কলকাতা, 3 জানুয়ারি : নতুন করে করোনা আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে নীচুতলার বেশ কয়েকজন কর্মী। ওমিক্রন আবহে তাই কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা প্রত্যেকটি থানায় আইসোলেশন লক-আপ তৈরির চিন্তাভাবনা করছে লালবাজার (Lalbazar plan to arrange isolation lock up in every police station under Kolkata Police)। ব্যাপক হারে সংক্রমণ, পাশাপাশি ওমিক্রনের দ্রুত সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই মূলত এই ভাবনা কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের ৷
কোনও বন্দি করোনা আক্রান্ত হলে তা মুহূর্তের মধ্যে অন্যান্য বন্দি এবং সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মীদের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আইসোলেশন লক-আপ তৈরি করে সেই সংক্রমণে রাশ টানা যেতে পারে বলে মনে করছে লালবাজার ৷ কিন্তু গোটা পরিকাঠামো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, প্রত্যেকটি থানায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর তার থার্মাল স্ক্রিনিং এবং শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। অভিযুক্ত শরীরে মৃদু উপসর্গ পাওয়া গেলে তাকে সংশ্লিষ্ট থানার আইসোলেশন লক-আপে রাখা হবে। এরপর করোনা পরীক্ষায় ওই অভিযুক্তের রিপোর্ট পজিটিভ এলে আইসোলেশন লক-আপে শুরু হবে চিকিৎসা ৷ কিন্তু নয়া ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে খোদ পুলিশ মহলেই। কারণ, শহরের অনেকগুলি থানা এমন অবস্থায় রয়েছে, যেখানে আইসোলেশন লক-আপ তৈরির কোনও জায়গা নেই। সেক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা গৃহীত হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।