কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: মুখোমুখি জেরা শুরু হতেই সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য ৷ কোকেন কাণ্ডে ধৃত বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামী ও বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। আর তারপরই তাঁদের হাতে আসে একের পর এক নতুন তথ্য ৷ লালবাজারের নারকোটিক্স সেলের সূত্রে অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে ৷
লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পামেলাকে গ্রেফতারের পরই তাঁর স্মার্টফোনটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ ৷ সেই ফোন ঘেঁটেই অসংখ্য তথ্য পান তদন্তকারীরা। লালবাজার সূত্রের খবর, পামেলার ফোনে একটি রেকর্ড করা কথোপকথন উদ্ধার হয়েছে। সেই ফোন রেকর্ডে পামেলাকে এক ব্য়ক্তির সঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছে ৷
সূত্রের দাবি, কোকেন কাণ্ডের তদন্তে এই ফোন রেকর্ড তুরুপের তাস হতে পারে গোয়েন্দাদের ৷ কারণ, ওই রেকর্ডিংয়ে পামেলা কার কার কাছ থেকে কোকেন কিনেছেন, কাকে কাকে তিনি কোকেন সরবরাহ করেছেন, কাকে কত কোকেনের বরাত দিয়েছেন, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য় রয়েছে ৷
আরও খবর: মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাকেশ সিং
গোয়েন্দাদের অনুমান, কোকেনের কেনা-বেচায় লিঙ্কম্য়ানের সাহায্য নিতেন পামেলা ৷ সূত্রের খবর, তাঁর ফোনে উদ্ধার হওয়া রেকর্ডিং থেকে সেই লিঙ্কম্য়ানেরও তথ্য মিলতে পারে ৷ এছাড়াও, কোকেন কাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতানেত্রী ৷ শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এমন বেশ কিছু ব্য়ক্তির সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা ৷
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কোকেন-সহ পামেলা ও তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এরপর পামেলার বয়ানের উপর ভিত্তি করেই বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পামেলার দাবি ছিল, কোকেন পাচারে তাঁকে ফাঁসিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ ৷ সূত্রের খবর, এরপর গ্রেফতারি এড়াতে রাকেশ পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি ৷