কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর : পুজো অনুদান (Puja Donation) সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের দেওয়া হলফনামায় দাবি করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত কোনও মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) বাকি নেই । পাশাপাশি যেভাবে মহার্ঘ ভাতা ও পুজোর অনুদান বিষয় দু’টিকে যুক্ত করা হয়েছে, তা সঠিক নয় । কারণ, বিষয় দু’টিই সম্পূর্ণ আলাদা ।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পুজো সম্পূর্ণ একটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেখানে রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশ করে টাকা দিচ্ছে, যা বেআইনি । গত তিন বছর রাজ্য এই টাকা দিচ্ছে নানা অজুহাতে । 2020 সালে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এসএলপি করা হলে, রাজ্য জানায় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নামে ক্যাম্পেনের প্রচারের জন্য । রাজ্য জানিয়েছিল এই টাকা বাজেটের অন্তর্ভুক্ত ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আবার গত বছর বলা হয় মাস্ক-স্যানিটাইজার কেনার জন্য । রাজ্য জনস্বার্থে টাকা খরচ করতে পারে । কিন্তু কিভাবে আশ্বস্ত করবে যে সত্যিই এই টাকা জনগণের কল্যাণে খরচ করা হচ্ছে ? কারণ, আগের বছরগুলোতে টাকা কিভাবে খরচ হয়েছে হিসাব রাজ্য দিতে পারেনি ।’’
আরেক মামলাকারীর তরফে আইনজীবী শমীক বাগচি বলেন, "স্বাস্থ্য সাথী, আমফান ঝড়ের পর টাকা দেওয়ার কথা ছিল, তা এখনও দেওয়া হয়নি । অথচ ক্লাবগুলোকে টাকা দিতে রাজ্য অত্যন্ত তৎপর ।"
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘2010 সাল থেকে এই ধরনের মামলা হচ্ছে হাইকোর্টে । সুপ্রিম কোর্টেও মামলা হয়েছে । কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করতে চায়নি । গত বছরও হাইকোর্ট অনুদান দেওয়ায় সম্মতি দিয়েছিল । রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারপর অনুদান দিতে শুরু করে ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে আগেও এই ধরনের মামলায় অনুদান বিলি করার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট কখনও স্থগিতাদেশ দেয়নি । ফলে আদালতের এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করাই উচিত নয় ।’’
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এখনও পর্যন্ত আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি এই মামলায় ৷
আরও পড়ুন : সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ায় ক্ষোভ কর্মচারী ইউনিয়নগুলোর