ETV Bharat / city

চা-পানের দোকানে বিকোচ্ছে মাস্ক-স‍্যানিটাইজ়ার, হার্ডওয়্যারের দোকানে PPE কিট - PPE কিট

পুরনো ব্যবসায় মন্দা । যার জেরে অনেক দোকানে যেমন মাস্ক, হ‍্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, গ্লাভস বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসায়িক ক্ষতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তেমনই কোনও কোনও দোকানে আবার বিক্রির কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, COVID-19-এর সংক্রমণ বাড়ছে, তাই মানুষের প্রয়োজনে রাখা হয়েছে মাস্ক, হ‍্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ।

tea shops are selling masks
tea shops are selling masks
author img

By

Published : Jun 12, 2020, 4:27 PM IST

Updated : Jun 25, 2020, 8:02 AM IST

কলকাতা, 12 জুন : চতুর্থ দফার লকডাউনেই রাজ্যে গ্রিন ও অরেঞ্জ জ়োনে শর্তসাপেক্ষে খুলেছে চা-পানের দোকান । প্রায় দু'মাস পর দোকান খুলে স্বাভাবিকভাবেই লাভের মুখ দেখবেন, আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা । কিন্তু, লাভের গুড়ে বালি ৷ লকডাউনের জেরে ব্যবসায় মন্দা । ক্ষতি সামাল দিতে এবার চা-পানের দোকানেও মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার রাখছেন ব্যবসায়ীরা । শুধু তাই নয় । হার্ডওয়্যারের দোকানেও গ্লাভস এমনকী PPE কিট-ও বিক্রি হচ্ছে ।

কলকাতার বিভিন্ন ফুটপাথে ইতিমধ্যেই বিকোচ্ছে রং-বেরঙের মাস্ক, গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার । পৃথক স্টলও রয়েছে । বিক্রি হচ্ছে চা, পান থেকে শুরু করে হার্ডওয়্যারের দোকানেও । লকডাউনের জেরে দুই মাস পরে ফের দোকান খুললেও পুরনো ব্যবসায় দেখা দিয়েছে মন্দা । যার জেরে, অনেক দোকানেই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, গ্লাভস বিক্রির মাধ্যমে ক্ষতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে । অনেকেই আবার বিক্রির কারণ হিসেবে বলছেন, COVID-19-এর সংক্রমণ বাড়ছে, তাই মানুষের প্রয়োজনে রাখা হয়েছে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ।

এ'দিকে দেশে ক্রমশ বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণ । বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, জুন-জুলাই মাসে আরও বাড়বে সংক্রমণ । এই পরিস্থিতিতে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা । এরই মাঝে 8 জুন থেকে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস । বিভিন্ন পেশায় যুক্ত বহু মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে । স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষ । ব্যবহার করছেন স্যানিটাইজ়ারও । সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পাশাপাশি ফেস শিল্ডও ব্যবহার করছেন অনেকেই । এককথায় মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে বর্তমান পরিস্থিতিতে । তেমনই আবার রাস্তাঘাটে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না । সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতেও দেখা যাচ্ছে না অনেক জায়গাতেই । এই পরিস্থিতিতে ওষুধের দোকানগুলিতে তো বটেই, পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন ফুটপাথের বিভিন্ন স্টলসহ চা-পানের দোকান, মুদি এমনকী হার্ডওয়্যারের দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন আকৃতির রং-বেরঙের মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, ফেস শিল্ড, PPE কিট ।

চা-পানের দোকানে বিকোচ্ছে মাস্ক-স‍্যানিটাইজ়ার

হাজরা মোড়ে একটি চায়ের দোকানের দোকানি বাবলু মহেন্দ্র চৌরাশিয়া বলেন, "COVID-19-এর সংক্রমণ বাড়ছে বলে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলাম । ভালোই বিক্রি হচ্ছে । আমার দোকানে কেউ মাস্ক না পরে এলে তাঁকে চা বিক্রি করি না ।" দুই মাস পরে ফের দোকান খুলেছেন ফুটপাথে প্লাস্টিকের দ্রব্য বিক্রেতা রাজেন্দ্র সোনকার । তিনি বললেন, "আগে আমার দোকানে খুব বিক্রি হত । এখন মানুষ নেই তো কী করা যাবে । চাহিদা রয়েছে তাই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, ফেস শিল্ড দোকানে রেখেছি । এখন অনেক দোকানে এ'সব বিক্রি হচ্ছে তাই আমার দোকানে বিক্রি কমে গিয়েছে ।" এক পান বিক্রেতা রাজকুমার সাউ জানালেন মাস্ক পরে কেউ না এলে তাঁকে পান বিক্রি করেন না তিনি । তাঁর কথায়, "মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার এখন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস । তাই দোকানে রেখেছি । ভালোই বিক্রি হচ্ছে ।" হাজরা রোডের অন্য এক পানের দোকানি মনোজ প্রসাদ বলেন, "এখন যা পরিস্থিতি চলছে তাতে ব্যবসার অবস্থা খারাপ, চলছে না । এখন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের চাহিদা রয়েছে । তাই রেখেছি । ভালোই বিক্রি হচ্ছে ।" তিনি বলেন, "লকডাউনের পরে এক সপ্তাহ ধরে দোকান খুলছি । পান পাওয়া যাচ্ছে না বলে এখন দোকানে রাখছি না । পান নেই বলে এখন এগুলি বিক্রি করছি ।"

হাজরা মোড়ের কাছেই একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, গ্লাভস, ফেস শিল্ড তো রয়েছেই, এই দোকানে PPE কিট-ও বিক্রি হচ্ছে । হার্ডওয়্যারের দোকানে এ'সব বিক্রি করার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন এই দোকানের মালিক কানাই সাহা? তিনি বলেন, "দুই মাস লকডাউন ছিল । দেখলাম অবস্থা খুব খারাপ । এ'দিকে, ঘরে দু'মাস বসে থেকে আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল । মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, ফেস শিল্ড, PPE কিটের চাহিদা রয়েছে । এ'সব কিছু আমরা রাখছি যাতে মানুষের উপকার হয়, আমাদেরও চলে । এই করেই চালাচ্ছি ।" কী রকম বিক্রি হচ্ছে? বললেন, "চলে যাচ্ছে ।" কানাই সাহা বলেন, "ধরুন আপনার রুম স্যানিটাইজ়ড করতে বললেন । আমাদের কর্মীরা PPE কিট পরে স্যানিটাইজ়ড করে দিয়ে আসছেন । যাঁরা স্যানিটাইজ়ড করছেন, তাঁরাও PPE কিট কিনছেন । স্যানিটাইজ়ার এবং গ্লাভসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি । ফেস শিল্ডেরও ভালো ডিমান্ড রয়েছে ।" তবে বিক্রি নেই হার্ডওয়্যারের জিনিসের । "একদম বিক্রি নেই । খুবই খারাপ অবস্থা । দোকান খুলে বসে খরচ উঠছে না", বললেন কানাইবাবু ।

জিনিস কিনতে হলে ক্রেতাকে হাত স্যানিটাইজ়ড করে নিতে হচ্ছে । দোকানে প্রবেশের মুখে রাখা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার । কোনও ক্রেতা এলে আগে হাত স্যানিটাইজ়ড করবেন । মাস্ক পরে না এলে সেই ক্রেতাকে কোনও জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে না । বাড়ি, অফিস, গাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে স্যানিটাইজ়ড করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র এবং স্যানিটাইজ়ারও বিক্রি হচ্ছে একাধিক দোকানে ।

কলকাতা, 12 জুন : চতুর্থ দফার লকডাউনেই রাজ্যে গ্রিন ও অরেঞ্জ জ়োনে শর্তসাপেক্ষে খুলেছে চা-পানের দোকান । প্রায় দু'মাস পর দোকান খুলে স্বাভাবিকভাবেই লাভের মুখ দেখবেন, আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা । কিন্তু, লাভের গুড়ে বালি ৷ লকডাউনের জেরে ব্যবসায় মন্দা । ক্ষতি সামাল দিতে এবার চা-পানের দোকানেও মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার রাখছেন ব্যবসায়ীরা । শুধু তাই নয় । হার্ডওয়্যারের দোকানেও গ্লাভস এমনকী PPE কিট-ও বিক্রি হচ্ছে ।

কলকাতার বিভিন্ন ফুটপাথে ইতিমধ্যেই বিকোচ্ছে রং-বেরঙের মাস্ক, গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার । পৃথক স্টলও রয়েছে । বিক্রি হচ্ছে চা, পান থেকে শুরু করে হার্ডওয়্যারের দোকানেও । লকডাউনের জেরে দুই মাস পরে ফের দোকান খুললেও পুরনো ব্যবসায় দেখা দিয়েছে মন্দা । যার জেরে, অনেক দোকানেই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, গ্লাভস বিক্রির মাধ্যমে ক্ষতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে । অনেকেই আবার বিক্রির কারণ হিসেবে বলছেন, COVID-19-এর সংক্রমণ বাড়ছে, তাই মানুষের প্রয়োজনে রাখা হয়েছে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ।

এ'দিকে দেশে ক্রমশ বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণ । বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, জুন-জুলাই মাসে আরও বাড়বে সংক্রমণ । এই পরিস্থিতিতে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা । এরই মাঝে 8 জুন থেকে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস । বিভিন্ন পেশায় যুক্ত বহু মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে । স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষ । ব্যবহার করছেন স্যানিটাইজ়ারও । সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পাশাপাশি ফেস শিল্ডও ব্যবহার করছেন অনেকেই । এককথায় মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে বর্তমান পরিস্থিতিতে । তেমনই আবার রাস্তাঘাটে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না । সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতেও দেখা যাচ্ছে না অনেক জায়গাতেই । এই পরিস্থিতিতে ওষুধের দোকানগুলিতে তো বটেই, পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন ফুটপাথের বিভিন্ন স্টলসহ চা-পানের দোকান, মুদি এমনকী হার্ডওয়্যারের দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন আকৃতির রং-বেরঙের মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, ফেস শিল্ড, PPE কিট ।

চা-পানের দোকানে বিকোচ্ছে মাস্ক-স‍্যানিটাইজ়ার

হাজরা মোড়ে একটি চায়ের দোকানের দোকানি বাবলু মহেন্দ্র চৌরাশিয়া বলেন, "COVID-19-এর সংক্রমণ বাড়ছে বলে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলাম । ভালোই বিক্রি হচ্ছে । আমার দোকানে কেউ মাস্ক না পরে এলে তাঁকে চা বিক্রি করি না ।" দুই মাস পরে ফের দোকান খুলেছেন ফুটপাথে প্লাস্টিকের দ্রব্য বিক্রেতা রাজেন্দ্র সোনকার । তিনি বললেন, "আগে আমার দোকানে খুব বিক্রি হত । এখন মানুষ নেই তো কী করা যাবে । চাহিদা রয়েছে তাই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, ফেস শিল্ড দোকানে রেখেছি । এখন অনেক দোকানে এ'সব বিক্রি হচ্ছে তাই আমার দোকানে বিক্রি কমে গিয়েছে ।" এক পান বিক্রেতা রাজকুমার সাউ জানালেন মাস্ক পরে কেউ না এলে তাঁকে পান বিক্রি করেন না তিনি । তাঁর কথায়, "মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার এখন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস । তাই দোকানে রেখেছি । ভালোই বিক্রি হচ্ছে ।" হাজরা রোডের অন্য এক পানের দোকানি মনোজ প্রসাদ বলেন, "এখন যা পরিস্থিতি চলছে তাতে ব্যবসার অবস্থা খারাপ, চলছে না । এখন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের চাহিদা রয়েছে । তাই রেখেছি । ভালোই বিক্রি হচ্ছে ।" তিনি বলেন, "লকডাউনের পরে এক সপ্তাহ ধরে দোকান খুলছি । পান পাওয়া যাচ্ছে না বলে এখন দোকানে রাখছি না । পান নেই বলে এখন এগুলি বিক্রি করছি ।"

হাজরা মোড়ের কাছেই একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, গ্লাভস, ফেস শিল্ড তো রয়েছেই, এই দোকানে PPE কিট-ও বিক্রি হচ্ছে । হার্ডওয়্যারের দোকানে এ'সব বিক্রি করার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন এই দোকানের মালিক কানাই সাহা? তিনি বলেন, "দুই মাস লকডাউন ছিল । দেখলাম অবস্থা খুব খারাপ । এ'দিকে, ঘরে দু'মাস বসে থেকে আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল । মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, ফেস শিল্ড, PPE কিটের চাহিদা রয়েছে । এ'সব কিছু আমরা রাখছি যাতে মানুষের উপকার হয়, আমাদেরও চলে । এই করেই চালাচ্ছি ।" কী রকম বিক্রি হচ্ছে? বললেন, "চলে যাচ্ছে ।" কানাই সাহা বলেন, "ধরুন আপনার রুম স্যানিটাইজ়ড করতে বললেন । আমাদের কর্মীরা PPE কিট পরে স্যানিটাইজ়ড করে দিয়ে আসছেন । যাঁরা স্যানিটাইজ়ড করছেন, তাঁরাও PPE কিট কিনছেন । স্যানিটাইজ়ার এবং গ্লাভসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি । ফেস শিল্ডেরও ভালো ডিমান্ড রয়েছে ।" তবে বিক্রি নেই হার্ডওয়্যারের জিনিসের । "একদম বিক্রি নেই । খুবই খারাপ অবস্থা । দোকান খুলে বসে খরচ উঠছে না", বললেন কানাইবাবু ।

জিনিস কিনতে হলে ক্রেতাকে হাত স্যানিটাইজ়ড করে নিতে হচ্ছে । দোকানে প্রবেশের মুখে রাখা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার । কোনও ক্রেতা এলে আগে হাত স্যানিটাইজ়ড করবেন । মাস্ক পরে না এলে সেই ক্রেতাকে কোনও জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে না । বাড়ি, অফিস, গাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে স্যানিটাইজ়ড করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র এবং স্যানিটাইজ়ারও বিক্রি হচ্ছে একাধিক দোকানে ।

Last Updated : Jun 25, 2020, 8:02 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.