কলকাতা, 5 জুলাই: মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে লোক ঢুকে পড়ার ঘটনার পর সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আটোসাটো করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে (Nabanna security tightened)৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশাপাশি এ বার খতিয়ে দেখা হচ্ছে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্নের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও (CM security breach)।
রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফলে কালীঘাটের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের ভিতর লোক ঢুকে পড়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে নবান্নে না-হয়, তার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করছে লালবাজার । ইতিমধ্যেই নবান্নের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা একটি বৈঠক করেছেন । বৈঠকে উঠে এসেছে নবান্নের বাইরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সব চিত্র ।
ক্যামেরা রয়েছে ? প্রত্যেকটি সিসিটিভি ক্যামেরা বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে ? এছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি কতটা স্পষ্ট ? এই সব বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে । পাশাপাশি বেশ কিছু মেটাল ডিটেক্টর রয়েছে নবান্নে । বর্তমানে সেই মেটাল ডিটেক্টরগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, কতটা সক্রিয় ভাবে কাজ করছে, তা জানতে ইতিমধ্যেই টেকনিক্যাল সাপোর্ট নিচ্ছে লালবাজার ।
নবান্ন (Mamata Banerjee) রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন এবং এখানেই বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক সরকারি উচ্চ পদস্থ আমলারা ৷ তাঁদের সঙ্গে প্রত্যেকদিন একাধিক ব্যক্তি নানা সমস্যা নিয়ে দেখা করতে আসেন ৷ ফলে যে ভিজিটাররা আসছেন তাঁদের ঠিকানা, নাম, পরিচয় পত্র সঠিক ভাবে দেখা হচ্ছে কি না তার উপরও কড়া নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি নবান্নের লকবুক বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্মীরা ।
আরও পড়ুন: মমতার বাড়ি নাকি লালবাজার ! ধৃত হাফিজুলের বয়ান শুনে মনস্তত্ত্ববিদদের শরণে গোয়েন্দারা
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি ঢুকে পড়েন । পরে অবশ্য তাঁর নাম জানা যায় । উত্তর 24 পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা হাফিজুল মোল্লা নামে ওই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন গোয়েন্দারা । তাঁর কাছ থেকে একটি লোহার রডও উদ্ধার হয় । জিজ্ঞাসাবাদের সময় বারবার নিজের বয়ান বদল করছেন ধৃত । তিনি অবাঞ্ছিত কথাবার্তাও বলছেন বলে সূত্রের খবর । ফলে তদন্তকারীরা অনুমান করছেন, তার মানসিক অবস্থা ভালো নেই । সত্যিই কি তাঁর মানসিক কোনও সমস্যা রয়েছে নাকি তদন্তকে ভুল পথে চালিত করতে অভিনয় করছে ধৃত হাফিজুল ? তা জানতে মনস্তত্ত্ববিদদের শরণাপন্ন হচ্ছেন গোয়েন্দারা ।