

By

Published : Jun 17, 2021, 5:01 AM IST

কলকাতা, 17 জুন : ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন মুকুল রায় (Mukul Roy) ৷ কিন্তু অনেক আগে থেকেই গোপনে তিনি যোগাযোগ রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের সঙ্গে ৷ অন্তত বিজেপির অন্দরমহল থেকে তেমনই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, মুকুলের গতিবিধি যে ক্রমশ দলবিরোধী হয়ে যাচ্ছে, তা আগে থেকেই জানতেন কেন্দ্রীয় নেতারা ৷ তাই বিধানসভা ভোটের আগে ক্রমশ এই নেতাকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয় ৷

অথচ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভালো ফল করার জন্য বিজেপির অন্যতম কান্ডারি ছিলেন মুকুল রায় ৷ ওই ভোটের আগেই তাঁকে বিজেপির রাজ্য নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক করা হয় । তার পর বিজেপির প্রার্থী তালিকা তৈরি থেকে প্রচার, সব কিছুই নিজের হাতে করেন তিনি । লোকসভা ভোটে বিজেপি 18 টি আসনে জেতে । দলের এই সাফল্যের জন্য মুকুল রায়কে কৃতিত্বও দেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ।

আরও পড়ুন : অতি বাড় বেড়ো না, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

কিন্তু সেই তুলনায় সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে মুকুল রায় অনেক বেশি নিস্প্রভ ছিলেন ৷ তাঁকে সেভাবে প্রচারে দেখা যায়নি ৷ অমিত শাহের নির্দেশে তিনি অনিচ্ছা সত্ত্বেও কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভায় ভোটের লড়াইয়েও নামেন ৷ বিজেপি সূত্রে খবর, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই মুকুল রায়কে একটি কেন্দ্রে আটকে রাখতে চেয়েছিলেন ৷ তাছাড়া দলের প্রচার-পরিকল্পনা সহ আরও অনেক বিষয় থেকে বাইরে রাখা হয়েছিল মুকুল রায়কে ৷

bjp sidelined mukul roy before bengal poll after a internal rss report
মুকুল রায় ও অমিত শাহ

বিজেপির ওই সূত্র জানাচ্ছে, এই সবের পিছনে ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস (RSS) এর একটি রিপোর্ট ৷ 35 পাতার ওই রিপোর্ট জমা পড়েছিল অমিত শাহের কাছে ৷ সেই রিপোর্টেরই মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের গোপন আঁতাতের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল ৷ লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পরই তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা মুকুল রায়ের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছিলেন, সেই কথাও ওই রিপোর্টে লেখা ছিল । এর পরই নড়েচড়ে বসে বিজেপি ৷ তার পর মুকুল রায়কে দলের অন্দরেই ব্রাত্য করে রাখার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৷

আরও পড়ুন : তৃণমূলে ফেরা পাকা করতেই কি পার্থর বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাৎ ?

বিজেপি সূত্রে খবর, মুকুল রায়ের বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কানে যাওয়ার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ছাড়া তৃণমূল ছেড়ে আসা অন্য কোনও নেতাকেই সেভাবে ভরসা করতে পারেননি তাঁরা ৷ তাই 294 টি বিধানসভা কেন্দ্রেই একজন করে দিল্লির নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় । রাজ্যে দিল্লির একাধিক সিনিয়র নেতাকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয় । বিজেপির আইটি সেলের সভাপতি অমিত মালব্য, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতো নেতারা ঘাঁটি গাড়েন বাংলায় । এছাড়া মুকুল রায়ের দেওয়া প্রার্থী তালিকাও ঝাড়াই-বাছাই করা হয় ৷

এই বিষয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান, দলের ভিতর থেকেই কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে, তা হলে তাঁকে মীরজাফর ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে ৷ একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, "তবে আরএসএসকে ধন্যবাদ জানাই । সত্যি যদি আরএসএস দিল্লিকে ঠিক সময়ে না জানাতেন, তা হলে আরও বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিলও । তবে তৃণমূলের দলবদলুদের রাজ্যের মানুষ ভাল ভাবে নেননি । বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফলের পর সেটা প্রমাণ হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন : কথা রাখেনি, শুভেন্দুর নাম নিতে চাই না ; এবার বেসুরো সুনীল

কলকাতা, 17 জুন : ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন মুকুল রায় (Mukul Roy) ৷ কিন্তু অনেক আগে থেকেই গোপনে তিনি যোগাযোগ রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের সঙ্গে ৷ অন্তত বিজেপির অন্দরমহল থেকে তেমনই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, মুকুলের গতিবিধি যে ক্রমশ দলবিরোধী হয়ে যাচ্ছে, তা আগে থেকেই জানতেন কেন্দ্রীয় নেতারা ৷ তাই বিধানসভা ভোটের আগে ক্রমশ এই নেতাকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয় ৷

অথচ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভালো ফল করার জন্য বিজেপির অন্যতম কান্ডারি ছিলেন মুকুল রায় ৷ ওই ভোটের আগেই তাঁকে বিজেপির রাজ্য নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক করা হয় । তার পর বিজেপির প্রার্থী তালিকা তৈরি থেকে প্রচার, সব কিছুই নিজের হাতে করেন তিনি । লোকসভা ভোটে বিজেপি 18 টি আসনে জেতে । দলের এই সাফল্যের জন্য মুকুল রায়কে কৃতিত্বও দেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ।

আরও পড়ুন : অতি বাড় বেড়ো না, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

কিন্তু সেই তুলনায় সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে মুকুল রায় অনেক বেশি নিস্প্রভ ছিলেন ৷ তাঁকে সেভাবে প্রচারে দেখা যায়নি ৷ অমিত শাহের নির্দেশে তিনি অনিচ্ছা সত্ত্বেও কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভায় ভোটের লড়াইয়েও নামেন ৷ বিজেপি সূত্রে খবর, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই মুকুল রায়কে একটি কেন্দ্রে আটকে রাখতে চেয়েছিলেন ৷ তাছাড়া দলের প্রচার-পরিকল্পনা সহ আরও অনেক বিষয় থেকে বাইরে রাখা হয়েছিল মুকুল রায়কে ৷

bjp sidelined mukul roy before bengal poll after a internal rss report
মুকুল রায় ও অমিত শাহ

বিজেপির ওই সূত্র জানাচ্ছে, এই সবের পিছনে ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস (RSS) এর একটি রিপোর্ট ৷ 35 পাতার ওই রিপোর্ট জমা পড়েছিল অমিত শাহের কাছে ৷ সেই রিপোর্টেরই মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের গোপন আঁতাতের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল ৷ লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পরই তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা মুকুল রায়ের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছিলেন, সেই কথাও ওই রিপোর্টে লেখা ছিল । এর পরই নড়েচড়ে বসে বিজেপি ৷ তার পর মুকুল রায়কে দলের অন্দরেই ব্রাত্য করে রাখার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৷

আরও পড়ুন : তৃণমূলে ফেরা পাকা করতেই কি পার্থর বাড়িতে সৌজন্য সাক্ষাৎ ?

বিজেপি সূত্রে খবর, মুকুল রায়ের বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কানে যাওয়ার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ছাড়া তৃণমূল ছেড়ে আসা অন্য কোনও নেতাকেই সেভাবে ভরসা করতে পারেননি তাঁরা ৷ তাই 294 টি বিধানসভা কেন্দ্রেই একজন করে দিল্লির নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় । রাজ্যে দিল্লির একাধিক সিনিয়র নেতাকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয় । বিজেপির আইটি সেলের সভাপতি অমিত মালব্য, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতো নেতারা ঘাঁটি গাড়েন বাংলায় । এছাড়া মুকুল রায়ের দেওয়া প্রার্থী তালিকাও ঝাড়াই-বাছাই করা হয় ৷

এই বিষয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান, দলের ভিতর থেকেই কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে, তা হলে তাঁকে মীরজাফর ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে ৷ একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, "তবে আরএসএসকে ধন্যবাদ জানাই । সত্যি যদি আরএসএস দিল্লিকে ঠিক সময়ে না জানাতেন, তা হলে আরও বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিলও । তবে তৃণমূলের দলবদলুদের রাজ্যের মানুষ ভাল ভাবে নেননি । বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফলের পর সেটা প্রমাণ হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন : কথা রাখেনি, শুভেন্দুর নাম নিতে চাই না ; এবার বেসুরো সুনীল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.