কলকাতা, 1 ডিসেম্বর : নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল পুনর্গণনার দাবি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ফের পিছোল । বিচারপতি শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, যেহেতু এই সংক্রান্ত একটি মামলা সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে তাই আপাতত হাইকোর্টে মামলা শুনানি করা হচ্ছে না। 7 জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি। এর আগের দিন শুনানিতে বিচারপতি শম্পা সরকার শুভেন্দু অধিকারীকে এই মামলায় তাঁর বক্তব্য লিখিত আকারে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তাঁর লিখিত বক্তব্য আজ আদালতে জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি সরাসরি মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা তথা ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর নামে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট অভিযোগ ছিল শুভেন্দু অধিকারী এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে এবং নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের ভয় দেখিয়ে ওই কেন্দ্রের ফলাফল প্রভাবিত করেছিলেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল প্রাথমিকভাবে তিনি জিতে গেলেও পরে তাঁকে পরাজিত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রথম মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠলেও শাসকদল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ এই মামলার শুনানির বিরোধিতা করেন। শেষে বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র মামলাটি না শুনে ছেড়ে দিলেও মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 5 লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। তারপর গত অগস্ট মাসে বিচারপতি শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চে আসে মামলাটি। বিচারপতি শম্পা সরকার নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই কেন্দ্রের নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র থেকে শুরু করে ইভিএম সব সংরক্ষণ করার।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের ফল পুনর্বিবেচনা মামলার শুনানি হাইকোর্টে
ইতিমধ্যে সুপ্রিমকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর তরফে একটি মামলা করা হয় ৷ রাজ্যে এই মামলার শুনানি হলে তিনি সুবিচার পাবেন না বলে আবেদন জানিয়েছেন। অর্থাৎ, তিনি এই মামলাটির শুনানি দেশের অন্য কোনও হাইকোর্টে করার দাবি জানিয়ে মামলা করেন সুপ্রিমকোর্টে। সেই মামলাটি এখনও বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
মামলার ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্লদল ভট্টাচার্য বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী তাঁর লিখিত বক্তব্য আজ জমা দিয়েছেন আদালতের নির্দেশ মতো। এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরানোর একটি আবেদন আমার মক্কেল সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন। মামলাটি সুপ্রিমকোর্টে এখনও বিচারাধীন রয়েছে। সেই কারণে বিচারপতি আপাতত মামলাটি শুনবেন না বলে জানিয়েছেন ৷"