কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর : কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের দুটি ডকের নাম ইতিমধ্যেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে রয়েছে । সেখানে পোর্ট ট্রাস্টের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করার কারণ কী ? আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এনিয়ে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট । প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দিয়েছে ।
17 জুন কলকাতা হাইকোর্টে পোর্ট ট্রাস্টের নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় । তাঁর বক্তব্য, "কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নাম পরিবর্তন করে আমাদের আবেগে আঘাত করেছে কেন্দ্রী সরকার । কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নাম পরিবর্তন করে কেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করা হল ? কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের তিনটে ডকের মধ্যে দুটি ডক ইতিমধ্যেই সুভাষচন্দ্র বসুর নামে রয়েছে । তাই নতুন করে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নামকরণ ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করার মানে হল কোথাও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসকে ছোটো করার চেষ্টা হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন : হাইকোর্টসহ রাজ্যের সমস্ত আদালতের কাজে গতি আনার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
মামলাকারীর আরও বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী 12 জানুয়ারি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নাম পরিবর্তন করে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট ট্রাস্ট করার কথা ঘোষণা করেন । এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী এবং অপ্রয়োজনীয় । আমাদের দাবি এটা এই মুহূর্তে বন্ধ করা হোক। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামের সঙ্গে আমাদের দলের আবেগ জড়িত। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভারতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই । কিন্তু যেখানে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের দুটি ডক ইতিমধ্যেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে রয়েছে, সেখানে হঠাৎ করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের নামকরণ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে কোথাও একটু নিচে নামিয়ে দেওয়া হবে । এটা আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”
এই মামলারই আজ প্রথম শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে । এই নাম পরিবর্তনের কারণ কী ? আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তা কেন্দ্রকে জানাতে বলেছে তারা ।