কলকাতা, 8 অগস্ট : নিউটাউনের গেস্ট হাউসে রমরমিয়ে চলছিল নীল ছবির ব্যবসা । পাশাপাশি স্টুডিও ভাড়া করা হয়েছিল ফটোশ্যুটের জন্যও । শুধু নিউটাউন নয় । কলকাতার গড়ফাতেও স্টুডিও ভাড়া করে ন্যুড ফটোশ্যুট করার অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ এরপরই শহরের প্রতিটি হোটেলে নজরদারি বাড়িয়েছে লালবাজার । সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের নগরপাল সৌমেন মিত্র প্রত্যেকটি থানাকে নিজ নিজ এলাকায় নজরদারি বাড়াতে বলেন । পাশাপাশি কোন থানা এলাকায় কতগুলি হোটেল রয়েছে, সেখানে কী ধরনের কাজকর্ম চলছে, কারা কী উদ্দেশ্যে সেসব হোটেলে আসেন- এই সমস্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
কলকাতা পুলিশের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, "মাঝে একবার এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল । কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । আশা করি, ফের হোটেলগুলির উপর লাগাতার নজরদারি চালানো হলে অপরাধ অনেকটাই কমবে ।"
মূলত নিউটাউনে গ্যাংস্টার এনকাউন্টার থেকে শুরু করে একাধিক গেস্ট হাউসে নীল ছবির ব্যবসার ঘটনায় সম্প্রতি মুখ পুড়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের । প্রশ্ন উঠেছে, একটি কমিশনারেটের অধীনে কীভাবে এই প্রকারের অনৈতিক কাজ চলতে পারে ?
সম্প্রতি গড়ফা থানা এলাকায় একটি স্টুডিওতে ন্যুড ফটোশ্যুট করার অভিযোগে একজন গ্রেফতার হয় । শুধু নীল ছবির ব্যবসা নয়, শহরের বুকে আগাছার মতো ছোট-বড় গেস্ট হাউস গজিয়ে উঠেছে ৷ এইসব গেস্ট হাউসগুলিতেও অপরাধ ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে ৷ ভিনরাজ্য থেকে এরাজ্যে এসে কম দামে প্রায় বিনা পরিচয়পত্রে সহজেই মিলছে গেস্ট হাউস ৷ ফলে খুন থেকে আত্মহত্যা, পর্নোগ্রাফির ব্যবসা ক্রমেই বেড়ে চলেছে এই ছোটখাটো হোটেলগুলিতে । এসব অপরাধমূলক কাজকর্ম রুখতেই শহরের প্রতিটি ছোটখাটো হোটেলে বিশেষ ভাবে নজরদারি শুরু করেছে লালবাজার । খতিয়ে দেখা হচ্ছে হোটেলগুলির রেজিস্টারও ।
আরও পড়ুন : Porn Case : সিনেমায় কাজের নামে উত্তেজক ছবি তুলে পাঠানোর প্রস্তাব, যাদবপুরে অভিযোগ দায়ের তরুণীর