ETV Bharat / city

যাত্রী অভাবে সংকটে শহরের অটো চালকরা - কলকাতা অটো পরিষেবা

বুধবার থেকে অটোতে 4 জন যাত্রী তোলার সরকারি নির্দেশিকা থাকলেও যাত্রী মিলছে না বলে জানাল অটো চালকরা৷ তাদের কথায়, মেট্রো, লোকাল ট্রেন, স্কুল ও কলেজ না খোলা পর্যন্ত যাত্রী মিলবে না৷

no passengers kolkata auto rickshaw
কলকাতা
author img

By

Published : Jun 3, 2020, 8:02 PM IST

Updated : Jun 3, 2020, 9:42 PM IST

কলকাতা, 3 জুন: সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আজ থেকে অ্যাপ ক্যাব, হলুদ ট্যাক্সি, বাস ও অটোতে আসন সংখ্যার সমান সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। যদিও শহরের অটো চালকরা জানাল, মেট্রো ও লোকাল ট্রেন না চললে মিলবে না পর্যাপ্ত যাত্রী। তাদের কথায়, রাস্তায় লোক নেই৷ 2 জন যাত্রী পাওয়াই মুশকিল হচ্ছে, 4 জন কোথা থেকে মিলবে! অন্যন্য পরিবহন সচল না হলে সমস্যা মিটবে না বলেই মনে করছে অটো চালকরা।

ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ সেই মতো সচল হচ্ছে রাজ্যও। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে গণপরিবহন। মে মাসের 27 তারিখ থেকে শহরের পথে নেমেছে অটো। তবে যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে শর্ত ছিল পরিবহন দপ্তরের। বলা হয়েছিল, অটোতে নেওয়া যাবে না 2 জনের বেশি যাত্রী। তবে, আজ বুধবার থেকে অটোতে 4 জন যাত্রী নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে দপ্তর। যদিও পথে লোক নেই, ফলে 4 জন তো দূর 2 জন যাত্রীও হচ্ছে না বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন রুটের অটো চালকেরা৷

অটোরিকশা অপারেটর ইউনিয়নের সম্পাদক খোকন শি বলেন, "সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আজ সকাল থেকে যাত্রী আসনের সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে আমরা অটো চালাচ্ছি। তবে, 2 জন যাত্রী পাওয়াই মুশকিল হচ্ছে। আমাদের রুটটি যেহেতু লোকাল ট্রেনের যাত্রী নির্ভর, ফলে ট্রেন চলাচল না করলে যাত্রী পাবো না।"

যাত্রী নেই, জানাচ্ছে শহরের অটো চালকরা৷

বাগুইহাটি-উলটোডাঙা অটোরিকশা অপারেটর ইউনিয়নের সম্পাদক বিপ্লব মোদকের কথায়, "রাস্তায় যাত্রী সংখ্যা খুব কম৷ 4 জন হবে কোথা থেকে। 4 জনের ঘোষণা হলেও 2 জন নিয়েই পরিষেবা দিচ্ছি। "

উলটোডাঙা সল্টলেক অটো অপারেটর ইউনিয়নের সম্পাদক গুণধর দাস অবশ্য জানান, সরকারি নির্দেশিকা আসেনি। তাই এই রুটে 2 জন যাত্রী নিয়েই অটো চলছে। 121 নম্বর রুট সিঁথির মোড় থেকে দমদম মিল্ক কলোনির এক অটো চালক আবার জানিয়ে দিচ্ছেন, যাত্রী অভাবে গতকাল দুই ঘণ্টায় এক টিপ গাড়ি চলেছে৷ আজ 4 জন করে যাত্রী নিতে গিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় এক টিপ গাড়ি চালানো সম্ভব হয়েছে৷

অটোরিকশা চালক সঞ্জয় সরকার বলেন, "আমাদের রুট মেট্রোরেল ও স্কুল-কলেজের ওপরে নির্ভরশীল। যতক্ষণ না মেট্রো চালু হচ্ছে ও স্কুল কলেজ খুলছে ততক্ষণ যাত্রী পাওয়ার আশা নেই।

এই রুটের অটোরিকশা চালকরা জানিয়ে দিল, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে 150 থেকে 200 টাকার বেশি আয় হচ্ছে না। প্রথম দফায় গত মাসের 27 তারিখে রাস্তায় গাড়ি নামালেও যাত্রী অভাবে অনেকেই ফের গাড়ি গ্যারেজে তুলে রেখেছেন। অন্যদিকে অভিযোগ উঠছে, আজ বেশ কিছু রুটে 4 জন করে যাত্রী তোলা হলে ট্রাফিক পুলিশ বাধা দিয়েছে৷

কলকাতা, 3 জুন: সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আজ থেকে অ্যাপ ক্যাব, হলুদ ট্যাক্সি, বাস ও অটোতে আসন সংখ্যার সমান সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। যদিও শহরের অটো চালকরা জানাল, মেট্রো ও লোকাল ট্রেন না চললে মিলবে না পর্যাপ্ত যাত্রী। তাদের কথায়, রাস্তায় লোক নেই৷ 2 জন যাত্রী পাওয়াই মুশকিল হচ্ছে, 4 জন কোথা থেকে মিলবে! অন্যন্য পরিবহন সচল না হলে সমস্যা মিটবে না বলেই মনে করছে অটো চালকরা।

ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ সেই মতো সচল হচ্ছে রাজ্যও। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে গণপরিবহন। মে মাসের 27 তারিখ থেকে শহরের পথে নেমেছে অটো। তবে যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে শর্ত ছিল পরিবহন দপ্তরের। বলা হয়েছিল, অটোতে নেওয়া যাবে না 2 জনের বেশি যাত্রী। তবে, আজ বুধবার থেকে অটোতে 4 জন যাত্রী নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে দপ্তর। যদিও পথে লোক নেই, ফলে 4 জন তো দূর 2 জন যাত্রীও হচ্ছে না বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন রুটের অটো চালকেরা৷

অটোরিকশা অপারেটর ইউনিয়নের সম্পাদক খোকন শি বলেন, "সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আজ সকাল থেকে যাত্রী আসনের সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে আমরা অটো চালাচ্ছি। তবে, 2 জন যাত্রী পাওয়াই মুশকিল হচ্ছে। আমাদের রুটটি যেহেতু লোকাল ট্রেনের যাত্রী নির্ভর, ফলে ট্রেন চলাচল না করলে যাত্রী পাবো না।"

যাত্রী নেই, জানাচ্ছে শহরের অটো চালকরা৷

বাগুইহাটি-উলটোডাঙা অটোরিকশা অপারেটর ইউনিয়নের সম্পাদক বিপ্লব মোদকের কথায়, "রাস্তায় যাত্রী সংখ্যা খুব কম৷ 4 জন হবে কোথা থেকে। 4 জনের ঘোষণা হলেও 2 জন নিয়েই পরিষেবা দিচ্ছি। "

উলটোডাঙা সল্টলেক অটো অপারেটর ইউনিয়নের সম্পাদক গুণধর দাস অবশ্য জানান, সরকারি নির্দেশিকা আসেনি। তাই এই রুটে 2 জন যাত্রী নিয়েই অটো চলছে। 121 নম্বর রুট সিঁথির মোড় থেকে দমদম মিল্ক কলোনির এক অটো চালক আবার জানিয়ে দিচ্ছেন, যাত্রী অভাবে গতকাল দুই ঘণ্টায় এক টিপ গাড়ি চলেছে৷ আজ 4 জন করে যাত্রী নিতে গিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় এক টিপ গাড়ি চালানো সম্ভব হয়েছে৷

অটোরিকশা চালক সঞ্জয় সরকার বলেন, "আমাদের রুট মেট্রোরেল ও স্কুল-কলেজের ওপরে নির্ভরশীল। যতক্ষণ না মেট্রো চালু হচ্ছে ও স্কুল কলেজ খুলছে ততক্ষণ যাত্রী পাওয়ার আশা নেই।

এই রুটের অটোরিকশা চালকরা জানিয়ে দিল, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে 150 থেকে 200 টাকার বেশি আয় হচ্ছে না। প্রথম দফায় গত মাসের 27 তারিখে রাস্তায় গাড়ি নামালেও যাত্রী অভাবে অনেকেই ফের গাড়ি গ্যারেজে তুলে রেখেছেন। অন্যদিকে অভিযোগ উঠছে, আজ বেশ কিছু রুটে 4 জন করে যাত্রী তোলা হলে ট্রাফিক পুলিশ বাধা দিয়েছে৷

Last Updated : Jun 3, 2020, 9:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.