কলকাতা, 22 মার্চ : আপাতত জামিন পেলেন না এমপিএস কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না ও সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের বান্ধবী দেবযানী মুখোপাধ্যায় ৷ আগামী সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট দু’টি মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ৷
আদালত সূত্রে খবর, এমপিএস কর্ণধার প্রমথনাথ মান্নার জামিনের আবেদনের ভিত্তিতে চার্জশিটের কপি চেয়ে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় ৷ অন্যদিকে, দেবযানীর মামলার বিশেষ তদন্তকারী আধিকারিক মুম্বইয়ে অন্য কাজে যুক্ত থাকায় মামলার শুনানি পিছিয়ে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৷
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে প্রমথনাথ মান্নার জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর মেয়ে ৷ গত বছরের এপ্রিল মাসে এই আবেদন করেন তিনি ৷ তাঁর যুক্তি ছিল, তাঁর বাবা এমনিতেই নানা অসুখে আক্রান্ত ৷ তার উপর করোনায় আক্রান্ত হলে সেটা মারাত্মক হতে পারে ৷ জামিন মঞ্জুর করতে বাবার হয়ে তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : সারদা থেকে উপার্জিত টাকা ফেরত দিতে চান কুণাল ঘোষ
এর আগে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে 2019 সালের জানুয়ারি মাসে জামিনের আবেদন করেছিলেন এমপিএস কর্ণধার ৷ সেই সময় এমপিএস মামলার শুনানিতে আদালতে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, তদন্ত শেষ হতে 2020 সালের জুলাই মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে ৷ তাই তার আগে প্রমথনাথ মান্নাকে জামিন দিলে তদন্ত ব্যাহত হবে ৷ তারপর করোনা পরিস্থিতিতে আর মামলার শুনানি হয়নি ৷ পাশাপাশি, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিকেও বদলি করে পাঠানো হয় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে ৷ তারপর থেকেই মামলার শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ৷ উল্লেখ্য, প্রায় 4 হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে 2015 সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রমথনাথ মান্না ৷
অন্যদিকে, সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে 20 হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রতারণার অভিযোগে 2013 সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায় ৷ এখন তিনি দমদম সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন ৷ কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর তরফে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ৷ সোমবারের মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, ‘‘কুণাল ঘোষ সারদার সিইও ছিলেন ৷ তিনি ছাড়া পেয়ে গেলেন ৷ অথচ 2014 সালে এই মামলার চার্জশিট পেশ হলেও এখনও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেলে আটকে রাখা হয়েছে ৷’’ আগামী সপ্তাহে ফের এই দু’টি মামলার শুনানি হবে ৷