কলকাতা, 27 জানুয়ারি: বক্সা-জয়ন্তীতে বেআইনি হোটেল-রেস্তোরাঁ এখনও কেন বন্ধ করা হচ্ছে না, রাজ্যের কাছে এই প্রশ্নের জবাব তলব করল জাতীয় পরিবেশ আদালত (National Green Tribunal on Buxa tiger reserve forest)। এব্যাপারে তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের দায়ের করা মামলায় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চল শাখার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে ।
এর আগে 2017 সালে বক্সা-জয়ন্তীতে গড়ে ওঠা বেআইনি বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁ ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ তারপরেও বন দফতরের জমিতে পরিবেশের ক্ষতি করে রমরমিয়ে হোটেল ও রেস্তোরাঁ নির্মাণ অব্যাহত ছিল বলে অভিযোগ । এই ব্যাপারে রাজ্যের হলফনামা তলব করেছিল পরিবেশ আদালত ।
রাজ্যের তরফে 24 জানুয়ারি একটি হলফনামায় জানানো হয়েছে, বক্সাতে (Buxa tiger reserve forest news) 69টি বেসরকারি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও হোম স্টে রয়েছে । রাজ্যের অধীনে থাকা কুড়িটি হোটেল-রেস্তোরাঁ ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । বেসরকারি মালিকানায় থাকা হোটেল-রেস্তোরাঁগুলিকে ভেঙে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপারের মাধ্যমে । কিন্তু সেগুলি আদৌ ভাঙা হয়েছে কি না, হলফনামায় (National Green Tribunal seeks affidavit from state) তা স্পষ্ট করা হয়নি ।
আরও পড়ুন: Bhutia Basti Relocation : বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে সরছে ভুটিয়া বস্তি
যদিও গত বছর 8 ডিসেম্বর তিনটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়েছে । কিন্তু বেসরকারি মালিকানায় থাকা 69টি টুরিস্ট লজ, হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলো রেভিনিউ গ্রামের আওতায় রয়েছে বলে হলফনামায় জানানো হয়েছে । যেগুলো আগে জঙ্গলের অধীনে থাকা গ্রাম বলে চিহ্নিত ছিল । বক্সাতে 37টি গ্রামকে এই ভাবে 2014 সালে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেভিনিউ গ্রামে রূপান্তরিত করেছে ৷ কিন্তু এ ব্যাপারে বন দফতরে ডেপুটি সেক্রেটারি কোনওরকম ব্যাখ্যা দেননি । কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা বন দফতরের এই এলাকাকে কী করে রাজ্য সরকার রেভিনিউ এলাকা বলে চিহ্নিত করল, এ ব্যাপারে রাজ্যের অধীনে থাকা বন দফতরকে যথাযথ তথ্য-সহ হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
আরও পড়ুন: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে দেখা মিলল ব্ল্যাক প্যান্থারের
এ ছাড়াও জয়ন্তীতে ক্যাম্পিং স্টেশনের নামে যে সমস্ত টুরিস্ট লজ চালানো হচ্ছে, তাতে পর্যটকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত । মার্চ মাসের শুরুতে ফের এই মামলার শুনানি রাখা হয়েছে ।