কলকাতা, 29 অগস্ট: একুশে জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পরদিনই ইডি হানা দিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এবার রাজ্যের শাসক দল আশঙ্কা করছে 29 অগস্ট ছাত্র সমাবেশের পর তৃণমূলের কোনও বড় নেতার বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা হতে পারে। এমনকী গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁকেও। এমনটাই আশঙ্কা তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, এদিনের সমাবেশের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার নজরে পড়তে পারে অভিষেকের দু'বছরের ছেলেও (Mamata slams CBI ED from TMCP foundation day programme)।
সোমবার মেয়ো রোডে (Mayo Road) ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন মমতা। ঠিক কি বলেছেন তিনি? এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী বলেন,"আজকের সভায় অভিষেক খুব ভালো বক্তৃতা করেছে। এবার হয়তো কাল কোনও সংস্থা ওকে নোটিশ ধরাবে। অভিষেককে তো আগেও দু'বার নোটিশ ধরিয়েছে ৷ এমনকী ওর বউকেও নোটিস ধরিয়েছে। কিন্তু এবার তো মনে হয় ওর দু'বছরের ছেলেকেও নোটিশ ধরাবে। ওকেও নোটিশ ধরিয়ে দেখুক দু'বছরের ছেলেটা কতটা শক্ত হয়েছে।" এখানেই শেষ নয় ৷ মমতা আরও বলেন, "প্ল্যানিংটা হচ্ছে নির্বাচনের আগে ববি, অভিষেক সকলকে গ্রেফতার করে রেখে দাও। এরপর দেখবেন ববির অনেক সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ করবে। ওকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু জেনে রাখবেন সবটা সাজানো ঘটনা। আমাকেও গ্রেফতার করা হোক। আটকে রেখে দেখুক কী হয়। নির্বাচনের আগে তো আমায় মেরেছিল। ভেবেছিল বের হতে পারব না। কিন্তু আমায় জেলে রেখে দিলেও আমি ঠিক বেরিয়ে আসব।"
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে নিয়ে তাঁর শঙ্কার ছবিকেই প্রকট করে। অন্যদিকে, তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতির মুখোশ খুলে দিয়েছেন মমতা। এই মুহূর্তে অ-বিজেপি সরকার ফেলতে কেন্দ্রের অস্ত্র যে সিবিআই এবং ইডি, সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এদিন মমতার এই বক্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেছেন, "দুর্নীতির মসনদে বসে চরম আশঙ্কায় আছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রতিমুহূর্তে তিনি ভয় পাচ্ছেন এই বুঝি সিবিআই এসে গেল। তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্য তাঁর ভয়েরই বহিঃপ্রকাশ।"
আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মকে নিয়ে লড়ার প্রশ্নে এবার ফিরহাদের মুখে অভিষেকের প্রশস্তি
অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী কখনও ববির কথা, কখনও অভিষেকের কথা বলছেন ৷ আর অন্য কারও কথা বলছেন না। উনি তো জানেন, কে কে চুরি করেছে। নাম বলে দিলেই হল, তাহলে আর এত আশঙ্কা করতে হয় না।"