কলকাতা, 11 অক্টোবর: সোমবার রাতে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি গ্রেফতার করেছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya arrested by ED) ৷ সভাপতি থাকাকালীন ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে অযোগ্যকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ৷ সোমবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়ায় গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতিকে ৷ আপাতত তাঁকে হেফাজতে নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত বাকিদের নাম জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা ৷ তা জানতে গিয়েই একটি নাম নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে ৷
গ্রেফতারির পর মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে এবং তাতে একাধিক হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট থেকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য হাতে পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর গোয়েন্দারা ৷ ইডি মানিক ভট্টাচার্যের একটি হোয়াটস অ্যাপ নম্বর থেকে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মার্কশিট পেয়েছে, যেখানে লেখা থাকত সংশ্লিষ্ট মার্কশিটটি উচ্চ কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত । এছাড়াও সংশ্লিষ্ট নম্বরটি মানিক ভট্টাচার্যের ফোনে 'আর কে' নামে সেভ করা । আপাতত এই 'আর কে'-র পরিচয় জানতেই উদ্যোগী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷
মানিকের বয়ানে অসঙ্গতি থাকলেও গ্রেফতারির পর ইতিমধ্যেই তাঁর মোবাইল ঘেঁটে একাধিক তথ্য এবং একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হাতে এসেছে তদন্তকারীদের ৷ যা তদন্তে গতি আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এছাড়া ফোনে সেভ রাখা বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে মানিকের হোয়াটস অ্যাপ কথোপকথনও সামনে এসেছে ৷ তবে তদন্তের স্বার্থে সেই সকল প্রভাবশালীদের নাম এখনই জানাতে চাইছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন কী, ইডির কাছে জবাব চাইল হাইকোর্ট
গ্রেফতারির পর মঙ্গলবার সকালে মানিক ভট্টাচার্যকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় (Manik Bhattacharya taken to Joka ESI hospital)। সেখানে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পর আদালতে পেশ করার জন্য তাঁকে নিয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা ৷ সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।