কলকাতা, 12 অক্টোবর : পুজোর ভিড়ে এবার হাত কা সাফাই । ভিড়ের মধ্যে মিশে চোখের পলকেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে হাত ব্যাগ থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন । লালবাজার সূত্রের খবর পুজোর আগে থেকেই শহরে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়েছে কেপমারের দল। মূলত এরা আসে উত্তরপ্রদেশ থেকে ।
করোনার প্রকোপ কার্যত ভাতে মেরেছে । তাই উৎসবের আবহে ফের শহর কলকাতায় হাত সাফাইয়ে নেমেছে কেপমারের দল । লালবাজার সূত্রে খবর, পুজোর ঢের আগেই শহরে পা রেখেছে তারা। ধোপদুরস্ত চেহারা দেখলে যদিও বোঝার উপায় নেই । বরং আচার আচরণে যেমন সভ্য ভদ্র, তেমনই কথাবার্তায় সাহেবিয়ানার ছোঁয়া । এক এক জনকে দেখে আবার কর্পোরেট অফিস-এর বস বলে মনে হতে বাধ্য । কিন্তু আসলে পুরোটাই ভেক । যাতে ঠাকুর দেখতে উপচে পড়া ভিড়ে মিশে গিয়ে , কোনও রকম সন্দেহের অবকাশ না দিয়ে, হাত সাফাই করে বেরিয়ে যাওয়া যায় ।
উৎসবের আবহে কেপমারির উপর নজরদারির দায়িত্বে থাকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভাগের বিশেষ নজদরদারি বিভাগ । ইতিমধ্যেই ভিড়ে ব্যাগ এবং মোবাইল গায়েব হয়ে যাওয়ার কিছু ঘটনা তাদের নজের এসেছে । ওই বিভাগের এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, কেপমারি করতে মূলত উত্তরপ্রদেশ থেকেই এরা আসে । বাইরে থেকে দেখলে অবশ্য বোঝার উপায় নেই । এদের হাত ধরেই বছরের পর বছর কেপমারিতে হাতেখড়ি হচ্ছে হাজার হাজার ছেলেমেয়ের ।
ওই গোয়েন্দা আধিকারিক জানান, পকেটে ধারালো ব্লেড, কাঁচি, ছুরি রাখে এই কেপমারের দল । মানুষকে আঘাত করতে নয়, হাত সাফাইয়ের কাজেই সেগুলি ব্যবহার করে তারা । ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে মহিলাদের ব্যাগের নীচের অংশে হাতে ব্লেড চালিয়ে দেয় । তার পর ওই কেটে ফেলা অংশ দিয়েই নিপুণ হাতে টাকাপয়সা, মোবাইল বার করে নেয় ।
আরও পড়ুন: Puja Parikrama : করোনাকালে স্কুল খোলার আর্তি নিয়ে সংযুক্তপল্লির দুর্গোৎসব জেলায় প্রথম
লালবাজার সূত্রের খবর, পুজোর আগেই কলকাতা পুলিশের ওই নজরদারি বিভাগের হাতে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা একটি কেপমারের দল ধরা পড়ে। ওই দলের সদস্যরা প্রত্যকেই আবার মহিলা , যাদের দেখে কোনও ভাবেই বোঝার উপায় নেই যে, ভিড়ের মধ্যে কে, কোথা থেকে ব্লেড চালিয়ে হাত সাফাই করে নিল । করোনার চোখরাঙানি না কমলেও এ বছর প্যান্ডেলগুলিতে ভালই ভিড় হচ্ছে । কেপমারের দলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতার বড় প্যান্ডেলগুলিতে বিশেষ ভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে ।