কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: নদিয়ার হাঁসখালির পথদুর্ঘটনা (Nadia Road Accident) থেকে শিক্ষা নিল কলকাতা পুলিশ । শীতের রাতে এবং কাকভোরের দিকে যাতে গাড়ি চালকদের চোখ লেগে না যায়, তার জন্য তৎপর লালবাজার (KP initiative to stop accident)।
রাত হলেই কলকাতা শহরে যে সব রাস্তা দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে, সেই সব রাস্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ সেখানে রাতে চলাচলকারী গাড়ির চালকদের চা-বিস্কুট খাওয়ালেন (tea biscuits to drivers at night) কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের সার্জেন্টরা (Kolkata police offers tea biscuits)৷
মূলত কলকাতা, খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ, দক্ষিণ বন্দর, উত্তর বন্দর, উত্তর কলকাতার কাশীপুর, সিঁথির মোড় এবং মধ্য কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোড এলাকায় রাত হলেই পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে ৷ সেই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে এই উদ্যোগ নিল কলকাতা পুলিশ । এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্র্যাফিক অরিজিৎ সিনহা জানান, এই উদ্যোগের পর চালকরা অত্যন্ত খুশি ।
আরও পড়ুন: Nadia Accident Death : শ্মশানযাত্রী বোঝাই ম্যাটাডোরের ধাক্কা লরিতে, প্রাণ হারালেন 18 জন
রবিবার কাকভোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Hanskhali accident) সাক্ষী থাকে বাংলা । নদিয়ার হাঁসখালিতে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান 18 জন শ্মশান যাত্রী । এক বৃদ্ধার মৃতদেহ সৎকারের পর একদল যাত্রী যখন জাতীয় সড়ক দিয়ে ফিরছিলেন, সেই সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পণ্যবাহী গাড়িতে আচমকা ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি । সেই ঘটনায় প্রশাসনের তরফ থেকে দাবি করা হয়, শ্মশান যাত্রীদের গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তার ফলেই এই দুর্ঘটনা ।
আরও পড়ুন: Suvendu blames Mamata-Firhad : নদিয়ার দুর্ঘটনায় মমতা-ফিরহাদকে দায়ী করে আক্রমণ শুভেন্দুর
সেই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য পুলিশ । দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । টুইট করে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও । এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার এবং পিডব্লিউডি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ৷ সেখানেই নির্দেশ দেওয়া হয় যে, প্রতিটি রাজ্য এবং জাতীয় সড়কের পাশে তৈরি করা হবে ট্রমা কেয়ার । পাশাপাশি যেহেতু ভোররাতে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে শহর, ফলে চালকদের সচেতন রাখার জন্য বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে রাজ্য পুলিশকে । তার পরই দেখা গেল কলকাতা পুলিশকে এই উদ্যোগ নিতে ।