কলকাতা, 17 অক্টোবর: শিবপুর মন্দিরতলায় ফ্ল্যাটে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধারের (Shibpur Money Laundering Case) ঘটনায় পলাতক পান্ডে ব্রাদার্সের নামে লুকআউট নোটিশ জারি করল লালবাজার (Lalbazar Issues Lookout Notice on Pandey Brothers) ৷ মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পান্ডেকে (Shailesh Pandey) পুলিশ রবিবার থেকে খুঁজছে ৷ সেই সঙ্গে তাঁর 2 ভাই রোহিত পান্ডে ও অরবিন্দ পান্ডেরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তাই এই তিনজনের হদিশ পেতে লালবাজারের তরফে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, বিদেশ থেকে কালো টাকা হাওয়ালা মারফত আনিয়ে সাদা টাকায় পরিণত করতেন পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট শৈলেশ পান্ডে ৷ তাঁর এই বেআইনি কাজের সঙ্গে দুই ভাই রোহিত এবং অরবিন্দ পান্ডেও জড়িত রয়েছেন বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, যে টাকা রবিবার শিবপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার অধিকাংশটাই বিদেশ থেকে এসেছে ৷ জানা গিয়েছে চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসাবে একাধিক ব্যবসায়ী এবং অভিজাত ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টের হিসাব রাখতেন এই শৈলেশ পান্ডে ৷ সেই সূত্রেই বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ভারতের বাজারে এনে সাদা করতেন শৈলেশ পান্ডে এবং তাঁর দুই ভাই ৷
লালবাজারের গোয়েন্দাদের অনুমান টাকা উদ্ধারের ঘটনা সামনে আসতেই শৈলেশ, রোহিত এবং অরবিন্দ বিদেশেও পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন ৷ প্রসঙ্গত, হাওড়া শিবপুরে শৈলেশ পান্ডের দু’টি ফ্ল্যাটে রবিবার হানা দেয় লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ ওই ফ্ল্যাট দু’টি থেকে সব মিলিয়ে প্রায় 8 কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ পাশাপাশি, শৈলেশ পান্ডের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে 20 কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে ৷ অ্যাকাউন্টটি ইতিমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হাওড়ার ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফের পুলিশি হানা, পলাতক অভিযুক্ত
লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতায় পান্ডে ভাইদের নামে একাধিক ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা ৷ সেই ফ্ল্যাটগুলিতেও বিপুল পরিমাণ টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি, একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট শৈলেশ পান্ডে ৷ সেই সংস্থাগুলির নামে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ৷ আর সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করতেন শৈলেশ পান্ডে এবং তাঁর দুই ভাই ৷