কলকাতা, 15 জুলাই: বাসস্ট্যান্ডে বাড়ছে দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি বাসের সংখ্যা (Government Bus Service) ৷ অথচ রাস্তায় অমিল বাস ৷ তাতেই নাকাল নিত্য় যাত্রীরা ৷ কলকাতার একাধিক রুটের যাত্রীদের অভিযোগ, বহুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা মিলছে না সরকারি ও বেসরকারি বাসের । একদিকে যেমন আকাশ ছোঁয়া জ্বালানির দাম অন্য দিকে অভাব চালকের। দুপুর এবং সন্ধ্যার পর থেকে শহরের বিভিন্ন বাস রুটে বাসের সংখ্যা আরও কমে যায় ৷ করোনা পরবর্তী সময় যখন তেলের বর্ধিত দাম ও যাত্রী অভাবের জন্য প্রায় প্রতিটি রুট থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছিল বেসরকারি বাস ও মিনিবাস তখন পরিবহন ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখেছিল সরকারি বাস পরিষেবাই ৷
তবে এখন সরকারি বাসেরও অবস্থা তথৈবচ । কমেছে চালকের সংখ্য়া ৷ জ্বালানির দাম বাড়লেও বাড়েনি সরকারি এবং বেসরকারি বাসের ভাড়া । নন এসি বাস তাও কিছু পাওয়া গেলেও রুট থেকে কমেছে সরকারি এসি বাস। কারণ নন এসি বাসের তুলনায় এসি বাসে জ্বালানির প্রয়োজন হয়ে অনেকটাই বেশি। শুধু এই নয় এর সঙ্গে দোসর হয়েছে বাসগুলির রক্ষণাবেক্ষনের খরচও। এই বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি বর্তমান পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট সংগ্রামী শ্রমিক কর্মচারী সংগঠন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি খরচ বাড়লেও ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি, উত্তর দিনাজপুরে বন্ধ হতে পারে বেসরকারি বাস
সংগঠনের সভাপতি দিবাকর ভট্টাচার্য্য বলেন, "জ্বালানির দাম বেড়েছে ঠিক কথা। কিন্তু সরকার তো বাস চালাতে ভর্তুকি দেয়। তাহলে ভর্তুকি দিয়েই জ্বালানি কেনা হবে। পেট্রোল পাম্পে তো জ্বালানির অভাব নেই। তাহলেও প্রতিটি ডিপোতে সরকারি বাস ফেলে রাখা হয়েছে কেন? তাই ভর্তুকি কমাতে সরকারি বাসও কমিশনের ভিত্তিতে চালানো হচ্ছে । সারাদিনের আয়ের উপর একটা নির্দিষ্ট অংশ পাবে বাস চালক ও কন্ডাক্টাররা।" তিনি আরও জানিয়েছেন, খরচ বাঁচাতে স্থায়ী কর্মীরা অবসর নেওয়ার পর সেই জায়গায় চুক্তি ভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে যাঁদের বেতনও অনেক কম। তাই কার্যত বন্ধ নিয়োগ। তাই একাধিক রুট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বহু বাস। এই লোকসান থেকে নিস্তার পেতে হলে বাসের ভাড়া বাড়াতে হবে।