কলকাতা, 6 অগস্ট : আইনজীবী রাজীব কুমারের গ্রেফতারির ঘটনায় এবার একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক এবং রাজীব কুমারের ঘনিষ্ঠদের কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ভাবনা লালবাজারের (Lalbazar) । কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ধৃত ঝাড়খণ্ডের আইনজীবী রাজীব কুমারের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ফোন থেকে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তদন্তকারীরা আধিকারিকরা । এবার সেই সব প্রভাবশালী এবং কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ ।
লালবাজার সূত্রে খবর, গ্রেফতারির পরে ধৃত আইনজীবী রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন তাঁর সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের একাধিক প্রভাবশালী এবং বিশেষ করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের যোগাযোগ রয়েছে । ফলে কলকাতার অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা রুজু করার জন্য কি ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ধৃত আইনজীবী রাজীব কুমারের সঙ্গে যোগসাজশ করেছিল ? তা জানার জন্যই তাদের কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাঁচি আদালতে (Ranchi Court) জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেন অভিযুক্ত আইনজীবী রাজীব কুমার । পরে গোটা বিষয়টি মিটমাট করিয়ে নেওয়ার জন্য ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় দশ কোটি টাকা তোলা আদায় করার চেষ্টা করেন ওই আইনজীবী । পরে এক কোটি টাকা কলকাতার একটি শপিংমলে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সংগ্রহ করার সময় পুলিশ তাঁকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে ।
ওই আইনজীবীর কাছ থেকে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রভাবশালী এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতেন ওই আইনজীবী এবং পরে সেই জনস্বার্থ মামলা মিটমাট করিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তোলা বাজি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ।
এছাড়াও জানা গিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে নাকি ওই আইনজীবীর যোগাযোগ রয়েছে । লালবাজারের অনুমান, তাহলে কি এই আইনজীবীর সঙ্গে বিভিন্ন প্রভাবশালী এবং কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের যোগসাজসের মাধ্যমেই এই সকল কর্মকাণ্ড চলছিল, তা জানার জন্যই এবার বেশ কিছু প্রভাবশালী এবং কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের তলব করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিশ ।
আরও পড়ুন : তোলা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের আইনজীবীকে 6 দিনের পুলিশ হেফাজত