কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর : প্রাথমিকে মোট প্রায় 3929টি শূন্যপদে নিয়োগের (Primary Recruitment) নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) । 2014 সালের টেটের ভিত্তিতে এই শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ।
উল্লেখ্য, 2014 সালে টেট দিয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন বলে জানতে পারেন কিছু প্রার্থী । কিন্তু আরটিআই করে জানতে পারেন, সেই পরীক্ষার 6টি প্রশ্ন ভুল ছিল । তাঁরা ছ'নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার দাবিতে মামলা করেন হাইকোর্টে । সেই মামলা চলার মধ্যেই পর্ষদ 2020 সালে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে । আর তার মধ্যেই পর্ষদ এই মামলাকারীদের ছ’নম্বর দিয়ে দেয় ।
স্বাভাবিকভাবেই নম্বর বৃদ্ধি পাওয়ার পর চাকরির দাবিতে তাঁরা মামলা করেন । তাঁদের যুক্তি, পর্ষদের ভুলে যদি তাঁদের ছ’নম্বর বাদ না যেত, তাহলে 2014 সালে টেট পাস করে তাঁরা 2016 সালেই চাকরি পেয়ে যেতেন । কারণ, 2014-র টেটের ভিত্তিতে দু’বার নিয়োগ করা হয়েছে ।
কিন্তু পর্ষদের ভুলে তা হয়নি । তাই যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তাঁদের চাকরি দেওয়া হোক । আদালত তাঁদের যুক্তি মেনে নিয়ে, কোন জেলায় কত ফাঁকা পদ আছে, তা দেখে নিয়োগের নির্দেশ দেয় । এর আগে বেশ কিছু প্রার্থীকে নথি যাচাই করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত । আজ ফের সকালে প্রথম 65 জন ও পরে 252 জনকে শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কত শূন্যপদ রয়েছে । তাতে পর্ষদ জানায় 3929টি শূন্যপদ রয়েছে । বিচারপতি এদিন নির্দেশে জানান, 7 নভেম্বরের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে । 11 নভেম্বর রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে আদালতে যে তারা এই ব্যাপারে কী করেছে ।
আরও পড়ুন : প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে হাইকোর্টে ফরেনসিক রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের