কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরের সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন রয়েছে অসমে ৷ একের পর এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তোলা আদায়ের টাকায় কিনছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্রশস্ত্র ৷ এই মুহূর্তে উত্তর-পূর্বের সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন গুলির অন্যতম জ়োলিয়ানগ্রঙ্গ( zoliangrong) ইউনাইটেড ফ্রন্ট (ZUF) ৷ তাদের সদস্যরা ডেরা বেঁধেছে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকায় ৷ তারই প্রমাণ পাওয়া গেল আজ ৷ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গ্রেপ্তার করল 5 জঙ্গিকে ৷
গতকাল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গ্রেপ্তার করে ইসাওল্যাং রাইমে (29) নামে এক ব্যক্তিকে । পুলিশের কাছে খবর ছিল ধর্মতলা এলাকায় হবে জালনোটের হাত বদল ৷ সেইমতো কাল ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রথমে আটক করা হয় রাইমেকে ৷ তার বাড়ি আসামের ডিমা হাছাও জেলার NC হিলস এলাকায় ৷ রাইমের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দেড় লাখ টাকার জাল নোট ।
আজ তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তুলে পুলিশি হেপাজত চায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । 13 মার্চ পর্যন্ত তার পুলিশ হেপাজত মঞ্জুর করে আদালত । তার পরেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ । সেই জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে নেয়, তার অন্য সঙ্গী-সাথীরা রয়েছে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকায় । এরপর এই তৎপরতার সঙ্গে সেখানে হানা দেয় পুলিশ । সেখানে গ্রেপ্তার করা হয় মণিপুরের লাইশরাম জিনান (39), সেখানকারই রংমেই কামেই আথুয়ান (39), অসমের রিনসি কিখি পনমেই(31), জিনা রংমেই (29) । এদের মধ্যে শেষ দু'জন মহিলা । উদ্ধার হয় 34 লাখ 54 হাজার 270 টাকা । পাঁচ জনকে বসিয়ে জেরা করতে পরিষ্কার হয়ে যায় পুরো বিষয়টি । তারা যে ZUF সদস্যা স্বীকার করে নেয় ।
গত 19 ফেব্রুয়ারি মণিপুরের নোনে জেলায় অভিজিৎ ধর নামে সিম্প্লেক্স কোম্পানির এক প্রজেক্ট ম্যানেজারকে অপহরণ করে জঙ্গিরা । পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পান অভিজিৎ । উদ্ধার হওয়া টাকা মুক্তিপণের একটি অংশ বলে স্বীকার করেছে জঙ্গিরা । ওই অপহরণের ঘটনায় এই পাঁচজন সরাসরি জড়িত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । নাকি কলকাতায় বসে ওই টাকার বিনিময়ে তারা অস্ত্র কিনে মণিপুরে চালান করা হত, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । তবে গোয়েন্দারা একটি বিষয় নিশ্চিত । উত্তর-পূর্বের জঙ্গিরাও জাল নোট চক্রের অন্যতম শরিক হয়ে উঠেছে । বিষয়টি ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের ।