কলকাতা, 25 মে: জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হয়েছিল ৷ সেই অবস্থায় এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন গড়ফা থানার কনস্টেবল পরিমল পাল ৷ আজ তিনি মারা যান ৷ সূত্রের খবর, তাঁর মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন সহকর্মীরা ৷ তাঁদের একাংশের মতে, কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পরিমল পাল ৷ যদিও তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ তার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি ৷
এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সরকার বলেন, ‘‘শুনেছি এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত কাগজপত্র হাতে পাইনি ৷ ওই পুলিশকর্মী এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৷ এখনও লালরসের রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি ৷"
তবে কলকাতা পুলিশের আরেক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, কোরোনার উপসর্গ থাকলেও তার লালারসের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে ৷’’
জানা গেছে, বছর সাতচল্লিশের পরিমল পাল গতকাল MR বাঙুর হাসপাতালের সিভিয়ার অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি ইলনেস ওয়ার্ডে ভরতি হন । জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট ছিল তাঁর । আজ সকাল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে । দুপুরে মৃত্যু হয় পরিমলবাবুর । তাঁর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছে গড়ফা থানার পুলিশ কর্মীদের একাংশ । তাঁকে আরও আগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন তাঁরা । এই ঘটনার জেরে গড়ফা খানায় বিক্ষোভ দেখানো হয় কিছুক্ষণ । সূত্রের খবর, পুলিশকর্মীদের একাংশ থানায় বিক্ষোভ দেখান ও জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন ৷ ঘটনাস্থানে যান ডিসি সাউথ সুবারবার্ন সহ সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা । মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী ।
বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, দিন কয়েক আগে বিক্ষোভের জেরে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে গিয়ে বলেছিলেন, পুলিশকর্মীদের সুরক্ষা রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকার । তবে কেন এই কনস্টেবলকে ভালো পরিকাঠামো রয়েছে এরকম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না ? কেন বেসরকারি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল না ?
এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের সাতজন কর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷ প্রশ্ন উঠছে পুলিশের সুরক্ষা নিয়ে ৷