কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) 'মেগা ফ্লপ' বলল তৃণমূল কংগ্রেস (Mamata Reacts to Nabanna Abhijan)। মূল কর্মসূচির আগে বিরোধী দলনেতার গ্রেফতারিকেও প্রবলভাবে কটাক্ষ ছুড়ে দিল রাজ্যের শাসকদল । বিশেষ করে কর্মসূচি চলাকালীন মহিলা পুলিশ কর্মীকে লক্ষ্য করে বিরোধী দলনেতার বলা 'ডোন্ট টাচ মাই বডি' - এহেন বক্তব্যকে রীতিমতো শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতে আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । তিনি বলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আলু ভাতে । প্রথম জীবনে বাবার দাক্ষিণ্যে এবং পরবর্তী সময় তৃণমূল নেত্রীর অনুকম্পায় রাজনীতি করেছেন । তাঁর আসল ক্ষমতা কতটুকু এ দিন প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে ।
শুধু কুণাল ঘোষ নয়, এ দিন সোশ্যাল সাইট টুইটারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের ভিডিয়ো প্রকাশ করে তাঁকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও । টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'বিজেপির 56 ইঞ্চি ছাতির ঢাক ফেটে গিয়েছে । দিনের সেরা ঘোষণা: আমায় স্পর্শ করবেন না, আমি পুরুষ ।'
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এ দিন শুভেন্দুকে লক্ষ্য করে বলেছেন, এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক নেতা প্রকাশ্যে জানান দিলেন যে তিনি পুরুষ । কতগুলো বাচ্চা বাচ্চা ছেলেকে পুলিশের সামনে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা । ওঁর কোনও দম নেই । রাস্তায় বসে আন্দোলন করার ক্ষমতা নেই । জামার ইস্ত্রির ভাঁজ ভাঙেন না, তিনি কীভাবে রাজনীতি করবেন ?
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর শরীরে কি কোনও সমস্যা আছে, জানতে সিবিআই তদন্ত চাইলেন কুণাল
এ দিন সামগ্রিকভাবে বিজেপির এই কর্মসূচিকে চূড়ান্ত ব্যর্থ বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল । খড়্গপুরের সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "বিজেপির নবান্ন অভিযান গুরুত্বহীন । ওদের গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই । আমরা রাজ্যে চাকরি দিচ্ছি । ওরা নবান্ন অভিযান করে মোড় ঘোরাতে চাইছে ।"
এ দিন দিনের শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, "বিজেপির নবান্ন অভিযান দিশাহীন গন্ডগোল আর বিশৃঙ্খলা ছাড়া কিছুই ছিল না । সবচেয়ে বড় কথা, মানুষই ওদের সঙ্গে নেই ৷ এ দিনের কর্মসূচি থেকে তা স্পষ্ট । তিন প্রান্ত থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তিন প্রান্তের মধ্যে কোনও সমন্বয় ছিল না । সকলেই নিজের ক্ষমতা দেখাতে চাইল । এই অবস্থায় কোনও আন্দোলন যা হওয়ার তাই হয়েছে । বিশৃঙ্খলা আর উশৃংখলতা ছাড়া কিছু ছিল না সেখানে । বিজেপির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শেখা উচিত বিরোধী দলে থেকে আন্দোলন কীভাবে করতে হয় ।"